এবার পয়লা বৈশাখে ছায়ানটের ঐতিহ্যবাহী প্রভাতি অনুষ্ঠানে বাঙালি সমাজকে নিয়ে আলোর পথে মুক্তির পথযাত্রী হওয়ার আহ্বান জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। এবারের অনুষ্ঠানের মূলভাব ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’।

আজ শুক্রবার বিকেল চারটায় ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি–ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। সম্মিলিত কণ্ঠে ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’ গান গেয়ে সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি ডা.

সারওয়ার আলী, সহসভাপতি খায়রুল আনাম শাকিল, সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা, যুগ্ম সম্পাদক পার্থ তানভীর নভেদ ও জয়ন্ত রায়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ য় নট অন ষ ঠ ন ছ য় নট

এছাড়াও পড়ুন:

সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদ এক হলে এটাকে বলে ফ্যাসিবাদ: ফরহাদ মজহার

কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, সাম্য, মানবিক ন্যায়বিচারসহ তিনটা নীতি প্রতিষ্ঠিত করতে আমরা লড়াই করি। কিন্তু আওয়ামী লীগ এসে দিল্লির প্রয়োজনে আমাদের ওপর চাপিয়ে দিল ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদ। এগুলো আমাদের দাবি ছিল না। এই যে চাপিয়ে দেওয়া তিনটা তথ্যের মধ্যে সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদ এক হলে এইটাকে বলে ফ্যাসিবাদ। এটা হিটলারও বিশ্বাস করত। জার্মান জাতীয়তাবাদ, বাংলাদেশে বাঙালি জাতীয়তাবাদ। জেনেশুনে ফ্যাসিস্ট সংবিধান আমরা রাখছি। এই জুলাই আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থানের পরও আমরা এই সংবিধান বাতিল করতে পারি নাই। এই দায় আমাদের। 

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ভাববৈঠকী আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান: রাষ্ট্র গঠন ও আমাদের দায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, চাপিয়ে দেওয়া সংবিধান যখন তরুণরা বাতিল চাইল, তখন বলা হলো যারা ৭২ এর সংবিধান বাতিল চায়, তারা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ মানে না। এই প্রপাগান্ডা আওয়ামী লীগ শুরু করল, শেষ পর্যন্ত বিএনপিও একই সুরে কথা বলতে শুরু করল। এই প্রজন্ম কখনো ৭১ অস্বীকার করে নাই। বরং তারা ৭১  কে পুণরায় দাখিল করতে চায়, যেটা হরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশের জনগণের গৌরব ৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। যার নেতৃত্বে ছিলেন জিয়াউর রহমানসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধা।

ফরহাদ মজহার বলেন, বিএনপি বলছে ৭২ এর সংবিধান বাতিল করা যাবে না। এরা কি জিয়াউর রহমানের অনুসারী। আমাকে কেউ খারাপ ভাবে নিবেন না। আমি বেগম খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠভাবে পক্ষে থেকেছি। বিএনপির ওপর হামলা-মামলার বিরুদ্ধে থেকেছি। ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছে জিয়াউর রহমান সাম্য ও ন্যায় বিচারের জন্য।

কনক রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন কবি ও রাজনৈতিক চিনু কবির, লেখক ও গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী, ভাববৈঠকির সংগঠক মোহাম্মদ রোমেল, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের বিভাগীয় সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট রায়হান কবীর, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. ইলিয়াস প্রামাণিক, ফরিদুল ইসলাম প্রমুখ। 

এর আগে দুপুরে বিশিষ্ট কবি ও দার্শনিক ফরহাদ মজহার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-২ এর ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ‘গণঅভ্যুত্থানত্তোর আলাপচারিতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে বলেন, নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে আবু সাঈদ বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছে। শহীদ আবু সাঈদ প্রবেশ করেছে এক অবিনশ্বর জীবনে। আবু সাঈদের জীবনদান দেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দার্শনিক ঘটনা বলে অভিহিত করেন তিনি। 

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যদি আমরা বিশ্বসভায় শক্তিশালী স্থান অর্জন করতে চাই, তাহলে বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষেত্রে আমাদের অনেক উঁচু স্তরে পৌছাতে হবে। 

এসময় উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলী, রেজিস্ট্রার ড. হারুন-অর রশিদ এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. ইলিয়াছ প্রামানিক বক্তব্য রাখেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ