ফিলিস্তিনের ক্ষতিগ্রস্থ ও অসহায় মুসলমানদের ৪৫টি পরিবারকে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছেন বাংলাদেশের ইসলামিক বক্তাদের একটি দল। হোসাইনী সাইবার টিম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই সহযোগিতা করা হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন। 

জানা গেছে, গত ২ এপ্রিল বাংলাদেশ থেকে ২৮ জনের একদল ইসলামিক বক্তারা মিশরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পরে সেখান থেকে তারা ফিলিস্তিনে প্রবেশ করে। সেখানে ইসরায়েলী আগ্রাসনে ক্ষতিগ্রস্থ ও অসহায় মুসলিমদের সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যে তারা জেরুজালেম সহ চারদিকের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন।

আর যেখানেই অসহায় মুসলিমদের দেখেছেন সেখানেই সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে হোসাইনী সাইবার টিমের সদস্যরা। বিশেষ করে গাজা থেকে আসা অসহায়দের খুঁজে খুঁজে সহায়তা করা হয়েছে বলে ইসলামিক বক্তারা জানিয়েছেন। 

হোসাইনী সাইবার টিম বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মুফতি আলাউদ্দিন জেহাদী, মহাসচিব মাওলানা গাজী তামিম বিল্লাহ আল কাদরী সহ ২৮ জনের একটি দল সহযোগিতার উদ্দেশ্যে ফিলিস্তিনে গিয়েছেন। 

ভিডিও বার্তায় তারা জানিয়েছেন, সহযোগিতা করার ‍উদ্দেশ্যে তারা সেখানে গিয়েছেন। ব্যক্তিগত অর্থায়নে তারা নিজেদের খরচে সেখানে গিয়েছেন। তবে হোসাইনী সাইবার টিম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনের অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্থ মুসলিমদের তারা সহযোগিতা করেছেন।

এর আগে, গত ২ এপ্রিল বাংলাদেশ থেকে মিশরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। এরপরে মিশর হয়ে তিনি ফিলিস্তিন প্রবেশ করেন।

সম্প্রতি তারা ফিলিস্তিনের আল আকসা মসজিদে অবস্থান করেন। এর আগে তিনি মিসরের আলেক জান্দ্রিয়ায় হয়রত দানিয়াল (আ:) ও হয়রত লোকমান (আ:) এর মাজার জিয়ারত করেন।

এছাড়া তিনি মিসরে নবীজীর দৌহিত্র হয়রত ইমাম হোসাইন (রা:) এর মাজার সহ আরও অনেকের মাজার জিয়ারত করেন।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ সহয গ ত হ স ইন অসহ য়

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ