আইপিএলের এবারের আসরে একেবারেই ছন্দহীন সময় কাটাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ব্যাট হাতে এখনো নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত চারটি ম্যাচে অংশ নিলেও ব্যাট থেকে এসেছে শুধুই হতাশা। তার সর্বোচ্চ ইনিংস মাত্র ৩০ রান, আর চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে গত ম্যাচে ফিরেছেন মাত্র ১ রানে।

খারাপ পারফরম্যান্সের মাঝেও এবার নতুন করে আলোচনায় এসেছেন ম্যাক্সওয়েল। তবে তা মাঠের বাইরের কারণে। আইপিএলের আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে তার ম্যাচ ফি’র ২৫ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়েছে এবং সঙ্গে যোগ হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও।

আইপিএল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার এই ক্রিকেটার আচরণবিধির ২.

২ ধারায় লেভেল-১ মাত্রার অপরাধ করেছেন। যদিও ঠিক কোন ঘটনার জন্য এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ম্যাচ চলাকালে মাঠের সরঞ্জামাদি বা ‘ফিক্সচার ও ফিটিংস’ অপব্যবহারের কারণেই তাকে এই শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে।

আরো পড়ুন:

অদ্ভুতুড়ে আউট ঢাকা লিগে বিতর্ক

পারিশ্রমিক না পেলে ম্যাচ বয়কটের হুমকি পারটেক্সের

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “গ্লেন ম্যাক্সওয়েল তার কৃতকর্মের দায় স্বীকার করেছেন এবং ম্যাচ রেফারির সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। আইপিএলের আচরণবিধির লেভেল-১ ধারা অনুযায়ী, ম্যাচ রেফারির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বিবেচিত হয়।”

আইপিএলের আচরণবিধির ২.২ ধারা অনুযায়ী, যেকোনো ধরনের অখেলোয়াড়সুলভ কাজ—যেমন স্টাম্পে লাথি মারা, বিজ্ঞাপন বোর্ড বা ড্রেসিংরুমের জিনিসপত্র ভাঙচুর করা, ইচ্ছাকৃতভাবে মাঠের সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত করা ইত্যাদি অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।

ফর্মে না থাকা এবং মাঠের বাইরেও বিতর্কের মধ্যে পড়ে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের আইপিএল মৌসুম যে আরও কঠিন হয়ে উঠেছে, তা বলাই যায়।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ম য ক সওয় ল র আচরণব ধ

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুর তফসিল সোমবার 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রথম কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে।

রবিবার (২ নভেম্বর) চূড়ান্ত করা হবে নির্বাচনি আচরণবিধি এবং আগামীকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) ঘোষণা করা হবে নির্বাচনের তফসিল।

জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, “২৭ নভেম্বর নয়, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে জকসু নির্বাচন হবে। সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ডিসেম্বরের ৮, ৯ বা ১০ তারিখ যাচাই করে দেখা হচ্ছে। যেহেতু ১৩ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে এবং ১১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ কর্মদিবস—সেক্ষেত্রে ১০ ডিসেম্বর বুধবার নির্বাচনের সম্ভাবনা বেশি।”

তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথম জকসু নির্বাচন। তাই প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করতে কিছুটা সময় লাগছে। অনেক ছাত্র সংগঠনও ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়, যাতে তারা প্রচারণা চালাতে পারে। তবে আমরা চাই, যত দ্রুত সম্ভব একটি উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজন করতে।”

অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, “ভোটার তালিকা, প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা, ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া—এসব খসড়া তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনি  আচরণবিধিও প্রস্তুত করা হয়েছে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল অনুসরণ করে।” 

আজ সব কার্যকর ছাত্র সংগঠন, সাংবাদিক প্রতিনিধি ও নির্বাচনের অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে আচরণবিধি চূড়ান্ত করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “কেউ যেন দ্বিমত না করে, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। আচরণবিধি চূড়ান্ত হলেই সোমবার বা মঙ্গলবার তফসিল ঘোষণা করব।” 

ছাত্রদলের সম্পাদকীয় ও সদস্য পদ বৃদ্ধির দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “জকসুর সংবিধি পাস হয়ে গেছে। এখন এটি সংশোধন করতে হলে একাডেমিক কাউন্সিল, সিন্ডিকেট, ইউজিসি, মন্ত্রণালয় এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাগবে—এটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তাই নতুন করে সংযোজনের সুযোগ নেই।”

তিনি আরো বলেন, “আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, সেটা স্বীকার করছি। তবে আমরা চাই, সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে। অন্যান্য ক্যাম্পাসের তুলনায় জবির ছাত্র সংগঠনগুলো অনেক ঐক্যবদ্ধ। তাদের সহযোগিতা পেলে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই হবে জকসু নির্বাচন।”

অধ্যাপক মোস্তফা হাসান আশা প্রকাশ করে বলেন,  “২০ বছর পর প্রথম জকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আমরা চাই, জবির এই নির্বাচন সারা দেশে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক।”

ঢাকা/লিমন ইসলাম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জকসুতে এআই ব্যবহারে থাকবে শিথিলতা, তবে অপব্যবহার করা যাবে না: নির্বাচন কমিশন
  • জকসুর তফসিল সোমবার