Prothomalo:
2025-06-16@01:00:39 GMT

বিশ্ব রেকর্ড গড়ার পথে নারাইন

Published: 4th, April 2025 GMT

সবচেয়ে বেশি মেডেন ওভার, এমনকি সুপার ওভারেও মেডেন নেওয়ার কীর্তি, কমপক্ষে ১০০ ইনিংসে বল করা বোলারদের মধ্যে তৃতীয় সর্বনিম্ন ইকোনমি রেট—স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সুনীল নারাইনের একেকটি পরিসংখ্যান দেখলে যে কেউ বলবেন, এই সংস্করণে তিনি অন্যতম সেরা। কারও কারও চোখে হয়তো সর্বকালের সেরাও।

নারাইন আরেকটি বিশ্ব রেকর্ড গড়ার পথে। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এক দলের হয়ে ২০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে এই কীর্তি গড়েছেন ক্যারিবীয় স্পিনার। সবচেয়ে বেশি ২০৮ উইকেট নিয়েছেন সামিত প্যাটেল, ইংলিশ কাউন্টি ক্লাব নটিংহামশায়ারের হয়ে।

কলকাতার জার্সিতে ২০০ উইকেট নিতে নারাইনকে ১৮৭ ইনিংসে বল করতে হয়েছে। ২০০ উইকেটের মধ্যে ১৮২টি নিয়েছেন আইপিএলে, ১৮টি বিলুপ্ত চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টোয়েন্টিতে।

দলটির হয়ে ১৯৯ উইকেট নিয়ে আইপিএলে কাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন নারাইন। ইডেন গার্ডেনে হায়দরাবাদ ইনিংসের দশম ওভারে অভিষিক্ত কামিন্দু মেন্ডিসকে বদলি ফিল্ডার অনুকূল রায়ের ক্যাচ বানিয়ে ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন।

হায়দরাবাদকে কাল ৮০ রানে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার পাঁচে উঠে এসেছে কলকাতা। চার ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের পয়েন্ট ৪। এই মৌসুমে প্লে-অফের আগে আরও ১০টি ম্যাচ খেলবে কলকাতা। সেই ১০ ম্যাচে ৯ উইকেট পেলেই সামিত প্যাটেলকে ছাড়িয়ে টি-টোয়েন্টিতে এক দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার বিশ্ব রেকর্ড গড়বেন নারাইন।

আরও পড়ুনব্যাট দিয়ে স্টাম্প ভেঙেও কেন হিট আউট হলেন না নারাইন২৩ মার্চ ২০২৫

ইংল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার সামিত প্যাটেল ২০০৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত নটিংহামশায়ারের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। গত বছর তিনি নটিংহাম ছেড়ে নাম লিখিয়েছেন ডার্বিশায়ারে। এই কাউন্টি ক্লাবের সঙ্গে ২০২৫ সাল পর্যন্ত চুক্তি আছে তাঁর।

বয়স ৪০ পেরিয়ে যাওয়া সামিত ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে আছেন, তা বলাই যায়। নটিংহাম তাঁকে আর ফেরাবে বলেও মনে হয় না। ফলে সামিতকে নটিংহামের হয়ে ২০৮ উইকেটেই আটকে থাকতে হতে পারে। ৩৬ বছর বয়সী নারাইন এ সুযোগে তাঁকে অনায়াসেই ছাড়িয়ে যেতে পারেন।

নটিংহামশায়ারের হয়ে টি–টোয়েন্টিতে ২০৮ উইকেট নিয়েছেন সামিত প্যাটেল.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উইক ট ন ন র ইন কলক ত

এছাড়াও পড়ুন:

ইউনূস-তারেক বৈঠক যেন জাতির আকাঙ্ক্ষা পূরণের মাইলফলক হয়: বিএনপি নেতা জাহিদ হোসেন

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, এ আলোচনাটি কেবল সৌজন্য সাক্ষাৎ না থেকে যেন জাতির আকাঙ্ক্ষা পূরণের এক মাইলফলক হয়ে ওঠে—এটাই জাতির প্রত্যাশা।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কালীনারায়ণ উচ্চবিদ্যালয়ে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী ও গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রতি ইঙ্গিত করে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘জনগণের ক্ষমতা তাদের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে। নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার, অর্থ লুটকারীদের সম্পদ দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা এবং কাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক সংস্কার নিশ্চিত করার মধ্য দিয়েই মানুষ আপনাকে মনে রাখবে, যেমনটি জাস্টিস শাহাবুদ্দীন সাহেবকে মানুষ মনে রাখে।’

গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের প্রসঙ্গে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত কেউ কথা বলতে পারেননি, সভা-সমাবেশ করতে পারেননি। শ্রীপুরের মাওনায় ১৭ জন শহীদ হয়েছেন, বহু মানুষ আহত হয়েছেন, কেউ কেউ স্থায়ী পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। এমনকি জেলে থেকে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন অনেকে। এ দায় শুধু একটি পক্ষের নয়, যাঁরা ক্ষমতায় আছেন এবং আমরা যাঁরা বাইরে রাজনীতি করছি—দায় সবারই। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তদের দায় সবচেয়ে বেশি।’

তারেক রহমানের বক্তব্য উদ্ধৃত করে জাহিদ হোসেন বলেন, সামনের দিনগুলো বেশ কঠিন। রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে। সঠিক সংস্কার ছাড়া এগোনো সম্ভব নয়।

রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে জাহিদ হোসেন বলেন, রাজনীতিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে হবে, সহিষ্ণুতা গড়ে তুলতে হবে। প্রতিযোগিতা থাকবে, কিন্তু প্রতিহিংসা নয়, কোনো অবস্থাতেই নয়।

এর আগে দুপুরে মাওনা চৌরাস্তার একটি রেস্তোরাঁয় জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে সহায়তা তুলে দেন জাহিদ হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা মাজাহারুল আলম, শ্রীপুর পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন বেপারী, ইউসিসিএ চেয়ারম্যান এস এম মাহফুল হাসান, কৃষক দলের নেতা মাসুদ রানা, বিএনপি নেতা তাহের মুসুল্লী, তেলিহাটি ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আবু জাফর সরকার প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইউনূস-তারেক বৈঠক যেন জাতির আকাঙ্ক্ষা পূরণের মাইলফলক হয়: বিএনপি নেতা জাহিদ হোসেন