শহীদ নুরুল ইসলামের নামে বিজিবির সুইমিং কমপ্লেক্স নামকরণ
Published: 20th, April 2025 GMT
২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শহীদ কেন্দ্রীয় সুবেদার মেজর নুরুল ইসলামের নামে বিজিবির সুইমিং কমপ্লেক্সের নামকরণ করা হয়েছে। এখন থেকে স্থাপনাটি ‘শহীদ নুরুল ইসলাম সুইমিং কমপ্লেক্স’ নামে পরিচিত হবে।
শহীদ নুরুল ইসলামের ছেলে মো. আশরাফুল আলম হান্নান এই স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বিজিবির মহাপরিচালক এবং বাহিনীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এ ধরনের সম্মাননা যেকোনো বাহিনীর সদস্যকে দেশপ্রেমে আরও উদ্বুদ্ধ করবে।
আশরাফুল বলেন, পিলখানায় সেদিন বিডিআরের সদস্যরা হত্যাকাণ্ডের পক্ষে ছিলেন। তারা খুঁজে খুঁজে সেনা কর্মকর্তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করছিল। ওই অবস্থায় কোনো কোনো বিডিআর সদস্য এ হত্যাকাণ্ড সমর্থন করেননি। আবার জওয়ানদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার সাহস করেননি। কিন্তু এর মধ্যে বিডিআরের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সুবেদার মেজর নুরুল ইসলাম ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধ ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের বাঁচাতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন। এর স্বীকৃতি হিসেবে পরে বাংলাদেশ সরকার তাকে শহীদের মর্যাদা দিয়েছে।
স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় দরবারে যোগ দিতে দেরি হয়ে যাবে, তাই নুরুল ইসলাম সকালে নাশতা না খেয়েই বাসা থেকে বের হন। দরবার হলে জওয়ানেরা হত্যাকাণ্ড শুরু করার পর অনেকে যেখানে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছিলেন, সেখানে কেন্দ্রীয় সুবেদার মেজর নুরুল ইসলাম এগিয়ে যান সশস্ত্র জওয়ানদের প্রতিরোধ করতে। বিদ্রোহীদের বাধা দেওয়ায় তাকে মশারি স্ট্যান্ড দিয়ে পিটিয়ে ও ব্রাশফায়ার করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
শহীদ নুরুল ইসলামের ছেলে বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত অন্যান্যের মতো আমার বাবার মরদেহ গণকবর থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। পরে ২০০৯ সালের ৪ মার্চ লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরলক্ষ্মী গ্রামের বাড়িতে তার বাবার মরদেহ দাফন করা হয়। পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে নুরুল ইসলামের এ বীরত্বের কথা। হত্যাকাণ্ডের ছয় মাস পর একমাত্র বিডিআর সদস্য কেন্দ্রীয় সুবেদার মেজর নুরুল ইসলাম রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদের মর্যাদা পান। ২০০৯ সালের ২০ আগস্ট নুরুল ইসলামের কবরে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয় এবং পরবর্তীতে বিজিবির সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’ ভূষিত হন।
তিনি আরও বলেন, নিষ্ঠাবান এ সুবেদার মেজর কর্মজীবনে চারবার ডিজি পদক পেয়েছেন। পাশাপাশি অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে সরকারি খরচে পবিত্র হজ্জ পালনের সুযোগ দিয়েছিলেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র ল ইসল ম র ২০০৯ স ল ব ড আর সদস য র সদস
এছাড়াও পড়ুন:
আবাহনীর ২৪ নাকি মোহামেডানের ১০!
ঢাকার ক্লাব লড়াইয়ে আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের লড়াই মানেই ভিন্ন আবহ, উত্তেজনা আর রোমাঞ্চে ঠাসা। সেটা ক্রিকেট হোক বা ফুটবল। কিংবা হকি। ‘ঢাকা ডার্বি’ বছর টু বছরই আলোচনার কেন্দ্রে থাকে। আর সেটা যদি হয় শিরোপার ফয়সালার ম্যাচ…তাহলে তো কথাই নেই। উত্তেজনার স্ফূলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে চারপাশেই।
সেই মঞ্চ প্রস্তুত হয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের শেষ রাউন্ডের খেলায়। লিগের শিরোপা নির্ধারণী ‘অঘোষিত ফাইনাল’ আগামীকাল মিরপুর শের-ই-বাংলায় অনুষ্ঠিত হবে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দলের লড়াইয়ে যারা জিতবে তারাই জিতে যাবে শিরোপা। আবাহনী ঢাকা লিগের সবচেয়ে সফল দল। লিগের বর্তমান শিরোপাধারীরা ২৩ বার এই শিরোপা জিতেছে। মোহামেডান জিতেছে নয়বার।
লিগের গত মৌসুমে আবাহনী শিরোপা জিতেছিল। মোহামেডান হয়েছিল রানার্সআপ। এবার কার মুখে হাসি ফোটে সেটাই দেখার।
আরো পড়ুন:
অবিলম্বে কার্যকর হবে হৃদয়ের শাস্তি
ইমরানউজ্জামাানের সেঞ্চুরিতে অগ্রণীর বড় জয়
মোহামেডান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শেষ শিরোপা জিতেছিল ২০০৯-১০ মৌসুমে। বিমান বাংলাদেশকে হারিয়ে মতিঝিল পাড়ার ক্লাবটি শিরোপা পেয়েছিল। এরপর দুইবার কেবল রানার্সআপ হয়েছিল। বাকিটা সময়ে শিরোপার কাছেও যেতে পারেনি। লম্বা সময় পর তাদের শিরোপার হাতছানি। সেজন্য আবাহনীকে হারাতেই হবে।
আবাহনী ২৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে। মোহামেডানের পয়েন্ট ২২। শেষ ম্যাচে মোহামেডান শেষ বলে জয় নিশ্চিত করে ২ পয়েন্ট পায়। ম্যাচটিতে মোহামেডান হেরে গেলে আবাহনীর শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যেত এক ম্যাচ আগেই। কিন্তু শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ জিতে শিরোপার আশা বাঁচিয়ে রাখে মোহামেডান।
আগামীকাল মোহামেডান জিতলে দুই দলের পয়েন্ট হবে ২৪। লিগের নিয়ম অনুযায়ী, দুই দলের পয়েন্ট সমান হলে হেড টু হেড হিসেব আসবে। লিগের রাউন্ড রবিন লিগে মোহামেডান আবাহনীকে হারিয়েছিল। সুপার লিগেও তারা জিততে পারলে হেড টু হেডে দুইবারই তারা এগিয়ে থাকবে। তাতে শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যাবে সাদা-কালো শিবিরের।
আর আবাহনী ম্যাচটা জিততে পারলে, প্রথম মুখোমুখির প্রতিশোধ নিতে পারলে কোনো সমীকরণ ছাড়াই তারা জিতে যাবে শিরোপা। তৃতীয় হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের হাতছানি তাদের। এর আগে ২০১৮-২০২০ এবং ২০০৭-২০০৯ মৌসুমে হ্যাটট্রিক শিরোপা জিতেছিল ঐতিহ্যবাহী দলটি।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল