বলিউডের ঘোর দুর্দিন, বড় তারকাদের সতর্ক করলেন পরিচালক
Published: 21st, April 2025 GMT
অনেক দিন ধরেই হিন্দি সিনেমার দুরবস্থা। ২০২৩ সালে কিছু ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, কিন্তু এখন আবারও বলিউডের শনির দশা। ঈদের মতো বড় উৎসবে মুক্তি পেয়েও সালমান খানের মতো বড় তারকার সিনেমা বেহাল। কিছুদিন আগেই নির্মাতা অনুরাগ কাশ্যপ বলেছিলেন, বলিউডের দুর্দশার মূল কারণ, বড় তারকার অতিরিক্ত পারিশ্রমিক। এবার একই বিষয়ে কথা বললেন পরিচালক সুজিত সরকার। বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুজিত বলেন, পারিশ্রমিক না কমালে বড় তারকাদের কেউ আর সিনেমায় নেবে না।
‘ভিকি ডোনার’, ‘পিকু’, ‘অক্টোবর’, ‘মাদ্রাজ ক্যাফে’ নির্মাতা সুজিত মাঝারি বাজেটে সিনেমা বানান। নিজের সিনেমায় বড় তারকাদের সাধারণত নেন না। ফলে তাঁর বেশির ভাগ সিনেমাই মুক্তির পর লগ্নি তুলে আনে। কিন্তু এখন বলিউডের প্রথম সারির শিল্পীর এত বেশি পারিশ্রমিক হাঁকছেন যে সিনেমার বাজেটের বড় অংশ চলে যাচ্ছে তাঁদের পেছনেই। ‘জনপ্রিয় শিল্পীদের উচিত পারিশ্রমিক কমানো। তাঁরা যদি এটা না করেন, তাহলে নির্মাতারা তাঁদের নতুন কাজের প্রস্তাব দেবেন না।’ বলেন সুজিত।
এই নির্মাতা বলেন, তাঁর ছবিতে যাঁরা কাজ করতে চান, তাঁরা ভালো করেই বাজেট সম্পর্কে ধারণা রাখেন। কেউ বাড়তি পারিশ্রমিক দাবি করেন না। বলিউডের এমন মন্দার বাজারে তারকাদের পারিশ্রমিক পুনর্নির্ধারণের পরামর্শ সুজিতের। ‘এখন এমন একটা কঠিন সময় যে নির্মাতাদের অবশ্যই লগ্নি তুলে আনতে কম বাজেটে সিনেমা বানাতে হবে। তাই জনপ্রিয় তারকারা পারিশ্রমিক না কমালে আমাদের বিকল্প ভাবতে হবে।’ বলেন সুজিত।
সুজিত সরকার। এএনআই.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল
সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।
আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’
মঞ্চে আর্টসেল