পরিবারের জিম্মায় ছাড়া পেয়েছেন মানবতাবিরোধী মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়া বিএনপিনেতা ও সাবেক মন্ত্রী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যদাতা মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার (৭৬)।

আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় রামু থানা পুলিশ পরিবারের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেন। নুরুল আবছার চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দনপুরা গ্রামের মৃত কাজী মো.

জাবেদের ছেলে।

আটক মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছারের ব্যাপারে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের কোনো অভিযোগ নাই। এছাড়া তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায়ও কোনো মামলার তথ্য পাওয়া যায়নি। এর প্রেক্ষিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে আটক মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছারকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান, রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমন কান্তি চৌধুরী।

এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়াস্থ আবদুল গনি মাঝির বাড়িতে সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী মামলায় সাক্ষ্যদাতা নুরুল আবছারের অবস্থান জানতে পেরে স্থানীয় জনতা বাড়ি ঘেরাও করে রাখেন।

বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে খবর পেয়ে সেখান থেকে নুরুল আবছারকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরদিন শুক্রবার সকালে তাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সালাউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পরে তার ফাঁসি কার্যকর হয়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ল উদ দ ন ক দ র স ক চ ধ র পর ব র র জ ম ম য় ন র ল আবছ র

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া’

ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীনন্দা শঙ্কর। সৃজিত মুখার্জির ‘এক যে ছিল রাজা’, সুমন ঘোষের ‘বসুপরিবার’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই তারকা। বলা যায়, টলিউডের প্রথম সারির সব নির্মাতার সঙ্গেই কাজ করেছেন এই নৃত্যশিল্পী। 

গত কয়েক বছর ধরে কলকাতা ছেড়ে মুম্বাইয়ে বসবাস করছেন শ্রীনন্দা। সেখানে সংসার, কাজ নিয়ে সময় কাটছে তার। তবে অভিনয়ে নেই। অভিনয় থেকে দূরে থাকার কারণ কী? ফের কী অভিনয়ে ফিরবেন না শ্রীনন্দা?  

ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে আলাপকালে এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন শ্রীনন্দা। এ অভিনেত্রী বলেন, “টলিউডে যাদের সঙ্গেই কাজ করেছি, তাদের সঙ্গে এখনো আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ভীষণ ভালো অভিজ্ঞতাও বলা চলে। মুশকিল হলো, বাংলা সিনেমায় তেমন বাজেট থাকে না। সত্যিই যদি খুব ভালো সিনেমা হয় বা এমন কোনো পরিচালক আমাকে অফার দেন যেখানে কোনো ভাবেই ‘না’ করব না। আমি নিশ্চয়ই আবার অভিনয়ে ফিরব।”

আরো পড়ুন:

কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অভিনেত্রী

পরিচালকের আপত্তিকর মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন শোলাঙ্কি

কিছু কিছু লোকের সঙ্গে কাজ করতে গিয়েও মাঝপথে থেমে গিয়েছেন শ্রীনন্দা। কারণ, তাদের সঙ্গে মানসিকভাবে মেলেনি। তার ভাষায়—“মুম্বাই, কলকাতা বা সাউথ ইন্ডাস্ট্রি যেখানেই হোক না কেন, আমি ভালো মানুষের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কেউ এমন চরিত্রে সুযোগ দেন, যেখানে প্রয়োজনে টাকাটা ভুলে গিয়ে শুধু পরিচালকের নাম দেখেই কাজটা করব।”

কিছুটা ইঙ্গিপূর্ণভাবে শ্রীনন্দা বলেন, “কাজের পাশাপাশি আমার সংসারও রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই পেতে হবে, যার জন্য সংসারটা ইগনোর করার কথা ভাবব। অর্থাৎ মনে হবে সংসার ফেলে এই সিনেমাটা আমাকে করতেই হবে। এই বয়েসে একটু কফি খেতে যাবেন? কাজ দেবেন? এগুলো করতে পারব না। সবাই তো চেনেই আমাকে। কাজ দিতে হলে দেবেন।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব শ্রীনন্দা। অনেকে ভেবেছিলেন, এ মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করে থাকেন। তাদের উদ্দেশে শ্রীনন্দা বলেন, “অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা এটাও আমার পেশা। এখান থেকে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। আমি নিজেও আগে বিষয়টা জানতাম না। পোস্ট করতে করতে বুঝেছি। আমি এখন মুম্বাইয়ে মায়ের সঙ্গে পুরোদমে নাচের স্কুল চালাচ্ছি। এখন মোট ছয়টা ব্রাঞ্চ এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। সব মিলিয়ে ভালো আছি।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের শিকার হন শ্রীনন্দা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগে আমাকে একজন বলেছিলেন, ‘রিল মামনি’। আমি আর মা এটা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়েছি। মাঝেমধ্যে এসব বেশ মজাও লাগে। তবে যে পরিমাণ ভালোবাসা পাচ্ছি, সেটা খুব মন থেকেই ভক্তরা দিচ্ছেন বলে আমার বিশ্বাস। আমি মনে করি, এটা আমার জীবনে আশীর্বাদ।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ