বাছাইপর্বের সেরা একাদশে জ্যোতি-শারমিন
Published: 20th, April 2025 GMT
২০২৫ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব শেষে সেরা একাদশ ঘোষণা করেছে আইসিসি। ছয় দলের অংশগ্রহণে হওয়া এই টুর্নামেন্টে চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি স্বরূপ সেরা একাদশে জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার। নিগার সুলতানা জ্যোতি, শারমিন আক্তার সুপ্তা। রিজার্ভ খেলোয়াড় হিসেবেও জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশের রাবেয়া খান।
দলের উইকেটকিপার হিসেবে একাদশে জায়গা পেয়েছেন টাইগ্রেস অধিনায়ক জ্যোতি। পাশাপাশি দলের নেতৃত্বে আছেন পাকিস্তানের ফাতিমা সানা। সেরা একাদশে সর্বোচ্চ ৪ জন সুযোগ পেয়েছেন পাকিস্তান থেকে, এর পরেই রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৩), বাংলাদেশ ও স্কটল্যান্ড (প্রত্যেকে ২ জন করে)।
পাঁচ নম্বরে ব্যাটিং করা জ্যোতি ব্যাট হাতে করেছেন ২৪১ রান। টুর্নামেন্টে একটি সেঞ্চুরি (১০১ রান), একটি অপরাজিত ৮৩ এবং ৫১ রানের ইনিংস রয়েছে তার। পাশাপাশি করেছেন দুটি ক্যাচ ও তিনটি স্ট্যাম্পিং। বাংলাদেশের আরেক তারকা, টপ অর্ডার ব্যাটার শারমিন আক্তার ছিলেন টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। পাঁচ ম্যাচে ২৬৬ রান করেছেন তিনি, যেখানে আছে তিনটি হাফসেঞ্চুরি। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ৯৪ রানের ইনিংস ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৭ রান।
রিজার্ভ খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন রাবেয়া খান। লেগ স্পিনার এই বোলার ৩.
আইসিসি ঘোষিত নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সেরা একাদশ: ইলি ম্যাথিউস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), মুনিবা আলী (পাকিস্তান), শারমিন আক্তার (বাংলাদেশ), ক্যাথরিন ব্রাইস (স্কটল্যান্ড), নিগার সুলতানা (উইকেটকিপার, বাংলাদেশ), ফাতিমা সানা (অধিনায়ক, পাকিস্তান), চিনেল হেনরি (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), আলিয়াহ অ্যালেন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), ক্যাথরিন ফ্রেজার (স্কটল্যান্ড), নাশরা সান্ধু (পাকিস্তান), সাদিয়া ইকবাল (পাকিস্তান)।
রিজার্ভ খেলোয়াড়: রাবেয়া খান (বাংলাদেশ)
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স কটল য ন ড উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
জাকসু নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা, ৩১ জুলাই ভোটগ্রহণ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হয়েছে৷ আগামী ৩১ জুলাই সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। একই দিনে ভোট গণনা ও ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
বুধবার রাত পৌনে ১টার দিকে এই তপশিল ঘোষণা করেন জাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান।
এর আগে রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তপশিল ঘোষণার কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান। তিনি বলেন, জাকসুর গঠনতন্ত্রের ৮-এর (খ) ধারা অনুযায়ী, আগামী ৩১ জুলাই সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এবং হল সংসদ নির্বাচন একইসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে।
দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে জাকসু না থাকায় শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ছাড়াই চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ। উপেক্ষিত হয়ে আসছে শিক্ষার্থীদের চাওয়া-পাওয়া৷ তবে এবার নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা সেই অধিকার ফিরে পাবে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে সিনেটে ৫ জন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আসে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীরা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে৷ গতকাল পরিবেশ পরিষদের একটি মতবিনিময় সভা হয়েছে, সেখানে একটি সুন্দর পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্রীড়াশীল সংগঠন, শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার ব্যাপারে সম্মত হয়েছি।’
রাত পৌনে ১টার দিকে নির্বাচনী তপশিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান। এ সময় তিনি বলেন, ‘তফশিল অনুযায়ী ১২ মে খসড়া ভোটার তালিকা ও আচরণবিধি প্রকাশ করা হবে৷ ২১ মে খসড়া ভোটার তালিকা নিয়ে আপত্তি গ্রহণ ও আচরণবিধি মতামত গ্রহণ, ৩০ জুন চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ও চূড়ান্ত আচরণবিধি প্রকাশ করা হবে।’
আগামী ১ জুলাই থেকে ৩ জুলাইয়ের মধ্যে মনোনয়ন সংগ্রহ করা এবং ৭ জুলাই মনোনয়ন জমাদানের শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে৷ ৯ জুলাই মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই ও খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ শেষে ১১ জুলাই পর্যন্ত মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিষয়ে এবং বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, এছাড়া ১৪ জুলাই মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ও ১৫ জুলাই প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং ১৬ জুলাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে৷ একই দিন থেকে ২৮ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা করা যাবে।