সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের আন্তঃজেলা (একই বিভাগের অভ্যন্তরে) অনলাইন বদলি শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল)।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বদলির সময়সূচি ও শর্ত তুলে ধরে মাঠ পর্যায়ে আদেশের চিঠি দিয়েছে।

চিঠির বর্ণনা অনুযায়ী, ১৭ থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত সহকারী শিক্ষকরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। ২০ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। ২১ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত সহকারী উপজেলা-থানা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার যাচাই সম্পন্ন করবেন। ২৪ ও ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।

আরো পড়ুন:

কুয়েটের ৫ হলের তালা ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা, ভিসির পদত্যাগের একদফা

হামাস যোদ্ধাদের বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ক্ষমা চাইলেন শিক্ষিকা

২৬ ও ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও ২৮ এপ্রিল সিস্টেমে স্বয়ংক্রিয় মনোনয়ন শেষে ২৯ ও ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বিভাগীয় উপ-পরিচালক প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।

আদেশে বলা হয়েছে, সহকারী শিক্ষকরা পছন্দের ক্রমানুসারে সর্বোচ্চ তিনটি বিদ্যালয় বাছাই করতে পারবেন। তবে কোনো শিক্ষকের একাধিক পছন্দ না থাকলে শুধু এক বা দুটি বিদ্যালয় পছন্দ করতে পারবেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বদলির আদেশ জারি হলে তা বাতিল করার জন্য পরে কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।  

যাচাইকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা সর্বশেষ সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা-২০২৩ অনুযায়ী আবেদনকারীর আবেদন ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করে পাঠাবেন।

যাচাইকারী কর্মকর্তাকে সতর্কতার সঙ্গে যাচাই করতে নির্দেশ দিয়ে আদেশে বলা হয়েছে, যাচাই করে পাঠানোর পর কোনো আবেদনের ওপর পুনঃবিবেচনার আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।

আদেশে আরেকটি বিষয় করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এরইমধ্যে ২১৬টি উপজেলা-থানায় ১০ শতাংশের বেশি শিক্ষক অন্য উপজেলা থেকে বদলি হয়ে এসেছেন। সেক্ষেত্রে উক্ত উপজেলাগুলোতে আন্তঃজেলা বদলির আওতাবহির্ভূত থাকবে এবং অবশিষ্ট ২৭১টি উপজেলা-থানায় বদলি কার্যক্রম চলমান থাকবে।

আদেশে বর্ণিত সময়সূচি অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকদের আন্তঃজেলা (একই বিভাগের অভ্যন্তরে) অনলাইন বদলির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিভাগীয় উপ-পরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা-থানা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, সহকারী উপজেলা-থানা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবং সব প্রধান শিক্ষককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অফ স র বদল র উপজ ল সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল

বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের একটি ধারা প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। ধারাটিতে অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা উল্লেখ রয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।

২০১৭ সালে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়। আইনের ১৮ ধারায় অপরাধ আমলে নেওয়ার সময়সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে। ধারাটি বলছে, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার দুই বছরের মধ্যে অভিযোগ করা না হলে আদালত ওই অপরাধ আমলে গ্রহণ করবে না।

ওই ধারার বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান গত মাসের শেষ দিকে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।

রুলে অপরাধের অভিযোগ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা আরোপ–সংক্রান্ত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৮ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রুলের বিষয়টি জানিয়ে আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ শীর্ষে বলে ইউনিসেফের প্রতিবেদনে এসেছে। আইনের ১৮ ধারায় সময়সীমা উল্লেখ করে দুই বছরের মধ্যে মামলা না করতে পারলে কোনো আদালত অপরাধ আমলে গ্রহণ করতে পারবে না বলা হয়েছে। অর্থাৎ বিচার করতে পারবে না। যে মেয়েটির ১১–১২ বছরে বিয়ে হয় তারপক্ষে দুই বছরের মধ্যে মামলা করা সব সময় সম্ভব না–ও হতে পারে। তখন সে নিজেই শিশু। দুই বছর পর আদালত বিচার করতে পারবে না এবং সময়সীমা আইনে বেঁধে দেওয়া সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী—এমন সব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল
  • ট্রাম্প কি রাজার শাসন চালাচ্ছেন