জয়সোয়াল–আর্চাররা তিনে তিন করতে দিলেন না পাঞ্জাবকে
Published: 5th, April 2025 GMT
রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে তিনে তিন করে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ওঠার সুযোগ ছিল পাঞ্জাব কিংসের। কিন্তু আজ ঘরের মাঠ মুল্লানপুরের মহারাজা যাদবিন্দ্র সিং ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উল্টো বড় ব্যবধানে হেরে গেছে পাঞ্জাবের দলটি।
প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ২০৫ রান তোলে রাজস্থান। রান দাঁড়ায় পুরো ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেটে ১৫৫ রান করতে পারে শ্রেয়াস আইয়ারের পাঞ্জাব। পাঞ্জাবিদের প্রথম হার উপহার দেওয়া রাজস্থান চতুর্থ ম্যাচে পেল দ্বিতীয় জয়।
ব্যাটিং ও বোলিং, দুই বিভাগেই ‘দশে মিলে’ খেলে জিতেছে রাজস্থান। ব্যাটিংয়ে দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন ওপেনার যশস্বী জয়সোয়াল। ভারত জাতীয় দলের ব্যাটসম্যান ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৪৫ বলে করেন এই রান। অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন ২৬ বলে করেন ৩৮ রান। উদ্বোধনী জুটিতে ১০.
এমন ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে শেষ ৫৮ বলে ১১৬ রান যোগ করে রাজস্থান। ১৪তম ওভারে জয়সোয়াল বিদায় নেওয়ার পর রিয়ান পরাগ টেনেছেন ইনিংসের বাকি অংশটা। ২৫ বলে ৩টি করে চার-ছক্কায় ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন এই ওয়ানডাউন ব্যাটসম্যান। এ ছাড়া নিতীশ রানা ৭ বলে ১২, শিমরন হেটমায়ার ১২ বলে ২০ ও ধ্রুব জুরেল ৫ বলে ১৩ রান করেন।
রান তাড়ায় প্রথম বলেই প্রিয়াংশ আর্যকে হারায় পাঞ্জাব। ইংলিশ ফাস্ট বোলার জফরা আর্চার বোল্ড করে দেন তাঁকে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো পাঞ্জাব ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন নেহাল ওয়াধেরা। ৪১ বলে এই রান করার পথে ৩টি ছক্কা মারেন ওয়াধেরা। এ ছাড়া বলার মতো রান করেছেন অস্ট্রেলীয় তারকা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (২১ বলে ৩০)।
২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেওয়া আর্চারই রাজস্থানের সেরা বোলার। এ ছাড়া ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সন্দীপ শর্মা ও মহীশ তিকশানা। সন্দীপ ৪ ওভারে ২১ রান ও তিকশানা ৪ ওভারে খরচ করেন ২৬ রান।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইসিকে নিশানা করে ‘অ্যাটম বোমা’ ফাটালেন রাহুল গান্ধী, এখনো বাকি ‘হাইড্রোজেন বোমা’
ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ এনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, এটা ‘অ্যাটম বোমা’। তবে আরও ভয়ংকর তথ্য তিনি পরে আনবেন, যা ‘হাইড্রোজেন বোমার সমতুল্য’।
আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আবার বিস্ফোরক অভিযোগ এনে রাহুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের মদদে কিছু লোক, সংস্থা ও কল সেন্টার সংগঠিতভাবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বেছে বেছে কংগ্রেস, দলিত, আদিবাসী ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে।
আজ সংবাদ সম্মেলন করে রাহুল বলেন, নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে নকল আবেদন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
‘অ্যাটম বোমা’ ফাটানোর দিন রাহুল কর্ণাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রের ‘ভোট চুরির’ নমুনা পেশ করেছিলেন। আজ তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন কর্ণাটকেরই আলন্দ কেন্দ্রকে।
রাহুলের অভিযোগ, নকল আবেদনের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রের ৬ হাজার ১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যেসব কেন্দ্রে কংগ্রেস শক্তিশালী, বেছে বেছে সেসব কেন্দ্রকেই নিশানা করা হয়েছে। ভুয়া ভোটারের নাম তোলার পাশাপাশি বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। এটা সংগঠিতভাবে করা হচ্ছে। কর্ণাটক পুলিশ সেই বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলেও নির্বাচন কমিশন কোনো তথ্য দিচ্ছে না।
রাহুলের অভিযোগ, যাঁদের নামে আবেদন জানানো হচ্ছে এবং যাঁদের নাম মোছার আরজি জানানো হচ্ছে, তাঁদের কেউ–ই তা জানতে পারছেন না। সংবাদ সম্মেলনে এই ধরনের কিছু মানুষকে রাহুল হাজিরও করান।
কিছু নম্বরও দাখিল করে রাহুল বলেন, এসব নম্বর থেকে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তাঁর প্রশ্ন, ওই নম্বরগুলোয় ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ‘ওটিপি’ কীভাবে গেল?
কংগ্রেস নেতা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ঠিকানা থেকে নির্দিষ্ট ‘আইপি’ অ্যাড্রেস ব্যবহার করে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে কর্ণাটক পুলিশের গোয়েন্দারা ইসির কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার কোনো তথ্যই দেননি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ইসি ভোটচোরদের আড়াল করছে।
রাহুল বলেন, কর্ণাটক সিআইডি ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে ইসিকে ১৮ বার চিঠি লিখেছে। অথচ একটি চিঠিরও জবাব ইসি দেয়নি। ইসিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুল বলেন, কমিশন স্বচ্ছ হলে এক সপ্তাহের মধ্যে কর্ণাটক সিআইডিকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করুক।
রাহুল মহারাষ্ট্রের রাজুরা বিধানসভা আসনের ভোটার তালিকা তুলে ধরে বলেন, সেখানে অনলাইনে ৬ হাজার ৮৫০ জনের নাম অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যে ভোটার তালিকায় এভাবে সংযোজন–বিয়োজন চলছে।
এর আগেও রাহুল নিশানা করেছিলেন সিইসি জ্ঞানেশ কুমারকে। আজও তিনি তাঁকে কাঠগড়ায় তোলেন। রাহুল বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ করার বদলে তিনি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেই চলেছেন। ভোট চুরি করাচ্ছেন। ভোটচোরদের রক্ষাও করছেন।
রাহুলের অভিযোগ এবারও খারিজ করে দিয়েছে ইসি। রাহুলের ডাকা সংবাদ সম্মেলনের পর আজ ইসি এক বিবৃতি দেয়। তাতে রাহুলের অভিযোগ ‘অসত্য ও ভিত্তিহীন’ জানিয়ে বলা হয়, অনলাইনে কেউ কোনো ভোটারের নাম বাদ দিতে পারেন না। নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয়।