ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। জীবনটা নিজের শর্তে উপভোগ করেন এই অভিনেত্রী। ঠোঁটকাটা স্বভাব, সমাজের বাঁকা দৃষ্টিকে পাত্তা না দেওয়ায় বছর জুড়েই আলোচনায় থাকেন।

ব্যক্তিগত জীবনে অনেকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন স্বস্তিকা মুখার্জি। ‘জাতিস্মর’খ্যাত এই অভিনেত্রী কয়েক মাস আগে এক সাক্ষাৎকারে জানান, এ পর্যন্ত ৬টি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এরপর তার বক্তব্য নিয়ে কাটাছেঁড়া কম হয়নি। অবশেষে সেই সমালোচনার জবাব দিলেন ‘তাসের ঘর’ নায়িকা।

সমাজের মানুষের ভাবনা-চিন্তাকে ব্যঙ্গ করে স্বস্তিকা মুখার্জি বলেন, “৬টা নয়, আমি ৬০০টা প্রেম করেছি, আগে ভুল বলেছিলাম। ক্যাওড়াতলা যাওয়ার আগে আমি আরো একটা শূন্য এর সঙ্গে জুড়তে চাই। এটাই আমার জীবনের উদ্দেশ্য। আমার জীবন, যদি মনে হয় আমি ৬০০০ জন মানুষকে ভালোবাসা জ্ঞাপন করব, তাহলে বেশ করব। আমি তো বলছি না যে, ৬টা লোককে মারব, খুন করব, তাদের গলা চিরে রক্ত খাব বা তাদের ধর্ষণ করব বা তাদের সঙ্গে জালিয়াতি করব, তাদেরকে কাজ করিয়ে পয়সা দেব না, তাদের কাজ কেড়ে নেব। আমাদের আশেপাশে সমাজে তো এগুলোই হচ্ছে। প্রেম করব তাতেও মানুষের সমস্যা। তাহলে যা হচ্ছে আশেপাশে তাই হোক।”

আরো পড়ুন:

আড়ালে গিয়ে অরিন্দমকে গালাগাল দেয়: স্বস্তিকা

চুমু না খেয়েও প্রেমের মুহূর্ত বোনা যায়: শ্রাবন্তী

সমাজ ছেলে ও মেয়েদের কর্মকাণ্ডকে আলাদাভাবে বিচার করে। সেই ব্যাখ্যা করে স্বস্তিকা মুখার্জি বলেন, “ভালোবাসাটা কেন সমস্যা হবে? অবশ্য, এটা নারী বলেই হয়। ছেলেরা করলে তাদের বলি, ‘হ্যাভিং অ্যা ওয়াইল্ড লাইফ।’ ভীষণ দারুণ একটা জীবন। আর মেয়েরা করলে তাদের বেশ্যা বলে। মেয়েরা ৬টা প্রেম করলে বেশ্যা। ছেলেরা ৬টা প্রেম করলে লোকে বলে— ‘ভাই এলেম আছে’। এই সমাজে আমরা বাস করছি।”

স্বস্তিকার জীবনে ৬টি প্রেম এসেছে। এ কথা প্রকাশ্যে বলায় মানুষ কটুক্তি করেছে। তা স্মরণ করে স্বস্তিকা মুখার্জি বলেন, “মানুষে যেভাবে তেড়ে এলো। কারণ ৬টা সম্পর্ক মানে বিশাল একটা ভুল করে ফেলেছি। একটা হওয়া উচিত ছিল। আমরা সবাই সাধু। আমার একটা সম্পর্ক হওয়া উচিত ছিল। জন্মে যার সঙ্গে প্রেম, তার সঙ্গেই বিয়ে হওয়া উচিত ছিল। তার সঙ্গেই বাকি জীবনটা বাঁচা উচিত ছিল। আমি করতে পারিনি, আমার তো একটা বড় ভুল।”

মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রেম করতে চান স্বস্তিকা মুখার্জি। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমি যেমন দেখতে, আমার যেমন চেহারা, আমার যেমন ব্যক্তিত্ব, তাতে আমি ক্যাওড়াতলার স্টপেজ কালীঘাট, তার আগের স্টপ পর্যন্ত আমি প্রেম করতে চাই। প্রচুর মানুষকে ভালোবাসতে চাই। অনেক ভালোবাসা দেওয়ার বাকি আছে, আমি তা দিতে চাই। লিফলেটের মতো বিলি করতে চাই। তারপর খুবই ফুল-ফিলিং নিয়ে মরতে চাই।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র প র ম কর

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন বাংলাদেশ গড়তে শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করবে সরকার: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শ্রমিকদের আগের অবস্থায় রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। এ জন্য তিনি শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

আজ বৃহস্পতিবার মহান মে দিবস এবং জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমাদের প্রথম কাজ হলো শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী আশু করণীয় নিয়ে যাত্রা শুরু করা। এরপর পর্যায়ক্রমে প্রতিটি সুপারিশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে।’

‘শ্রমিক মালিক এক হয়ে গড়ব এ দেশ নতুন করে’ স্লোগানকে সামনে রেখে এবারের মে দিবস পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা পাঁচ শ্রমিকের পরিবারের হাতে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সুলতান উদ্দিন আহম্মদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ হাংবোর একটি ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ