পহেলা বৈশাখে ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে ‘ক্ল্যাসিকাল ফ্ল্যাশ মব’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে বাংলা নববর্ষকে বরণ করতে ঐতিহ্যবাহী ঢাকঢোলের সমন্বয়ে এই ‘ফ্ল্যাশ মবের’ আয়োজন করা হয়।

‘আইলো আইলো আইলো রে, রঙ্গে ভরা বৈশাখ আবার আইলো রে’, ‘দিলে বড় জ্বালারে পাঞ্জাবিওয়ালা’, ‘মেলায় যাই রে’—এমন সব জনপ্রিয় গানের সুরে সুরে একদল তরুণ-তরুণী ফ্ল্যাশ মব পরিবেশনা করেন। তাদের এই পরিবেশনা উপভোগ করেছে বসুন্ধরা সিটি আয়োজিত বৈশাখী মেলায় আগত দর্শনার্থীরা।

এবারের বৈশাখে বসুন্ধরা সিটিতে এটি একটি ব্যতিক্রম আয়োজন ছিল বলে জানান অনেক তরুণ-তরুণী। ফ্ল্যাশ মবের পরিবেশনা দারুণভাবে উপভোগ করেছেন বলে জানান তারা। শুধু তাই নয়, এর আগে ঢাক-ঢোলের তালে নৃত্য পরিবেশনা ছিল চোখে পড়ার মতো।

বসুন্ধরা সিটির সপ্তাহব্যাপী বৈশাখী মেলার দ্বিতীয় দিনে শিশু-কিশোরসহ সকল বয়সের দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করতেই এই ফ্ল্যাশ মবের আয়োজন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

এছাড়া, মেলায় রয়েছে—বায়োস্কপ, হাওয়াই মিঠাই, চুড়ির মেলা, ফুল, দেশি-বিদেশি ফ্যাশন ব্র্যান্ড শপ-বিটু, ইনফিনিটি মেগা মল, শিশু পরিবহন, লাইভ শপিং, ভোগ বাই প্রিন্স এবং স্পাশ। লেভেল-৮-এ চড়ুই ভাতির আড্ডা, পিঠাপুলির আসর ও শরবতের হাঁড়ি খাবারের স্টলে আছে পান্তা ইলিশ, ইলিশ পোলাও, ইলিশ খিচুড়ি, রূপচাঁদা ফ্রাই, বগুড়ার দই, চার রকমের ভর্তা ও পিঠা—পাটিসাপটা, নলডা, মালমোয়া, নিমকি, চিনি ও গুড়ের মুড়ালি, কদমা/তিলা, চিনির হাতি-ঘোড়া, মুড়ির মোয়া, নাড়ু, জুস, কুষ্টিয়ার কুলফি এবং ঢোল ও চুলির সাথে ক্লাসিক্যাল ফ্ল্যাশ মব।

বৈশাখী মেলা ও উৎসবের উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা গ্রুপ বিসিডিএলের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন শেখ এহসান রেজা।

ঢাকা/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ ল য শ মব

এছাড়াও পড়ুন:

ক্রান্তিকালে বিসিবির প্রস্তুতির অভাব দেখছেন তামিম

জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের নির্ভরতার প্রতীক তামিম ইকবাল মনে করছেন, সাকিব-মুশফিক-রিয়াদদের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার জন্য আগেভাগে প্রস্তুত ছিল না বিসিবি। এই পরিস্থিতিতে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি), টাইগার্স ও ‘এ’ দলের কাঠামোতে আরও বেশি বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘পাঁচজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সরে গেছে, যাদের অভিজ্ঞতা ১৫-১৭ বছরের। তারা হাজারের বেশি ম্যাচ খেলেছে। এই মানের ক্রিকেটারদের বিদায়ে শূন্যতা আসবেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বোর্ড কি এই ক্রান্তিকালের জন্য প্রস্তুত ছিল?’

তামিমের মতে, জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই এখন ৭-১০ বছর ধরে খেলছেন। এই সময়টাতে তাদের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য বিকল্প খেলোয়াড় গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলকে যতটা সম্ভব সুযোগ-সুবিধা দিন, কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে এইচপি, টাইগার্স ও “এ” দলে বেশি ফোকাস করুন। এই জায়গাগুলোতে ভালো বিনিয়োগ না হলে জাতীয় দল সবসময় ধুঁকতেই থাকবে।’

তবে সামগ্রিকভাবে দেশের ক্রিকেট নিয়ে আশাবাদী তামিম। তার ভাষায়, ‘আমরা কখনোই তিন সংস্করণে একসঙ্গে ভালো করিনি। এই দলটাকেও যদি সময় দেওয়া হয়, তারা ঘুরে দাঁড়াবে।’

ভবিষ্যৎ তারকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তামিম বেশ কয়েকজনের নাম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পেস বিভাগে তাসকিন আছে, নতুন নাহিদ রানা ভালো করছে। তাইজুল চমৎকার স্পিনার। হৃদয়, জাকের আলীরাও সম্ভাবনাময়। এদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ বড় তারকা হয়ে উঠতে পারে।’

সবশেষে তিনি বোর্ডের প্রতি ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস দিন, বোঝান– তারা বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ