তদন্তে বিসিবির দুর্নীতি পেলেও ধামাচাপা দেব না: ফারুক আহমেদ
Published: 19th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নানা অনিয়ম নিয়ে কাজ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তারই অংশ হিসেবে বিসিবিতে অভিযান চালায় দুদক, সংশ্লিষ্ট নথিপত্র নিয়ে আসে রাষ্ট্রয়াত্ত এই প্রতিষ্ঠানটি।
দুদকের অভিযান নিয়ে বিসিবি থেকে এই কদিন আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অবশেষে মুখ খুলেছেন প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদ।
সংবাদমাধ্যমে শনিবার প্রতিক্রিয়ায় ফারুক জানান, প্রমাণ হলে তারা ধামাচাপা না দিয়ে কঠোর শাস্তি দানে সহায়তা করবেন।
‘‘তদন্তে কিছু বেরিয়ে এলে আমরা সেটিকে ধামাচাপা দেব না। বরং কঠোর ব্যবস্থা নেব। আমি সিইওকে বলেছি, যে কোনো তথ্য তদন্ত কর্মকর্তারা চাইলে যেন সঙ্গে সঙ্গে দেওয়া হয়। সত্যি কিছু পাওয়া গেলে শাস্তির ব্যাপারে আমরা দ্বিধা করব না।’’
গত ১৫ এপ্রিল বিসিবিতে অভিযান চালায় দুদক। বিপিএলসহ বেশ কিছু জায়গায় দুর্নীতির প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে তারা।
দুদকের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান জানান, বিভিন্ন ক্রিকেট লিগে বিশেষ করে তৃতীয় বিভাগ কোয়ালিফায়িং পর্বে দল নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
বিপিএলের টিকিট বিক্রির অনিয়মের ব্যাপারে মাহমুদুল আরো বলেন, “বিপিএলের তৃতীয় থেকে দশম আসর পর্যন্ত টিকিট বিক্রি করে বিসিবি আয় দেখিয়েছে ১৫ কোটি টাকা। অথচ এবারের (এগারতম আসর) টিকিট বিসিবি নিজেরাই বিক্রি করে প্রায় ১৩ কোটি টাকা আয় করেছে। এতেই বোঝা যায়, আগে কোনোভাবে সঠিক হিসাব প্রকাশ হয়নি।”
ফারুক জানান, তিনি বিসিবির প্রধান নির্বাহীকে বলে দিয়েছেন যেন সার্বিকভাবে দুদককে সহযোগিতা করা হয়, ‘‘যেদিন দুদক বিসিবিতে অভিযান চালায়, সেদিনই আমি দেশে ফিরি। মনে হয়েছে, তারা নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগের ভিত্তিতে এসেছে। বোর্ড হিসেবে আমরা পূর্ণ সহযোগিতা করব। দুদকের যেসব নথি চাওয়া হয়েছে, সিইও তা নিয়ে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে।’’
ঢাকা/রিয়াদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বে-মেয়াদি রূপান্তর হতে চায় দুই ফান্ড, ভোটের তারিখ ঘোষণা
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড ও ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফাইন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের ট্রাস্টি মেয়াদি (ক্লোজ-এন্ড) থেকে বে-মেয়াদি (ওপেন-এন্ড) ফান্ডে রূপান্তর করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ জন্য ইউনিটহোল্ডারদের ভোটের জন্য সভার আহ্বান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আরো পড়ুন:
বিনিয়োগকারীদের সচেতনতায় নির্দেশিত প্রোগ্রাম প্রচারের অনুরোধ
৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
তথ্য মতে, ফান্ড দুটির বর্তমান মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৩ ডিসেম্বর। তার আগেই ফান্ড দুটিকে মেয়াদি থেকে বে-মেয়াদিতে রূপান্তরের জন্য সভা ও রেকর্ড ডেট এর তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।
ভ্যানগার্ড এএমএল বিডির ইউনিটহোল্ডারদের ভোটের জন্য আগামী ২৯ অক্টোবর সকাল ১১ টায় হোটেল পূর্বানিতে সভা অনুষ্ঠিত হবে। আর এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ফান্ডের ইউনিটহোল্ডারদের ভোটের জন্য আগামী ৩০ অক্টোবর সকাল ১১ টায় মহাখালিতে রাওয়া কনভেনশন হলে সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এজন্য ফান্ড দুটির আগামী ২২ অক্টোবর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে। ওইদিন যাদের কাছে ফান্ড দুটির ইউনিট থাকবে, তারা সভায় গিয়ে বে-মেয়াদিতে রূপান্তরের পক্ষে বা বিপক্ষে ভোট দিতে পারবে।
ঢাকা/এনটি/ফিরোজ