Samakal:
2025-05-01@05:00:09 GMT

শিশুর দাঁতের ক্ষয় রোধে করণীয়

Published: 15th, April 2025 GMT

শিশুর দাঁতের ক্ষয় রোধে করণীয়

আজকাল শিশুদের মধ্যে দাঁতের সমস্যা অনেক বেড়েছে।  বিশেষজ্ঞরা জানান,এর প্রধান কারণ জীবনধারা এবং ব্রাশ করার পদ্ধতি। অনেকের ধারণা অতিরিক্ত চকোলেট এবং মিষ্টি খাওয়ার কারণে শিশুদের দাঁতের সমস্যা হচ্ছে। তবে চিকিৎসকদের মতে, এর পিছনে একটি বড় কারণ হল ছোট থাকতে তাদের বোতলে দুধ খাওয়ানো। যারা রাতে দুধ পান করে তাদের মুখে দুধ আটকে থাকে; দাঁতের ক্ষয়ের সমস্যা দুধের দাঁতে শুরু হয়। দীর্ঘ সময় ধরে মুখে ব্যাকটেরিয়া থাকলে দাঁতের ক্ষয় শুরু হয়, যা দাঁতের এনামেলকে আক্রমণ করে। এর জন্য,শিশুর অবশ্যই কুলিকুচি করা এবং ব্রাশ করার নিয়মগুলি জানা উচিত। এসব অভ্যাস শিশুদের দাঁত নষ্ট হওয়া রোধ করতে পারে।

চিকিৎসকদের মতে, শিশুদের দাঁত ক্ষয় রোধ করার জন্য দিনে দুবার ব্রাশ করা প্রয়োজন। শিশুদের রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করা ভালো, তবে সকালে ঘুম থেকে উঠেই ব্রাশ করা জরুরি নয়। এর পরিবর্তে, সকালের নাশতার পরে ব্রাশ করা উচিত। প্রতিবার খাবারের পরে শিশুদের দাঁত পরিষ্কার করা উচিত। প্রতিবার দাঁত ব্রাশ না করলেও অবশ্যই পানি দিয়ে কুলিকুচি করে শিশুদের দাঁত পরিষ্কার করা জরুরি। এতে খাবার দাঁতে আটকে যাবে না এবং দাঁতের ক্ষয় রোধ হবে।

শিশুদের দাঁতের ক্ষয় রোধ করার উপায়
রাতে খাবারের পর শিশুরা যেন দাঁত ব্রাশ করে তা নিশ্চিত করুন।

যখনই শিশুরা মিষ্টি কিছু খাবে, তখনই পানি দিয়ে কুলিকুচি করার অভ্যাস তৈরি করতে উৎসাহিত করুন।

শিশুদের দাঁত ব্রাশ করার জন্য ফ্লোরাইড টুথপেস্ট দিন।

খাওয়ার পর শিশুদের দাঁত ব্রাশ করার অভ্যাস করুন।

দিনে একবার লবণ ও পানি দিয়ে শিশুদের কুলিকুচি করার অভ্যাস তৈরি করুন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ শ র যত ন ব র শ কর র ত ব র শ কর

এছাড়াও পড়ুন:

চিকিৎসক মাত্র ৩ জন, অন্তঃসত্ত্বাদের সেবায় নার্স, দাঁতের চিকিৎসায় টেকনোলজিস্ট

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার দিঘিরপাড় গ্রামের কিশোরী ইয়াসমিন আখতার (১৫) পেটে ব্যথা নিয়ে রোববার দুপুরে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। জরুরি বিভাগের স্বাস্থ্য সহকারীরা রোগীর শয্যায় তাঁকে শুইয়ে রাখেন। কিছু সময় পর জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এভাবে প্রতিদিন তিনজন চিকিৎসক, চার থেকে পাঁচজন স্বাস্থ্য সহকারী ও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট দিয়ে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৫০ থেকে ৩০০ মানুষের চিকিৎসা চালাতে হচ্ছে। এ উপজেলায় প্রায় আড়াই লাখ মানুষের বসবাস।

হাসপাতালে গিয়ে পাওয়া গেল চিকিৎসক আলমগীর হোসেনকে। তিনি হাসপাতালের ১০ নম্বর কক্ষে বসেন। এ কক্ষের সামনে রোগীদের ভিড় দেখা গেল বেশি। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসক সংকটের কারণে রোগীর চাপ একটু বেশি। এত সব রোগী সামলাতে বেশ হিমশিম খেতে হয়। এ ছাড়া বাহুবল দাঙ্গাপ্রবণ এলাকা। হঠাৎ ঝগড়া করে একসঙ্গে ঝাঁকে ঝাঁকে লোকজন চলে আসেন। যতটুকু সম্ভব এর মধ্যেই রোগীদের ভালো সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি।’ তিনি জানান, জরুরি বিভাগের দায়িত্ব, বহির্বিভাগের দায়িত্ব, আবাসিক বিভাগের দায়িত্বসহ মোট ৫টি পদে তাঁকে একাই কাজ করতে হচ্ছে। হবিগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রেষণে তাঁকে এখানে পাঠানো হয়েছে।

শুক্র-শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় রোববার অন্যান্য দিনের তুলনায় বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর চাপ অনেক বেশি ছিল। সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারে রোগীদের দীর্ঘ সারি। কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতা রোগের ধরন অনুযায়ী রোগীদের বিভিন্ন কক্ষে চিকিৎসকদের কাছে পাঠাচ্ছেন।
জরুরি বিভাগ সামলাচ্ছেন একজন চিকিৎসক এবং দুই থেকে তিনজন স্বাস্থ্য সহকারী। তাঁরা রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপত্র দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ বলছে, চিকিৎসকের সংকটের কারণে কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা দিয়ে জরুরি বিভাগের কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। চিকিৎসকদের ১৭টি পদের মধ্যে ১৪টিই শূন্য। শিশুদের জন্য জুনিয়র কনসালট্যান্ট আছেন মাত্র একজন। গাইনি বিভাগের কোনো চিকিৎসক না থাকায় একজন জ্যেষ্ঠ নার্স দিয়ে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।

বেশ কয়েকজন রোগীর সঙ্গে চিকিৎসা নিয়ে কথা হলে তাঁদের অধিকাংশই বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাসেবায় সন্তুষ্টির কথা জানালেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চিকিৎসক মাত্র ৩ জন, অন্তঃসত্ত্বাদের সেবায় নার্স, দাঁতের চিকিৎসায় টেকনোলজিস্ট