নাঙ্গলকোট উপজেলার পেরিয়া ইউনিয়নের আশারকোটা গ্রামের মিজানুর রহমানের জমি দখল করে বিএনপি কার্যালয় ও ড্রেন নির্মাণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বাধা দেওয়ায় গতকাল শুক্রবার দুপুরে তাঁর ওপর হামলা চালায় অভিযুক্তরা।
জীবন বাঁচাতে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেখানে তাঁকে জিম্মি করে রাখে অভিযুক্তরা। পরে মিজানুর রহমান জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে সহযোগিতা চাইলে থানার সহকারী উপপরিদর্শক আল আমিন ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করার সময়ও হামলা করে অভিযুক্তরা। 
এ ঘটনায় মিজানুর রহমান থানা ও সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি জানান, তাঁর বাড়ির ওপর দিয়ে ড্রেন নির্মাণ করার জন্য নির্মাণসামগ্রী নিয়ে আসে আশারকোটা গ্রামের বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম, সৈয়দ আহম্মেদ, মোখলেছুর রহমান, যুবদল নেতা আবু মিয়া, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মুনসুর, আব্দুল ওহাব, পেরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মাহফুজুর রহমান, তার ভাই জহিরুল ইসলামসহ ১০-১৫ জন। তারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে ড্রেন নির্মাণ শুরু করে। তারা গালাগাল করে হুমকি দিয়ে বলে এখানে ড্রেন হবে পাশাপাশি বিএনপি অফিস হবে। নিজের জমিতে ড্রেন ও বিএনপির অফিস করতে দেবেন না বলায় হামলা করে তারা। জীবন বাঁচাতে পাশের বাড়িতে গিয়ে ঘরের দরজা লাগিয়ে বসেছিলেন তিনি। সেখানে তারা জিম্মি করে রাখে এবং বাড়ির টিনের বেড়া, গেট ভাঙচুর ও গাছের সব ফল লুট করে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, ‘আমি ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে পুলিশের সামনে মারপিট শুরু করে তারা।’
অভিযোগের ব্যাপারে আমিনুল ইসলাম, আবু মিয়া, মনসুর ও মাহফুজ মেম্বার জানান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এ বি এম আবুল কাশেমের এখানে ১ শতক জমি রয়েছে। সেই জমিতেই ড্রেন নির্মাণ করছেন তারা। মিজান অন্যায়ভাবে বাধা দিয়েছেন। সাবেক চেয়ারম্যান এ বি এম আবুল কাশেম বলেন, ‘এখানে আমার ৬৬ শতক জমির মধ্যে বিক্রি করার সময় সবার সুবিধার্থে ড্রেনের জন্য ১ শতক জমি রেখেছি। এখন সেই জমিতে ড্রেন করতে গেলে তারা জমিটি নিজের দাবি করে বাধা দেয়।’
পেরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল বাশার জানান, এখানে বিএনপির কোনো অফিস হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি। উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক নজির আহম্মেদ ভূঁইয়ার ভাষ্য, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তাছাড়া কেউ জমি দখল করে বিএনপির অফিস স্থাপন করতে চায়, তারা বিএনপির নেতাকর্মী নয়, বরং তারা দলের ক্ষতি করার জন্য এমনটি করতে পারে।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি এ কে ফজলুল হক বলেন, জরুরি ফোন পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দখল ব এনপ র র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ