খালেদা জিয়া ও শফিকুরের বৈঠক নিয়ে কৌতূহল
Published: 17th, April 2025 GMT
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজনীতির মাঠে মিত্র থেকে প্রতিযোগীতে পরিণত হওয়া বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের বৈঠক কৌতূহল সৃষ্টি করেছে। নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে হঠাৎ জামায়াতের অবস্থান স্পষ্ট করা এ বৈঠকেরই ফল কিনা– এ আলোচনাও রয়েছে।
গত রোববার লন্ডনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.
দল দুটির সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে রাজনীতি, সংস্কার, নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীরা নানা অপকর্মে যুক্ত– সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন প্রচারণার জন্য জামায়াতের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে অভিযোগ করা হয়। যদিও জামায়াতের পক্ষ থেকে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে বলা হয়, এগুলো তাদের নিয়ন্ত্রিত নয়। ২২ বছর বিএনপির সঙ্গে রাজনীতি করেছে জামায়াত। দলটি বিএনপির শত্রু নয়।
১৯৯৯ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দেয় জামায়াত। একসঙ্গে সরকার পরিচালনা করা দল দুটি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে জোট ভাঙে। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ও পরে যুগপৎ আন্দোলন করেছে তারা। শেখ হাসিনার পতন ঘটানো ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দুটি দলের নেতাকর্মীদেরই সর্বাত্মক অংশগ্রহণ ছিল। ৬ আগস্ট খালেদা জিয়া কারামুক্ত হওয়ার পর জামায়াত নেতারা তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন হাসপাতালে।
শেখ হাসিনার পলায়ন এবং অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই এক সময়ের মিত্র বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে প্রতিযোগিতা দেখা যাচ্ছে। দল দুটির নেতারা পরস্পরের কড়া সমালোচনা করছেন। জামায়াতকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ভূমিকার জন্য বিএনপি নেতারা প্রকাশ্যেই সমালোচনা করছেন। জামায়াত নেতারা বিএনপিকে আওয়ামী লীগের মতো অপকর্মে লিপ্ত দল হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে বিএনপির প্রধান নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী হতে জামায়াত ভোটের মাঠে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। নির্বাচন, সংস্কার, আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নির্ধারণসহ প্রায় সব ইস্যুতে দল দুটির অবস্থান বিপরীতমুখী। আর্থিক খাত, পুলিশ-প্রশাসন, শিক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে দলীয় আদর্শের ব্যক্তিদের পদায়নের লড়াই চলছে। শুধু কথার লড়াই আর বাহাস নয়, দল দুটির নেতাকর্মী বিভিন্ন স্থানে সংঘাতেও জড়িয়েছেন। বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারাও জামায়াতকে ব্যাংক দখলকারী, মোনাফেক বলে আখ্যা দেন। এর প্রতিবাদ জানিয়ে জামায়াত নেতারা বিএনপি নেতাকর্মীকে চাঁদাবাজ, দখলদার আখ্যা দিচ্ছেন।
এমন পরিস্থিতিতে গত রোববার খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান ও নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। গত ৮ জানুয়ারি চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান বিএনপির চেয়ারপারসন।
গত ৪ এপ্রিল ইউরোপ সফরে যান শফিকুর রহমান। ১২ এপ্রিল যুক্তরাজ্য গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে পরের দিন দেশে ফেরেন। জামায়াতের নির্বাহী পরিষদ সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ সমকালকে বলেছেন, শুধুই সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। তবে এ ধরনের সাক্ষাৎ সম্পর্ক সুদৃঢ় করে।
রাজনীতি নিয়ে কথা হয়েছে কিনা– এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান জামায়াতের মুখপাত্র মতিউর রহমান। বিএনপির কোনো নেতাই এই বৈঠকের বিষয়ে নাম প্রকাশ করে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে ইউরোপ সফরের বিষয়ে জানাবেন জামায়াত আমির। গতকাল বুধবার খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দেননি। বিএনপি এবং জামায়াতের লন্ডনে অবস্থান করা সূত্র জানিয়েছে, তারেক রহমানের সঙ্গে দীর্ঘ সময় আলাপ হয়েছে শফিকুর রহমানের। গত দুই দিনে তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলা একাধিক নেতা সমকালকে জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপিবিরোধী প্রচারণার বিষয়ে উষ্মা জানানো হয়েছে। জামায়াতের তরফে বলা হয়, ২২ বছর একসঙ্গে রাজনীতি করার পর বিরোধিতা কাম্য নয়। দুই পক্ষের প্রতিযোগিতা থাকলেও, দূরত্ব সৃষ্টি হলে তা ক্ষতিকর।
বিএনপির দিক থেকে বলা হয়, জামায়াতবিরোধী প্রচারণা তারা শুরু করেননি। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব জামায়াতের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছুই বলেনি। জামায়াতই বিএনপিবিরোধী জনমত সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তারাই বলছে, আগামী দিনে আর জোট হবে না। বিএনপি এমন কিছুই বলেনি।
বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবিতে সরব থাকলেও, জামায়াত এতদিন সংস্কারেই জোর দিয়েছে। তবে গতকাল জামায়াত আমির প্রথমবারের মতো স্পষ্ট করে বলেছেন, তাঁর দল কবে নাগাদ নির্বাচন চায়। তিনি বলেছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয়ার্ধে শুরু হতে যাওয়া রমজানের আগেই নির্বাচন চায় জামায়াত।
২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত টানা সাড়ে ১৫ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ বিচারের মুখোমুখি করেছে বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের। দল দুটির কয়েকশ নেতাকর্মী বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুমের শিকার হন। গ্রেপ্তার হন দুই দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী। মামলায় আসামি হয়েছেন কয়েক লাখ নেতাকর্মী।
বিএনপির এক নেতা সমকালকে বলেছেন, দুই দলই আওয়ামী লীগ আমলে নির্যাতনের শিকার। কিন্তু জামায়াত ৫ আগস্টের পর বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠার চেষ্টা করে যেসব অপপ্রচার চালিয়েছে তাতে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে জামায়াতের বৈঠকের বিষয়টি দেশে থাকা বিএনপি নেতারা জানতেন না। বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে– তা এখনও পরিষ্কার নয়। শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশনা পাওয়ার পরই এ বিষয়ে কথা বলা যাবে; জানা যাবে, জামায়াতের বিষয়ে অবস্থানের বদল হয় কিনা।
জামায়াতের একজন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল সমকালকে বলেছেন, কখনোই বিএনপিকে প্রকাশ্যে নাজেহাল করা হয়নি। বিএনপি সন্দেহ করে, সরকার এবং এনসিপির সঙ্গে মিলে জামায়াত নির্বাচন বিলম্বিত করতে চাইছে– এ অমূলক ধারণা থেকেই সম্পর্কের অবনতি। বিএনপি সমালোচনা শুরু করায়, জামায়াতকেও মুখ খুলতে হয়েছে। লন্ডনের বৈঠকে কী আলাপ হয়েছে– তা জানার পরই বলা যাবে বিএনপির বিষয়ে জামায়াত আগামীতে কোন অবস্থানে থাকবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন ত ত র ক রহম ন র ন ত কর ম দল দ ট র অবস থ ন ব এনপ র বল ছ ন র জন ত আওয় ম সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীর কৃষকেরা কেন হাইব্রিড ধানবীজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন
দুই একর জমিতে জিংকসমৃদ্ধ ব্রি-৭৪ জাতের ধান চাষ করেছেন নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার পূর্ব চরবাটা এলাকার কৃষক মো. মোস্তফা। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট-ব্রি উদ্ভাবিত এই জাতের প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছে ৯ দশমিক ২৩ মেট্রিক টন, যা বাজারে থাকা যেকোনো হাইব্রিড ধানের চেয়ে বেশি।
নিজের খেতে চোখজুড়ানো সোনালি ধান দেখে অনেক বেশি উচ্ছ্বসিত কৃষক মোস্তফা। কারণ, বাজার থেকে কেনা হাইব্রিড ধান থেকে বীজ করা যায় না। কিন্তু ব্রি উদ্ভাবিত এই ধান থেকে অনায়াসে বীজ তৈরি করতে পারবেন তিনি। এতে থাকবে না বীজ কেনা নিয়ে দুশ্চিন্তা। সেই সঙ্গে ধানগুলো জিংকসমৃদ্ধ হওয়ায় পরিবারের জিংকের ঘাটতিও দূর হবে। মোস্তফা বলেন, আগামী দিনে তিনি আরও বেশি পরিমাণ জমিতে এই ধান চাষ করবেন।
মোস্তফার মতো একই এলাকার আরেক কৃষক ওমর ফারুকও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট(ব্রি) উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান ব্রি-৯২ চাষ করেছেন দুই একর জমিতে। বীজ ও সারসহ এ পর্যন্ত তাঁর খরচ হয়েছে ৬২ হাজার টাকা। খেতের ধান এরই মধ্যে পাকা শুরু করেছে। ফলনের যে অবস্থা দেখছেন, তাতে মনে হচ্ছে, একরে ফলন হবে কমপক্ষে ১৭০ মণ। যার বাজারমূল্য দেড় লাখ টাকার বেশি।
ওমর ফারুকের খেতে ব্রির এই উচ্চ ফলনশীল ধানের আবাদ দেখে এরই মধ্যে আশপাশের এলাকার অনেক কৃষক যোগাযোগ করেছেন বীজ নেওয়ার জন্য। কারণ, তাঁরা হাইব্রিড চাষ করে ঝুঁকিতে পড়তে চান না। নিজের বীজে নিজেই স্বয়ংসম্পন্ন হতে চান। তাই ওমর ফারুক ঠিক করেছেন, উৎপাদিত ধান থেকে ২৫ মণ রেখে দেবেন বীজের জন্য। এই বীজ বিক্রি করে বাড়তি আয় হবে তাঁর।
শুধু কৃষক হাজি মোস্তফা কিংবা ওমর ফারুকই নন, নোয়াখালীর সুবর্ণচরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার কৃষকেরা চলতি বোরো মৌসুমে ব্রি উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছেন। পাচ্ছেন হাইব্রিড ধানের চেয়েও বেশি ফলন। এর মধ্যে মোহাম্মদপুর গ্রামের কৃষক মাহফুজা বেগম ও আশরাফ হোসেন দম্পতির খেতে চাষ করা ডায়াবেটিক রোগীদের সহনীয় ব্রি-১০৫ জাতের ধানের ফলন পাওয়া গেছে হেক্টরপ্রতি ৮ দশমিক ২ টন, যা বাজারের হাইব্রিড বীজের সমান। এই ধানেরও বীজ সংরক্ষণ করতে পারবেন কৃষকেরা।
চলতি বোরো মৌসুমে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলে নতুন জাতের ব্রি ধানের ৪৯০টি প্রদর্শনী খামার করেছে। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন-পিকেএসএফের স্থানীয় সহযোগী প্রতিষ্ঠান সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে এসব প্রদর্শনীতে ব্রি উদ্ভাবিত ৮ জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। এই জাতের ধানগুলো উচ্চ ফলনশীল, রোগ প্রতিরোধী এবং বিভিন্ন পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ।
কৃষকেরা জানান, এত দিন তাঁরা বাজার থেকে বিভিন্ন কোম্পানির হাইব্রিড ও দেশীয় উফশী (উচ্চ ফলনশীল) জাতের ধানের বীজ কিনে আবাদ করে আসছেন। এবার এসবের বাইরে ব্রি উদ্ভাবিত উফশী ২৮, ২৯, ৫০ ও ৫৫ ধান আবাদ করেছেন অনেকে। এর মধ্যে হাইব্রিড বীজের প্রতি কেজির দাম ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা। আর ব্রির উফশী ধানের বীজ ৫০-১০০ টাকায় পাওয়া যায়। এর মধ্যে প্রতি একর জমিতে চাষ করতে হাইব্রিড ধানের বীজ লাগে ৬ কেজি এবং উফশী জাতের বীজ লাগে ১০ কেজি। এসব বীজের মধ্যে হাইব্রিড প্রতি একরে উৎপাদন হয় ৯০ মণ, উফশী (উচ্চ ফলনশীল) ব্রি-২৮, ২৯, ৫০ ও ৫৫ উৎপাদন হয় ৭০-৭৫ মণ।
পিকেএসএফের কৃষি ইউনিট পরিচালিত সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার কৃষিবিদ শিবব্রত ভৌমিক প্রথম আলোকে বলেন, নোয়াখালী অঞ্চলের ৯৫ শতাংশ কৃষক বোরো মৌসুমে মূলত বাজারের হাইব্রিড ধানের ওপর নির্ভর থাকেন। আর দেশীয় উদ্ভাবিত ব্রি ধান জাত আবাদ করেন মাত্র ৫ শতাংশ কৃষক। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে, হাইব্রিড ধান রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। এতে অনেক কৃষকই লোকসানের মুখে পড়ছেন। তবে এ ক্ষেত্রে ব্রি উদ্ভাবিত নতুন ব্রি-ধানগুলোর ফলন হাইব্রিডের মতো ফলন দেয় এবং কিন্তু রোগবালাই নেই বললেই চলে। এতে কৃষকের খরচ কমে। লাভ হয়, আর বীজও থাকে নিজের হাতে।
ব্রির উচ্চফলনশীল জাতের নতুন জাতের ধান চাষের কথা বলতে গিয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মীরা রানী দাশ প্রথম আলোকে বলেন, ব্রি-উদ্ভাবিত বিভিন্ন পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ধানগুলো চাষাবাদে কৃষকদের মধ্যে তাঁরা ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ করছেন। এর প্রধান কারণ হলো, এসব ধান চাষ করলে একদিকে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হবে, অন্যদিকে কৃষকেরা নিজেরা নিজেদের বীজ সংরক্ষণ করতে পারবেন। তা ছাড়া ব্রি উদ্ভাবিত এসব ধানে রোগবালাইয়ের আক্রমণ হাইব্রিডের তুলনায় কম এবং ফলন হাইব্রিডের সমান কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে হাইব্রিড থেকেও বেশি।
এ বিষয়ে ব্রির ফেনীর সোনাগাজীর আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আমিনুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ব্রি এ পর্যন্ত ১১৫টি জাত আবিষ্কার করেছে। আগে আমাদের উদ্দেশ্য ছিল খাদ্যের অভাব দূর করা, ফলন বাড়ানো। বর্তমানে আমাদের উদ্দেশ্য খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা। খাবার যাতে পুষ্টিমানসম্পন্ন হয়। অধিকাংশই আমিষ ও ভিটামিনের উৎস মাছ, মাংস, ডিম এবং ফলমূল। কিন্তু এসব সবাই কিনে খেতে পারেন না। যেহেতু ভাত প্রধান খাদ্য, এখন আমাদের যে জাতগুলো, এগুলো উদ্ভাবনে পুষ্টির দিকে বেশি মনোযোগ দেওয়া হয়েছে।’ নতুন জাতগুলো পুষ্টিনিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, সেই সঙ্গে হাইব্রিডের প্রতি নির্ভরতা কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তাঁরা আশা করছেন।