গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দিয়ে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন দেশের উত্তরাঞ্চলের মানুষ। রবিবার (৬ এপ্রিল) সরকারি অফিস ও বিভিন্ন শিল্পকারখানা খোলা থাকায় আজ শনিবার সকাল থেকেই তারা ফিরতে শুরু করেন।

শনিবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকেই দুই মহাসড়কে ফিরতি মানুষের চাপ লক্ষ্য করা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি থেকে আসা‌ মানুষের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। মহাসড়কে যানজট ও ভোগান্তি ছিল না বলে জানান কর্মস্থলে ফিরে আসা এসব মানুষ। 

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় আজ বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, উত্তরবঙ্গ থেকে বিভিন্ন পরিবহনে শত শত মানুষ কর্মস্থলে ফিরছেন। তাদের প্রত্যেকের হাতে ছিল ব্যাগ। কারো মুখে ছিল না ভোগান্তির ছাপ। মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে। তারা যানজট নিরসনে কাজ করছিলেন। কোথাও তারা কোনো যানবাহনকে ৫ মিনিটের বেশি দাঁড়াতে দিচ্ছিলেন না। 

আরো পড়ুন:

মজুচৌধুরীর হাট লঞ্চঘাটে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ভিড় 

ঈদের ছুটির ‘ফাঁকা’ সড়কে কেন এত মৃত্যু

ঈদ শেষে বাড়ি থেকে ফেরা সালমা আক্তার নামে এক কারখানা শ্রমিক বলেন, “মঙ্গলবার আমাদের কারখানা ছুটি। এরপরও দুইদিন আগেই ফিরলাম। বাসা গোছানো ও বিশ্রাম নিতেই আগে ফিরে আসা। রাস্তায় কোনো ভোগান্তি ছিল না। আরামেই আসতে পেরেছি।” 

আবু হানিফ নামে আরেক শ্রমিক বলেন, “এবারের ঈদযাত্রা ছিল মনে রাখার মতো। যাওয়ার সময় যানজট ছিল না। আসার সময়ও কোনো সমস্যা হয়নি। সন্তান নিয়ে খুব ভালোভাবে ঈদ করে ফিরতে পেরেছি। সোমবার থেকে আবারো কর্মজীবন শুরু।” 

সালনা হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রইচ উদ্দিন বলেন, “ছুটি শেষে মানুষ ফিরতে শুরু করেছে। যাওয়ার পথে যেমন ভোগান্তি হয়নি, তেমনি ফেরার পথেও তাদের ভোগান্তি হচ্ছে না। ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়া মানুষ যাতে কর্মস্থলে নিরাপদে ফিরতে পারেন এজন্য মহাসড়ক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন।” 

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন ঈদ উৎসব ঈদ

এছাড়াও পড়ুন:

‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি

‎নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল  সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।

সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে  একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য। 

সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের  গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবি,  সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।

‎‎মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)  শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

‎দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।

‎‎জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।

‎‎এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।

‎‎তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।

‎‎এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
  • নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
  • ১৭ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ, নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুই হাজার সদস্য
  • ফরিদপুরে অবরোধ শনিবার পর্যন্ত স্থগিত
  • আসন্ন নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের