জবি শিক্ষার্থীদের কাঁথা-বালিশ কর্মসূচি ঘোষণা
Published: 21st, April 2025 GMT
দীর্ঘদিনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে তিন দফা দাবিতে কাঁথা-বালিশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বৃদ্ধি এবং ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন বৃত্তি বাজেটে অর্ন্তভূক্ত করা; পুরান ঢাকায় হাবিবুর রহমান হল ও বানী ভবনের নির্মান কাজ দৃশ্যত আগামী ১৫ দিনের মধ্যে শুরু করা; দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও হল নির্মাণের কাজের অগ্রগতি প্রতি ১৫ দিন পর পর মুক্তমঞ্চে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে প্রদান করতে হবে।
আরো পড়ুন:
নোয়াখালীতে দায়িত্বে অবহেলায় ১২ শিক্ষককে অব্যাহতি
পারভেজ হত্যা: দোষীদের গ্রেপ্তার-বিচার দাবিতে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ
এছাড়াও তারা আগামী সাতদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সেগুলো হলো- ২২ এপ্রিল কাঁথা বালিশ কর্মসূচি ও লিফলেট বিতরণ, ২৩ এপ্রিল উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, ২৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে মুক্তমঞ্চে আলোচনা এবং ২৫ ও ২৬ এপ্রিল খোলাচিঠি ও অনলাইনে প্রচারণা। বাকি দুই দিনের কর্মসূচি ২৬ এপ্রিল জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) থেকে শিক্ষার্থীরা কাঁথা ও বালিশ নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করবেন। তারা সেখানে রাত্রিযাপন করবেন এবং তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা আমাদের মৌলিক অধিকারগুলোর জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করছি। কর্তৃপক্ষ আমাদের কথা শুনছেন না। তাই আমরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি। কাঁথা-বালিশ নিয়ে আসা মানে হলো, আমরা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে সরব না।”
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে
১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।
নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।
এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।