Samakal:
2025-05-01@00:12:42 GMT

ফিজকে নিয়ে বলীয়ান মোহামেডান

Published: 17th, April 2025 GMT

ফিজকে নিয়ে বলীয়ান মোহামেডান

ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেটে বেশি ফোকাস থাকে সুপার লিগে। প্রতিটি ম্যাচই শিরোপার রেসে গুরুত্ব বহন করে। ফলে দলগুলোর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় ম্যাচে। এই লড়াই খুবই ভালো হতে পারত জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা খেললে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ থাকায় ১৫ ক্রিকেটার ক্যাম্পে চলে গেছেন। তাদের ছাড়াই আজ মাঠে গড়াবে ডিপিএলের সুপার লিগ। 

নাজমুল হোসেন শান্তরা চলে যাওয়ায় দলগুলোতে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছিল, নানাভাবে তা পূরণও হয়ে গেছে। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব যেমন সুপার লিগের জন্য দলে টেনেছে মুস্তাফিজুর রহমানকে। বাঁহাতি এ পেসার লিগ পর্বে খেলেননি। সম্মানী কম দিতে চাওয়ায় খেলতে রাজি হননি তিনি। জাতীয় দলের পাকিস্তান সফরের আগে মুস্তাফিজের সুপার লিগ খেলা ভালো হয়েছে। তাঁকে দিয়ে তাসকিন আহমেদের জায়গা পূরণ করতে পারবে সাদাকালো শিবির।

মোহামেডান খেলবে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। লিগ টেবিলে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে সাদাকালো দল জয় দিয়ে শুরু করতে চায়। ক্লাব কর্মকর্তারা আশা করছেন, আবাহনীর বিপক্ষে শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হওয়া তাওহীদ হৃদয়কে সুপার লিগে খেলার সুযোগ দেওয়া হবে। তাঁকে না পেলে মোহামেডানের নেতৃত্বে থাকবেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। হৃদয় না খেললেও ব্যাটিং অর্ডারে খুব যে সমস্যা হবে তা না। নিয়ম মানা হলে হৃদয়ের খেলার সুযোগ নেই। কারণ, সিসিডিএম মোহামেডান অধিনায়কের দুই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার চিঠি ইস্যু করেছে। সুপার লিগের জন্য নাবিল সামাদ, ফরহাদ হোসেন আর তৌফিক খান তুষারকে দলে নিয়েছে। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ খুব বেশি তারকা খেলোয়াড়কে জাতীয় দলের জন্য ছাড়তে হয়নি।

জাতীয় দলের জন্য আবাহনী অনেকগুলো তারকা ক্রিকেটার হারিয়েছে। নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক, নাহিদ রানাকে পাচ্ছে না তারা। সীমাবদ্ধতার মাঝেও আবাহনী শক্তিশালী। কোচ হান্নান সরকারের আশা, সামর্থ্যের মধ্যে ভালো খেলবে তাঁর দল। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে আবাহনীর ম্যাচ। তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ পেয়েছে সুপার লিগের প্রথম ম্যাচে। আরেক ম্যাচে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের প্রতিপক্ষ গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। তারুণ্যনির্ভর গুলশান ক্লাব লিগে ভালো খেলেছে। বড় দলের বিপক্ষে ম্যাচ জিতেছে তারা। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের জন্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে খালেদ মাহমুদের দল। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড প এল জ ত য় দল র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ 

রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। 

ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।

জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’ 

এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ