সাইফুল্লাহ বাদলের ক্যাডার সন্ত্রাসী স্বপন এখনো বহাল তবিয়তে!
Published: 8th, April 2025 GMT
নারায়নগঞ্জের আতঙ্ক শামীম ওসমানের দোসর এম সাইফুল্লাহ বাদলের দুর্ধর্ষ ক্যাডার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার এজহার ভূক্ত আসামী স্বপনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ কাশিপুরের মানুষ।
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শামীম ওসমান এবং সাইফুল্লাহ বাদলের নাম ভাঙ্গিয়ে কাশিপুর ও এর আশেপাশে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছেন কাশীপুরের আলোচিত মুসকান মটরস্ বিস্ফোরনের অভিযুক্ত মো.
৫ আগস্ট ক্ষমতার পালাবদলের পর স্থানীয় প্রশাসন ও বিএনপি নেতাদের ম্যানেজ করে আগের মতো সন্ত্রাস এবং চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
আওয়ামী লীগের ক্যাডার ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যা মামলার এজারভুক্ত আসামি হয়েও এখনও নিজ বাড়ীতে বসবাস করছেন দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী স্বপন। নিজ বাড়ীর নীচে মুসকান মটরস্ এর শো রুমে নিয়মিত বসছেন। অভিযোগ রয়েছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এখনো বহাল তবিয়তে আছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তার মুসকান মটর্সে বিস্ফোরনে ৩ জন মানুষ নিহত হয়েছে। বহু বাড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলো। তখন সে পালিয়ে আত্মগোপন করে ছিল। পড়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি বাদল চেয়ারম্যান কে মোটা অংকের টাকা দিয়ে সে ঘটনা ধামা চাপা দিয়ে আবারও শো রুম খুলে ব্যবসা করছে।
এছাড়া ঐ সময় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস মুসকান মটরস্ এর ক্ষতিগ্রস্ত বহুতল বিল্ডিং ঝুঁকি পূর্ন ঘোষনা দিয়ে সাইন বোর্ড টানিয়ে দেয়। কিন্ত সে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে সখ্যতা করে সেই সাইনবোর্ড সরিয়ে ঐ পরিত্যাক্ত বিল্ডিংটি বর্তমানে গোপনে গোডাউন হিসেবে ব্যাবহার করছে।
এখনো সে আওয়ামীলীগ এর লোক জনের সাথে আতাত করে তাদের সাথে অর্থ লেনদেন করছে বলে জানা গেছে। সে এক প্রভাবশালী পলাতক আওয়মীলীগ নেতা কে এখনো টাকা সরবরাহ করছে।
এছাড়া স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মুসকান মটরসের ব্যাবসা ভূমি দস্যুতার ব্যাবসা করে সে প্রচুর অর্থের মালিক হয়েছে। সেই অর্থ আওয়ামী দোসর স্বপন বর্তমান তত্বাবধায়ক সরকারের বিপক্ষে নানা দেশ রিরোধী কর্মসূচীতে ডোনেশন দিচ্ছে।
চিন্থিত ডেভিল স্বপন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিনারুল ইসলাম হত্যা মামলার এজহার নামীয় ২৪ নং আসামি। এলাকাবাসী অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় চিন্থিত অপরাধ এই দূর্ধর্ষ ডেভিল স্বপনকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে।
আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দিয়ে আলী মিয়ার পুত্র স্বপন বাশমুলির জায়গা জোর জবরদস্তি করে দখল করে এবং পঞ্চায়েত কমিটি তাকে বাঁধা দিলে সে তাদের অমান্য করে শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান তার লোকজন দিয়ে সে জমিনে দেয়াল দেয়।
শামীম ওসমানের প্রভাব খাটিয়ে ফতুল্লা থানার এম সাইফুল্লাহ বাদলের হুকুমে স্বপন দেয়াল দেয় জমির মালিক হিরু মিয়া মামলা চলতি কালে হিরু মিয়া বাধা দিল তাকে মারধোর করে এবং তাকে ঐখান থেকে তাড়িয়ে দেয় ও উল্টা স্বপন এই জমির মালিকের নামে আরো কিছু লোকের নামে সে মিথ্যা মামলা করে।
আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের সাহসে শামীম ওসমানের বিয়াই লাভলুর নেতৃত্বে স্বপন জোরজবস্তি দেওয়াল দেয়। দেয়াল দেয়ার সময় স্পটে উপস্থিত ছিলো সাংবাদিক রাজু এবং ছাত্রলীগ নেতা শান্ত সহকারে অয়ন ওসমানের ক্যাডার বাহিনী।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ শ ম ম ওসম ন র স বপন আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ
রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।
জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’
এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ।