ফিলিস্তিনে মুসলমানদের পাশে দাঁড়ালেন বাংলাদেশের ইসলামিক বক্তারা
Published: 11th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনের ক্ষতিগ্রস্থ ও অসহায় মুসলমানদের ৪৫টি পরিবারকে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছেন বাংলাদেশের ইসলামিক বক্তাদের একটি দল। হোসাইনী সাইবার টিম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই সহযোগিতা করা হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, গত ২ এপ্রিল বাংলাদেশ থেকে ২৮ জনের একদল ইসলামিক বক্তারা মিশরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পরে সেখান থেকে তারা ফিলিস্তিনে প্রবেশ করে। সেখানে ইসরায়েলী আগ্রাসনে ক্ষতিগ্রস্থ ও অসহায় মুসলিমদের সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যে তারা জেরুজালেম সহ চারদিকের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন।
আর যেখানেই অসহায় মুসলিমদের দেখেছেন সেখানেই সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে হোসাইনী সাইবার টিমের সদস্যরা। বিশেষ করে গাজা থেকে আসা অসহায়দের খুঁজে খুঁজে সহায়তা করা হয়েছে বলে ইসলামিক বক্তারা জানিয়েছেন।
হোসাইনী সাইবার টিম বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মুফতি আলাউদ্দিন জেহাদী, মহাসচিব মাওলানা গাজী তামিম বিল্লাহ আল কাদরী সহ ২৮ জনের একটি দল সহযোগিতার উদ্দেশ্যে ফিলিস্তিনে গিয়েছেন।
ভিডিও বার্তায় তারা জানিয়েছেন, সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যে তারা সেখানে গিয়েছেন। ব্যক্তিগত অর্থায়নে তারা নিজেদের খরচে সেখানে গিয়েছেন। তবে হোসাইনী সাইবার টিম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনের অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্থ মুসলিমদের তারা সহযোগিতা করেছেন।
এর আগে, গত ২ এপ্রিল বাংলাদেশ থেকে মিশরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। এরপরে মিশর হয়ে তিনি ফিলিস্তিন প্রবেশ করেন।
সম্প্রতি তারা ফিলিস্তিনের আল আকসা মসজিদে অবস্থান করেন। এর আগে তিনি মিসরের আলেক জান্দ্রিয়ায় হয়রত দানিয়াল (আ:) ও হয়রত লোকমান (আ:) এর মাজার জিয়ারত করেন।
এছাড়া তিনি মিসরে নবীজীর দৌহিত্র হয়রত ইমাম হোসাইন (রা:) এর মাজার সহ আরও অনেকের মাজার জিয়ারত করেন।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ সহয গ ত হ স ইন অসহ য়
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস
রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।
‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।
এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।
সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।
বর্ষার ফুলের উৎসব
বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!
রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।
এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।