২০২৫ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব শেষে সেরা একাদশ ঘোষণা করেছে আইসিসি। ছয় দলের অংশগ্রহণে হওয়া এই টুর্নামেন্টে চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি স্বরূপ সেরা একাদশে জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার। নিগার সুলতানা জ্যোতি, শারমিন আক্তার সুপ্তা। রিজার্ভ খেলোয়াড় হিসেবেও জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশের রাবেয়া খান।

দলের উইকেটকিপার হিসেবে একাদশে জায়গা পেয়েছেন টাইগ্রেস অধিনায়ক জ্যোতি। পাশাপাশি দলের নেতৃত্বে আছেন পাকিস্তানের ফাতিমা সানা। সেরা একাদশে সর্বোচ্চ ৪ জন সুযোগ পেয়েছেন পাকিস্তান থেকে, এর পরেই রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৩), বাংলাদেশ ও স্কটল্যান্ড (প্রত্যেকে ২ জন করে)।

পাঁচ নম্বরে ব্যাটিং করা জ্যোতি ব্যাট হাতে করেছেন ২৪১ রান। টুর্নামেন্টে একটি সেঞ্চুরি (১০১ রান), একটি অপরাজিত ৮৩ এবং ৫১ রানের ইনিংস রয়েছে তার। পাশাপাশি করেছেন দুটি ক্যাচ ও তিনটি স্ট্যাম্পিং। বাংলাদেশের আরেক তারকা, টপ অর্ডার ব্যাটার শারমিন আক্তার ছিলেন টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। পাঁচ ম্যাচে ২৬৬ রান করেছেন তিনি, যেখানে আছে তিনটি হাফসেঞ্চুরি। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ৯৪ রানের ইনিংস ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৭ রান।

রিজার্ভ খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন রাবেয়া খান। লেগ স্পিনার এই বোলার ৩.

৭২ ইকোনমি রেটে ৬টি উইকেট শিকার করেন, যার মধ্যে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৯ রানে ৩ উইকেট ছিল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

আইসিসি ঘোষিত নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সেরা একাদশ: ইলি ম্যাথিউস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), মুনিবা আলী (পাকিস্তান), শারমিন আক্তার (বাংলাদেশ), ক্যাথরিন ব্রাইস (স্কটল্যান্ড), নিগার সুলতানা (উইকেটকিপার, বাংলাদেশ), ফাতিমা সানা (অধিনায়ক, পাকিস্তান), চিনেল হেনরি (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), আলিয়াহ অ্যালেন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), ক্যাথরিন ফ্রেজার (স্কটল্যান্ড), নাশরা সান্ধু (পাকিস্তান), সাদিয়া ইকবাল (পাকিস্তান)।

রিজার্ভ খেলোয়াড়: রাবেয়া খান (বাংলাদেশ)

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স কটল য ন ড উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ