বড় ছক্কাতে অতিরিক্ত রান নেই। ছক্কা মারলে স্কোরবোর্ডে ৬ রানই যোগ হয়। সেটা ৬০ মিটারের ছক্কা হোক কিংবা ১০০ মিটারের! এরপরও ক্রিকেটে বড় ছক্কা মারতে পারা ব্যাটসম্যানদের একটা বাড়তি কদর আছে। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতে। তা এবারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ছক্কাটা মেরেছেন কে?

আইপিএলে এবার এখন পর্যন্ত ম্যাচ হয়েছে ৩০টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ছক্কাটি এসেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অভিষেক শর্মার ব্যাট থেকে। ১২ এপ্রিল পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ম্যাচে ১০৬ মিটারের ছক্কা মারেন এই বাঁহাতি ওপেনার। সেদিন অভিষেক ছক্কা মারেন আরও ৯টি। খেলেন ৫৫ বলে ১৪১ রানের ইনিংস।

আরও পড়ুনহামজার সব গল্পে এখন শুধু বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ৫৯ মিনিট আগে

১০৫ মিটারের ছক্কা আছে দুজনের। বেঙ্গালুরুর ফিল সল্ট ও হায়দরবাদের ট্রাভিস হেডের। হেড ১০৫ মিটারের ছক্কাটি মেরেছিলেন নিজেদের প্রথম ম্যাচে, ২৩ মার্চ। সল্টের বড় ছক্কাটি এসেছে ২ এপ্রিল, গুজরাটের বিপক্ষে ম্যাচে। মজার ব্যাপার হলো, বড় ছক্কা মারা ৩ জনই ওপেনার।

এই তিনজন বাদে ১০০ মিটারের বেশি দূরে বল পাঠিয়েছেন শুধু নিকোলাস পুরান ও অনিকেত বর্মা। দুজনের ছক্কার দূরত্ব ১০২ মিটার করে।

১২৫২০০৮ সালে আইপিএলে সবচেয়ে বড় ছক্কা মারার রেকর্ড গড়েন আলবি মরকেল

আইপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ছক্কা দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার আলবি মরকেলের। ২০০৮ সালে ১২৫ মিটারের ছক্কা মেরে এই রেকর্ড গড়েছেন তিনি।

বর্তমানে আইপিএলে খেলছেন এমন ক্রিকেটারের মধ্যে বড় ছক্কা লিয়াম লিভিংস্টোনের। বেঙ্গালুরুতে খেলা এই অলরাউন্ডার ২০২২ সালে ১১৭ মিটারের ছক্কা মারেন।

আরও পড়ুনছক্কার ঝড় তুলে এক মাসে ৪ সেঞ্চুরি করা কে এই সাহিবজাদা৩ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সবচ য়

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস

রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।

‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।

এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।

বর্ষার ফুলের উৎসব

বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!

রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।

এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ