প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্তঃজেলা বদলি শুরু বৃহস্পতিবার
Published: 16th, April 2025 GMT
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের আন্তঃজেলা (একই বিভাগের অভ্যন্তরে) অনলাইন বদলি শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল)।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বদলির সময়সূচি ও শর্ত তুলে ধরে মাঠ পর্যায়ে আদেশের চিঠি দিয়েছে।
চিঠির বর্ণনা অনুযায়ী, ১৭ থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত সহকারী শিক্ষকরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। ২০ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। ২১ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত সহকারী উপজেলা-থানা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার যাচাই সম্পন্ন করবেন। ২৪ ও ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।
আরো পড়ুন:
কুয়েটের ৫ হলের তালা ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা, ভিসির পদত্যাগের একদফা
হামাস যোদ্ধাদের বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ক্ষমা চাইলেন শিক্ষিকা
২৬ ও ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও ২৮ এপ্রিল সিস্টেমে স্বয়ংক্রিয় মনোনয়ন শেষে ২৯ ও ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বিভাগীয় উপ-পরিচালক প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।
আদেশে বলা হয়েছে, সহকারী শিক্ষকরা পছন্দের ক্রমানুসারে সর্বোচ্চ তিনটি বিদ্যালয় বাছাই করতে পারবেন। তবে কোনো শিক্ষকের একাধিক পছন্দ না থাকলে শুধু এক বা দুটি বিদ্যালয় পছন্দ করতে পারবেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বদলির আদেশ জারি হলে তা বাতিল করার জন্য পরে কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
যাচাইকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা সর্বশেষ সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা-২০২৩ অনুযায়ী আবেদনকারীর আবেদন ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করে পাঠাবেন।
যাচাইকারী কর্মকর্তাকে সতর্কতার সঙ্গে যাচাই করতে নির্দেশ দিয়ে আদেশে বলা হয়েছে, যাচাই করে পাঠানোর পর কোনো আবেদনের ওপর পুনঃবিবেচনার আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
আদেশে আরেকটি বিষয় করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এরইমধ্যে ২১৬টি উপজেলা-থানায় ১০ শতাংশের বেশি শিক্ষক অন্য উপজেলা থেকে বদলি হয়ে এসেছেন। সেক্ষেত্রে উক্ত উপজেলাগুলোতে আন্তঃজেলা বদলির আওতাবহির্ভূত থাকবে এবং অবশিষ্ট ২৭১টি উপজেলা-থানায় বদলি কার্যক্রম চলমান থাকবে।
আদেশে বর্ণিত সময়সূচি অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকদের আন্তঃজেলা (একই বিভাগের অভ্যন্তরে) অনলাইন বদলির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিভাগীয় উপ-পরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা-থানা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, সহকারী উপজেলা-থানা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবং সব প্রধান শিক্ষককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অফ স র বদল র উপজ ল সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে হামলা: ট্রাম্প ৬০ দিনের সময়সীমার কথা বলছেন, সেটি কী?
ইরানকে ৬০ দিনের সময় বেঁধে (আলটিমেটাম) দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সময়সীমা শেষ হওয়ার পরদিনই দেশটিতে ভয়াবহ হামলা চালাল যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েল। আজ শুক্রবার ট্রাম্প নিজেই ওই সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার কথা জানান।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চলতি বছরের শুরুর দিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সেই চিঠিতে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে সরে আসার বিষয়ে একটি চুক্তিতে রাজি হতে চাপ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তিতে পৌঁছাতে ওয়াশিংটন–তেহরান আলোচনা সফল করতে ৬০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সেই চিঠিতে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে ইরান চুক্তি নিয়ে প্রথম দফার আলোচনা ১২ এপ্রিল শুরু হয়েছিল। সেদিন থেকেই এই ৬০ দিনের সময়সীমা গণনা শুরু হয়। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার পরদিন গতকাল বৃহস্পতিবার ১২ জুন ইসরায়েল হামলা চালাল ইরানের অন্তত ৮টি শহরে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আজ সিএনএনের সাংবাদিক ডানা বাসকে বলেন, ‘আমার কথা শোনা উচিত ছিল ইরানের। যখন আমি বলেছিলাম—আপনি জানেন, আমি ওদের ৬০ দিনের এক সতর্কবার্তা দিয়েছিলাম, আপনি জানেন কি না, জানি না, কিন্তু আমি ওদের ৬০ দিনের সময়সীমা দিয়েছিলাম, আর আজ ৬১তম দিন।’
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনির উদ্দেশে পাঠানো চিঠির প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প ইরানকে সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
বছরের শুরুর দিকে ফক্সনিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চিঠির প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি আশা করি, ইরান আলোচনায় আসবে—আমি তাদের চিঠি লিখে জানিয়েছি, আমি আশা করি, তোমরা আলোচনা করবে। কারণ, আমাদের যদি সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করতে হয়, তাহলে সেটা ইরানের জন্য ভয়াবহ হবে।’
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, আমি আশা করি, তোমরা আলোচনা করবে। কারণ, সেটা ইরানের জন্য অনেক ভালো হবে।’
ইরানের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এবং আলোচনায় জড়িত ব্যক্তিরা জানতেন যে সময়সীমা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য চাপ ক্রমেই বাড়ছিল। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা আগে বলেছিলেন, ৬০ দিনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও আলোচনা চলবে। কিন্তু এখন ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর হামলা চালানোর পর এই আলোচনার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে—যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে জোর দিচ্ছেন।