তিনি একজন গেম চেঞ্জার। মুহূর্তের মধ্যে খেলার রং বদলে দিতে পারেন। সেটা ব্যাটিং, বোলিং কিংবা ফিল্ডিং—তিন বিভাগেই অনবদ্য অবদান রেখে। এই তো সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে শুধু ক্যাচ নিয়েই তো অনেকের মাথায় চক্কর লাগিয়ে দিয়েছেন গ্লেন ফিলিপস।

এটা যে শুধু চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেই করেছেন, তা নয়; কয়েক বছর ধরেই বিশ্বের অন্যতম আলোচিত ক্রিকেটার এই অলরাউন্ডার। তবে সেই ফিলিপসই আইপিএলে ২০ ম্যাচ ধরে বেঞ্চে বসে আছেন। সুযোগ পাননি একটি ম্যাচেও!

আইপিএলে বেঞ্চে বসে থাকা নতুন কিছু নয়। অনেক বড় বড় তারকাও অনেক সময় একাদশে সুযোগ পান না। তবে এরপরও ফিলিপসের ব্যাপারটি কিছুটা ভিন্ন। কিউই এই ক্রিকেটার যে ফিল্ডিং দিয়েই বাঁচাতে পারেন ১৫-২০ রান!

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দারুণ ছন্দে আছেন ফিলিপস.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের

মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের  ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।  

এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। 

বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ