Prothomalo:
2025-11-02@17:21:21 GMT

বিশ্ব রেকর্ড গড়ার পথে নারাইন

Published: 4th, April 2025 GMT

সবচেয়ে বেশি মেডেন ওভার, এমনকি সুপার ওভারেও মেডেন নেওয়ার কীর্তি, কমপক্ষে ১০০ ইনিংসে বল করা বোলারদের মধ্যে তৃতীয় সর্বনিম্ন ইকোনমি রেট—স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সুনীল নারাইনের একেকটি পরিসংখ্যান দেখলে যে কেউ বলবেন, এই সংস্করণে তিনি অন্যতম সেরা। কারও কারও চোখে হয়তো সর্বকালের সেরাও।

নারাইন আরেকটি বিশ্ব রেকর্ড গড়ার পথে। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এক দলের হয়ে ২০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে এই কীর্তি গড়েছেন ক্যারিবীয় স্পিনার। সবচেয়ে বেশি ২০৮ উইকেট নিয়েছেন সামিত প্যাটেল, ইংলিশ কাউন্টি ক্লাব নটিংহামশায়ারের হয়ে।

কলকাতার জার্সিতে ২০০ উইকেট নিতে নারাইনকে ১৮৭ ইনিংসে বল করতে হয়েছে। ২০০ উইকেটের মধ্যে ১৮২টি নিয়েছেন আইপিএলে, ১৮টি বিলুপ্ত চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টোয়েন্টিতে।

দলটির হয়ে ১৯৯ উইকেট নিয়ে আইপিএলে কাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন নারাইন। ইডেন গার্ডেনে হায়দরাবাদ ইনিংসের দশম ওভারে অভিষিক্ত কামিন্দু মেন্ডিসকে বদলি ফিল্ডার অনুকূল রায়ের ক্যাচ বানিয়ে ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন।

হায়দরাবাদকে কাল ৮০ রানে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার পাঁচে উঠে এসেছে কলকাতা। চার ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের পয়েন্ট ৪। এই মৌসুমে প্লে-অফের আগে আরও ১০টি ম্যাচ খেলবে কলকাতা। সেই ১০ ম্যাচে ৯ উইকেট পেলেই সামিত প্যাটেলকে ছাড়িয়ে টি-টোয়েন্টিতে এক দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার বিশ্ব রেকর্ড গড়বেন নারাইন।

আরও পড়ুনব্যাট দিয়ে স্টাম্প ভেঙেও কেন হিট আউট হলেন না নারাইন২৩ মার্চ ২০২৫

ইংল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার সামিত প্যাটেল ২০০৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত নটিংহামশায়ারের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। গত বছর তিনি নটিংহাম ছেড়ে নাম লিখিয়েছেন ডার্বিশায়ারে। এই কাউন্টি ক্লাবের সঙ্গে ২০২৫ সাল পর্যন্ত চুক্তি আছে তাঁর।

বয়স ৪০ পেরিয়ে যাওয়া সামিত ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে আছেন, তা বলাই যায়। নটিংহাম তাঁকে আর ফেরাবে বলেও মনে হয় না। ফলে সামিতকে নটিংহামের হয়ে ২০৮ উইকেটেই আটকে থাকতে হতে পারে। ৩৬ বছর বয়সী নারাইন এ সুযোগে তাঁকে অনায়াসেই ছাড়িয়ে যেতে পারেন।

নটিংহামশায়ারের হয়ে টি–টোয়েন্টিতে ২০৮ উইকেট নিয়েছেন সামিত প্যাটেল.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উইক ট ন ন র ইন কলক ত

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বের প্রথম ৫ লাখ কোটি ডলারের কোম্পানি এনভিডিয়া

চিপ কোম্পানি এনভিডিয়ার অগ্রযাত্রা চলছেই। এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির প্রাণভোমরা হচ্ছে এই চিপ। ফলে এনভিডিয়ার ব্যবসায়িক বিকাশই এখন প্রযুক্তি খাতের স্বাভাবিক ঘটনা। সে সুবাদে কোম্পানিটি একের পর এক সমৃদ্ধির মাইলফলক অর্জন করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।

সফলতার ধারাবাহিকতায় জেনসেন হুয়াং প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানি গত বুধবার বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম কোম্পানি হিসেবে ৫ ট্রিলিয়ন বা ৫ লাখ কোটি মার্কিন ডলারের বাজার মূলধনের নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে। খবর অ্যারাবিয়ান বিজনেসের।

বাজার মূলধন ৫ ট্রিলিয়ন ডলারে ওঠার খবরে বুধবার এনভিডিয়ার শেয়ারের দর ২ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেড়ে যায়। এই দাম বাড়ার ফলে দিন শেষে কোম্পানিটির বাজার মূলধন বেড়ে দাঁড়ায় ৫ দশমিক শূন্য ৩ ট্রিলিয়ন বা ৫ লাখ ৩ হাজার কোটি মার্কিন ডলার।

এক মাইলফলক থেকে আরেক মাইলফলক অর্জন করতে এনভিডিয়ার তেমন একটা সময় লাগছে না। ২০২৩ সালের জুন মাসে কোম্পানিটি প্রথম এক ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ কোটি ডলারের বাজার মূলধনের মাইলফলক স্পর্শ করে। তার ২৯ মাসের মাথায় কোম্পানিটি ৫ লাখ কোটি ডলারের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলল।

এক লাখ কোটি ডলারের বাজার মূলধন থেকে দুই লাখ কোটি ডলারে পৌঁছাতে এনভিডিয়ার সময় লেগেছিল ১৮০ দিন। এরপর দুই লাখ কোটি ডলার থেকে তিন লাখ কোটি ডলারে যেতে লেগেছে মাত্র ৬৬ দিন। সর্বশেষ চার লাখ কোটি ডলার থেকে পাঁচ লাখ কোটি ডলারে পৌঁছাতে সময় লেগেছে ৭৮ দিন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) উত্থানের ঢেউয়ে চেপে এগিয়ে চলেছে এনভিডিয়া—যে প্রবণতা শুরু হয়েছে ২০২২ সালের শেষ দিকে ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি চালুর পর থেকে। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। আর গত পাঁচ বছরে বেড়েছে ১ হাজার ৫০০ শতাংশের বেশি। সেই তুলনায় এ বছর এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক বেড়েছে মাত্র ১৭ শতাংশ ও ন্যাসডাকে ২৩ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বর্তমানে এনভিডিয়ার বাজার মূলধন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন ছাড়া এখন বিশ্বের যেকোনো দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকারের চেয়ে বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপির আকার ২৯ দশমিক ১৮ ট্রিলিয়ন ডলার, আর চীনের জিডিপি ১৮ দশমিক ৭৪ ট্রিলিয়ন ডলার। এর পেছনে জার্মানির অবস্থান। সে দেশের জিডিপির আকার ৪ দশমিক ৬৬ ট্রিলিয়ন ডলার।

কোম্পানিস মার্কেট ডট কমের তথ্যানুসারে, বাজার মূলধনের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে আছে মাইক্রোসফট; তাদের বাজার মূলধন ৪ লাখ ২৫ হাজার কোটি ডলার। ৪ লাখ কোটি ডলারের বাজার মূলধন নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে অ্যাপল। ৩ লাখ ৩২ হাজার কোটি ডলার নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে অ্যালফাবেট। ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি ডলার নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে অ্যামাজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিশ্বের প্রথম ৫ লাখ কোটি ডলারের কোম্পানি এনভিডিয়া