বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নানা অনিয়ম নিয়ে কাজ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তারই অংশ হিসেবে বিসিবিতে অভিযান চালায় দুদক, সংশ্লিষ্ট নথিপত্র নিয়ে আসে রাষ্ট্রয়াত্ত এই প্রতিষ্ঠানটি। 

দুদকের অভিযান নিয়ে বিসিবি থেকে এই কদিন আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অবশেষে মুখ খুলেছেন প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদ। 

সংবাদমাধ্যমে শনিবার প্রতিক্রিয়ায় ফারুক জানান, প্রমাণ হলে তারা ধামাচাপা না দিয়ে কঠোর শাস্তি দানে সহায়তা করবেন। 

‘‘তদন্তে কিছু বেরিয়ে এলে আমরা সেটিকে ধামাচাপা দেব না। বরং কঠোর ব্যবস্থা নেব। আমি সিইওকে বলেছি, যে কোনো তথ্য তদন্ত কর্মকর্তারা চাইলে যেন সঙ্গে সঙ্গে দেওয়া হয়। সত্যি কিছু পাওয়া গেলে শাস্তির ব্যাপারে আমরা দ্বিধা করব না।’’

গত ১৫ এপ্রিল বিসিবিতে অভিযান চালায় দুদক। বিপিএলসহ বেশ কিছু জায়গায় দুর্নীতির প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে তারা। 

দুদকের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান জানান, বিভিন্ন ক্রিকেট লিগে বিশেষ করে তৃতীয় বিভাগ কোয়ালিফায়িং পর্বে দল নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

বিপিএলের টিকিট বিক্রির অনিয়মের ব্যাপারে মাহমুদুল আরো বলেন, “বিপিএলের তৃতীয় থেকে দশম আসর পর্যন্ত টিকিট বিক্রি করে বিসিবি আয় দেখিয়েছে ১৫ কোটি টাকা। অথচ এবারের (এগারতম আসর) টিকিট বিসিবি নিজেরাই বিক্রি করে প্রায় ১৩ কোটি টাকা আয় করেছে। এতেই বোঝা যায়, আগে কোনোভাবে সঠিক হিসাব প্রকাশ হয়নি।”

ফারুক জানান, তিনি বিসিবির প্রধান নির্বাহীকে বলে দিয়েছেন যেন সার্বিকভাবে দুদককে সহযোগিতা করা হয়, ‘‘যেদিন দুদক বিসিবিতে অভিযান চালায়, সেদিনই আমি দেশে ফিরি। মনে হয়েছে, তারা নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগের ভিত্তিতে এসেছে। বোর্ড হিসেবে আমরা পূর্ণ সহযোগিতা করব। দুদকের যেসব নথি চাওয়া হয়েছে, সিইও তা নিয়ে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে।’’

ঢাকা/রিয়াদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

তিন সাংবাদিকের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় ডিআরইউ’র উদ্বেগ

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাংবাদিক রফিকুল বাসার, মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন সংবাদকর্মীর চাকরিচ্যুতির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ডিআরইউ।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল সংবাদকর্মীদের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় এ উদ্বেগ জানান।

উল্লেখ্য, চ্যানেল আই’র সাংবাদিক রফিকুল বাসার, এটিএন বাংলার মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও দীপ্ত টিভির সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে মঙ্গলবার কোনো রকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ।

ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ তিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতির কারণ ব্যাখ্যা করার দাবি জানিয়েছেন।

এএএম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ