আজকাল শিশুদের মধ্যে দাঁতের সমস্যা অনেক বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানান,এর প্রধান কারণ জীবনধারা এবং ব্রাশ করার পদ্ধতি। অনেকের ধারণা অতিরিক্ত চকোলেট এবং মিষ্টি খাওয়ার কারণে শিশুদের দাঁতের সমস্যা হচ্ছে। তবে চিকিৎসকদের মতে, এর পিছনে একটি বড় কারণ হল ছোট থাকতে তাদের বোতলে দুধ খাওয়ানো। যারা রাতে দুধ পান করে তাদের মুখে দুধ আটকে থাকে; দাঁতের ক্ষয়ের সমস্যা দুধের দাঁতে শুরু হয়। দীর্ঘ সময় ধরে মুখে ব্যাকটেরিয়া থাকলে দাঁতের ক্ষয় শুরু হয়, যা দাঁতের এনামেলকে আক্রমণ করে। এর জন্য,শিশুর অবশ্যই কুলিকুচি করা এবং ব্রাশ করার নিয়মগুলি জানা উচিত। এসব অভ্যাস শিশুদের দাঁত নষ্ট হওয়া রোধ করতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, শিশুদের দাঁত ক্ষয় রোধ করার জন্য দিনে দুবার ব্রাশ করা প্রয়োজন। শিশুদের রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করা ভালো, তবে সকালে ঘুম থেকে উঠেই ব্রাশ করা জরুরি নয়। এর পরিবর্তে, সকালের নাশতার পরে ব্রাশ করা উচিত। প্রতিবার খাবারের পরে শিশুদের দাঁত পরিষ্কার করা উচিত। প্রতিবার দাঁত ব্রাশ না করলেও অবশ্যই পানি দিয়ে কুলিকুচি করে শিশুদের দাঁত পরিষ্কার করা জরুরি। এতে খাবার দাঁতে আটকে যাবে না এবং দাঁতের ক্ষয় রোধ হবে।
শিশুদের দাঁতের ক্ষয় রোধ করার উপায়
রাতে খাবারের পর শিশুরা যেন দাঁত ব্রাশ করে তা নিশ্চিত করুন।
যখনই শিশুরা মিষ্টি কিছু খাবে, তখনই পানি দিয়ে কুলিকুচি করার অভ্যাস তৈরি করতে উৎসাহিত করুন।
শিশুদের দাঁত ব্রাশ করার জন্য ফ্লোরাইড টুথপেস্ট দিন।
খাওয়ার পর শিশুদের দাঁত ব্রাশ করার অভ্যাস করুন।
দিনে একবার লবণ ও পানি দিয়ে শিশুদের কুলিকুচি করার অভ্যাস তৈরি করুন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ শ র যত ন ব র শ কর র ত ব র শ কর
এছাড়াও পড়ুন:
উদ্ধার হলো এয়ার ইন্ডিয়ার বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের ব্ল্যাক বক্স
ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে টেকঅফের পরপরই বিধ্বস্ত হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে ভারতের এয়ারক্র্যাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি) জানায়, গুজরাট সরকারের ৪০ জন সদস্যের সহায়তায় ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার করা হয়েছে। এটি ঘটনাস্থলের কাছেই এক চিকিৎসকদের হোস্টেলের ছাদ থেকে পাওয়া গেছে। খবর এনডিটিভির
ব্ল্যাক বক্সে উড়োজাহাজের গতি, উচ্চতা, ইঞ্জিনের পারফরম্যান্স, ককপিটের কথোপকথনসহ গুরুত্বপূর্ণ ডেটা রেকর্ড থাকে। সাধারণত এটি উজ্জ্বল কমলা রঙের হয়, যেন ধ্বংসস্তূপের মধ্যেও সহজে শনাক্ত করা যায়।
এই বিধ্বস্ত বোয়িং ড্রিমলাইনারটি ১২ বছর আগে তৈরি হয়েছিল। দুর্ঘটনায় পড়ার সময় এতে ২৪২ জন যাত্রী ছিলেন, যাদের মধ্যে কেবল একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক প্রাণে বেঁচেছেন।
টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখর জানান, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের তদন্তকারীরা ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। প্রশিক্ষিত বিশেষজ্ঞরা এই দুঃসহ বিপর্যয়ের কারণ খুঁজে বের করবেন।
আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, উড়োজাহাজটি স্বাভাবিকভাবেই রানওয়ে ধরে ছুটে যায় এবং উড্ডয়নের সময়ও কোনও অস্বাভাবিকতা ছিল না। তবে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই এটি কাঙ্ক্ষিত উচ্চতা অর্জন করতে না পেরে দ্রুত নিচের দিকে নেমে আসে। দ্রুত তা একটি মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকদের হোস্টেলে সজোরে আঘাত করে।