জার্মান ফুটবলের এক দীর্ঘ অধ্যায়ের অবসান ঘটতে যাচ্ছে। বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ২৫ বছরের অসাধারণ পথচলার ইতি টানছেন ক্লাবটির কিংবদন্তি ফুটবলার থমাস মুলার। চলতি ২০২৪-২৫ মৌসুম শেষে শেষবারের মতো বায়ার্নের জার্সিতে মাঠে নামবেন এই জার্মান ফরোয়ার্ড। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে খবরটি নিশ্চিত করেছেন মুলার নিজেই।

৩৫ বছর বয়সী মুলার শনিবার ‘এক্স’-এ দেওয়া পোস্টে বলেন, 'ক্লাব আগামী মৌসুমের জন্য আমার সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করতে চায় না। যদিও এটা আমার ব্যক্তিগত ইচ্ছার সঙ্গে যায় না, তবে ক্লাবের সিদ্ধান্তকে আমি শ্রদ্ধা জানাই।'

২০০০ সালে বায়ার্নের একাডেমিতে যোগ দিয়েছিলেন মাত্র ১০ বছর বয়সে। ২০০৮ সালে ইয়ুর্গেন ক্লিন্সম্যানের তত্ত্বাবধানে বায়ার্নে প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটে মুলারের। ওই মৌসুমেই লুই ফন গালের অধীনে ক্লাবের মূল দলেও নিয়মিত হয়ে যান তিনি। এরপর থেকে গত দেড় যুগে বায়ার্নের পক্ষে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে রেকর্ড ৭৪২ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। যেখানে গোল করেছেন ২৪৭টি। লম্বা এ সময়ে বায়ার্নের হয়ে ১২টি বুন্দেসলিগা, দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ অনেক ট্রফি জিতেছেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শিগগিরই একীভূত হবে ৫ ইসলামী ব্যাংক, কর্মকর্তারা চাকরি হারাবেন না: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, “বেসরকারি খাতের ৫টি ইসলামী ব্যাংককে শিগগিরই একীভূত করা হবে। একত্রিত হলেও এসব ব্যাংকের কর্মীরা চাকরি হারাবেন না।”

রবিবার (১৫ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, “নির্বাচনের সঙ্গে ব্যাংক মার্জারের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করব পরবর্তী সরকার এসে এই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তবে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ৫টি ইসলামী ব্যাংক মার্জার করা হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্মকর্তাদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।তবে প্রয়োজনে শাখাগুলো স্থানান্তর করা হবে। যেসব ব্যাংকের শাখা শহরে বেশি সেসব ব্যাংককে গ্রামে পাঠানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “পাচার হওয়া সম্পদ উদ্ধারের প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে অগ্রসর হতে হবে। আদালতের চূড়ান্ত রায় ছাড়া কোনো সম্পদ উদ্ধার সম্ভব নয়। এ জন্য আগে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে আইনি নথিপত্র তৈরি করতে হবে।”

তিনি বলেন, “আদালতের বাইরে সমঝোতার মাধ্যমে অর্থ ফেরত আনার ব্যবস্থাও রয়েছে। এই পদ্ধতিতেও একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়, যেখানে উভয়পক্ষের আইনজীবীরা আলোচনা করে সমাধান খুঁজবেন। কোন পথে এগোনো হবে, আদালত নাকি এডিআর, সেটি নির্ধারণ করবে সরকার।” 

ঢাকা/নাজমুল/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ