চেন্নাই সুপার কিংসের নিয়মিত অধিনায়ক ঋতুরাজ গাইকোয়াড় ইনজুরিতে পড়েছেন। পুরো আইপিএল মৌসুম থেকে ছিটকে গেছেন তিনি। তার জায়গায় নেতৃত্বভার গেছে এমএস ধোনির কাঁধে। এবার ঋতুরাজের জায়গা পূরণে ১৭ বছরের এক ব্যাটারকে দলে নিল চেন্নাই। 

তরুণ এই ব্যাটারের নাম আয়ূশ মাত্রে। তিনি মুম্বাইয়ের ছেলে। আইপিএলে নিলামে ৩০ লাখ রুপির ড্রাফটে ছিলেন। তবে অবিক্রিত থেকে যান। ভিত্তিমূল্যে তরুণ এই ব্যাটারকে দলে নিয়েছে চেন্নাই। ২০ এপ্রিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ম্যাচের আগে চেন্নাই ক্যাম্পে যোগ দেবেন তিনি। 

আয়ূশকে দলে নেওয়ার বিষয়ে চেন্নাইয়ের টিম ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে, তাকে যত দ্রুত সম্ভব দলে যোগ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। তবে সে দু-একদিন সময় চেয়েছে। মুম্বাইয়ে দলের ক্যাম্পে যোগ দেবে সে। 

ঋতুরাজ ছিটকে যাওয়ার পর চেন্নাইয়ে দলটির ম্যানেজমেন্ট একটি ট্রায়ালের আয়োজক করেছিল। সেখানে মুম্বাইয়ের ছেলে আয়ূশ মাত্রে, গুজরাটের ছেলে উরভি প্যাটেল ও কেরেলার সালমান নিজার অংশ নিয়েছিলেন। এছাড়া এবারের আইপিএলে দল না পাওয়া পৃশ্বী শ’ ছিলেন চেন্নাই ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার আলোচনায়। তবে আয়ূশকে শেষ পর্যন্ত বেছে নিয়েছে চেন্নাই। 

আয়ূশ ভারতের শীর্ষ পর্যায়ে এখন পর্যন্ত মাত্র ৯টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। দুই সেঞ্চুরিতে তিনি ৫০৪ রান করেছেন। সর্বোচ্চ ইনিংস ১৭৬। সাতটি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলেও তিনি দুই সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন। রান করেছেন ৪৫৮। মুম্বাইয়ের ক্রিকেটাঙ্গনে প্রতিভার বিচারে আলোচিত নাম এই টপ অর্ডার ব্যাটার আয়ূশ। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে ১৫০ প্লাস ইনিংস খেলেছেন তিনি।    
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবকে এখনও দেশের সবচেয়ে বড় তারকা মানেন তামিম

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে মুখ খুলেছেন তামিম ইকবাল। সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তারকা খ্যাতি বা ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, এই দুই তারকার দূরত্বের পেছনে অন্য কারণ কাজ করেছে। তবে সেই দূরত্ব ঘোচানোর জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলেও আক্ষেপ করেছেন তিনি।

তামিম বলেন, ‘অনেকে বলে, কে কার চেয়ে সেরা। কার এনডোর্সমেন্ট বেশি। এগুলো কিছুই আমাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করেনি। আমি সব সময় বলেছি, বাংলাদেশের স্পোর্টসে সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব। আমি নিজেই যখন এটা বলি, তখন তারকা খ্যাতি সম্পর্কের অবনতির কারণ হতে পারে না।’

তিনি জানান, বিসিবির পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হলে সাকিব ও তার মধ্যকার দূরত্ব কমত। ‘তারা আলাদাভাবে কথা বলেছেন, কিন্তু দু’জনকে একসঙ্গে বসিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেননি’, বলেন তামিম।

তামিম আরও বলেন, অধিনায়ক থাকার সময় সম্পর্কটা স্বাভাবিক করতে তিনি নিজেই চেষ্টা করেছেন। যদিও সে চেষ্টা তখন সফল হয়নি, ভবিষ্যতে সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা এখনও তিনি দেখেন।

এমনকি নিজের অসুস্থতার সময় সাকিবের সহানুভূতিশীল আচরণের কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করেন তামিম। বলেন, ‘আমার অসুস্থতার সময়ে সাকিব তার ফেসবুকে দোয়ার অনুরোধ করেছিল। তার বাবা-মা হাসপাতালে আমাকে দেখতে গিয়েছেন। আমরা দু’জনই পরিণত। সামনাসামনি হলে এবং নিজেদের মধ্যে কথা হলে সম্পর্ক উন্নত হতে পারে।’

তামিমের এই মন্তব্যেই বোঝা যায়, ব্যক্তিগত বিরোধ থাকলেও তামিম এখনও চান সাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কটা সুস্থতায় ফিরুক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ