বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে ১২ এপ্রিলে। বুয়েটের এক বিশেষ জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে নবাগত শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি বেশ কিছু বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো আবাসিক হলে সিট–সংকটে সবার আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।

আরও পড়ুনজাপান–বিশ্বব্যাংক গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ, ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা৩১ মার্চ ২০২৫

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মেধা, অধ্যবসায় ও শ্রমের ফলশ্রুতিতে তীব্র প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীক্ষায় হয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করায় ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবাগত শিক্ষার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন। সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীসহ বুয়েটের সব স্নাতক শ্রেণির শিক্ষার্থীর ক্লাস ১২ এপ্রিল (শনিবার) শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে কোনো একটি আবাসিক হলে আবাসিক অথবা অনাবাসিক (সংযুক্ত) শিক্ষার্থী হিসেবে ভর্তি হতে হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহে সিটের (আসন) তীব্র সংকট রয়েছে। এ কারণে (২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষসহ পাঁচটি ব্যাচের শিক্ষার্থী থাকবে) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাসের শুরুতে হলে সিটস্বল্পতার কারণে কোনো হলেই আবাসনের ব্যবস্থা করা সম্ভব না-ও হতে পারে। এ অবস্থায় সব নবাগত শিক্ষার্থীকে নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় বুয়েট ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে পড়ালেখার পূর্বপ্রস্তুতি নিতে পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে। তবে পর্যায়ক্রমে সিট খালি হওয়া সাপেক্ষে নবাগত শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজন মোতাবেক সিট দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ঢাকার বাইরে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

আরও পড়ুনআইপিসিসি স্কলারশিপ, বছরে ১৫ হাজার ইউরোর সঙ্গে নানা সুযোগ৭ ঘণ্টা আগে

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহের তত্ত্বাবধান, শিক্ষর্থীদের শারীরিক ও মানসিক উৎকর্ষের জন্য খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতি সহপাঠ্য কার্যক্রম আয়োজন ও পরিচালনা এবং শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাসুবিধা প্রদানের দায়িত্ব ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের ওপর ন্যস্ত।

আরও পড়ুন ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং-ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং-অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা, আবেদনের সুযোগ আরও ২০ দিন৩০ মার্চ ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

আরো পড়ুন:

নাফিসা কামালসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা

সাজিদ হত্যার তদন্তে সিআইডিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন 

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় নোয়াখালীর চাটখিল থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্বই তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

জসীম উদ্দিন খান জানান, ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা নেন। কিন্তু এর আড়ালে তিনি অসংখ্য সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন। কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি ও ব্যবসার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয়েছে দেশের নানা স্থান থেকে। এসব অর্থের উৎস অজানা এবং হুন্ডি ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।

বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন জানান, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ২০২৪ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে।

অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যশোরে জিআই পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহে গাছ প্রস্তুতির উদ্বোধন
  • ১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা