ব্লেসিং মুজারাবানির লাফিয়ে ওঠা বলটা ছুঁয়ে গেল মুশফিকুর রহিমের ব্যাট। জিম্বাবুয়ের উইকেটকিপার নিয়াশো মায়াভোর গ্লাভসে বল যেতেই শেষ হয় তাঁর আরও একটি ইনিংস—০, ২, ৪, ৪ যার ক্রম। টেস্টে সর্বশেষ চার ইনিংসে দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি মুশফিক, ফিফটির দেখা পাচ্ছেন না ১২ ইনিংস ধরে।

দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের ব্যাটে রানের খরা চললে সেটা আলোচনার বিষয় হবে বৈকি। সে আলোচনা আজ উঠল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিন শেষেও। তবে মুশফিকের দীর্ঘদিনের সতীর্থ ও কিছুদিনের অধিনায়ক মুমিনুল হক তাঁর অগ্রজ ক্রিকেটারের এমন ‘অফ ফর্ম’ নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন।

বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে মুশফিকের অর্জন আসলেই ঈর্ষণীয়। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলা থেকে মাত্র ৫ ম্যাচ দূরে দাঁড়িয়ে তিনি। টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন ৩টি, সেঞ্চুরি ১১টি।

সরাসরি মুমিনুলের কাছেই শুনুন মুশফিকের ফর্ম নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘আমি কোনোভাবেই ওনাকে নিয়ে চিন্তিত নই। এত দিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন, উনি জানেন কীভাবে ফিরে আসতে হয় আর কীভাবে রান করতে হয়। এটা ভুলে যাওয়া উচিত নয়, উনি বাংলাদেশ দলের জন্য কী করেছেন আর ওনার রানটা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ, কতটুকু কী করতে পারেন।’

২০২০ সালে দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলা সর্বশেষ টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন মুশফিক.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ছয় গোলের থ্রিলারে জমজমাট ড্র বার্সেলোনা-ইন্টারের

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল মানেই উত্তেজনার পারদ চড়া—আর বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মিলে সেটিকে নিয়ে গেল অন্য উচ্চতায়। কাতালানদের ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে দর্শকরা উপভোগ করলেন এক দুর্দান্ত গোলবন্যার ম্যাচ। ম্যাচ শেষে ফল—৩-৩ গোলে ড্র।

মৌসুমের রেকর্ড ৫০ হাজার ৩১৪ দর্শকের সামনে ইউরোপীয় ফুটবলের এই মহারণে উভয় দলই তুলে ধরেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে ১৯৯৯ সালের পর এটিই প্রথম ম্যাচ যেখানে ছয়টি গোল হয়েছে এবং শেষ হয়েছে ড্রয়ে।

ম্যাচ শুরু হতে না হতেই চমকে দেয় ইন্টার মিলান। ম্যাচের মাত্র প্রথম মিনিটেই ডেনজেল ডামফ্রিজের ব্যাকহিল গোল দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস থুরাম। এরপর ২১ মিনিটে আবারও দিমারকোর কর্নার থেকে ফ্রান্সেসকো আকেরবির সহায়তায় শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাক্রোব্যাটিকে ব্যবধান বাড়ান ডামফ্রিজ।

তবে ঘুরে দাঁড়াতে দেরি করেনি বার্সা। দুই মিনিট পরই ইয়ামাল ডান দিক থেকে একক নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান কমান। প্রথমার্ধ শেষের আগে পেদ্রির ফ্লিকে রাফিনিয়ার নিয়ন্ত্রণ এবং তাতে ফেরান তোরেসের শটে গোল করে ২-২ সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।

দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্টিনেজের ইনজুরির পর মাঠে নামেন মেহেদি তারেমি। ৬০ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ডামফ্রিজ। কিন্তু দ্রুতই গোল শোধ করে বার্সা—ছোট কর্নার থেকে রাফিনিয়ার শট লাগে পোস্টে, সেখান থেকে গোলরক্ষক সোমারের পিঠে লেগে ঢুকে পড়ে জালে—ফলাফল ৩-৩। ৭৫ মিনিটে হেনরিখ মিখিতারিয়ান গোল করে ইন্টারকে আবারও এগিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ভিএআরের চোখে পড়ে সামান্য অফসাইড, বাতিল হয় সেই গোল।

এখন সবকিছু নির্ভর করছে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের ওপর, যা হবে ৬ মে, মঙ্গলবার, ইন্টারের ঘরের মাঠ জিউসেপ্পে মিয়াজ্জায়। ওই ম্যাচেই জানা যাবে ফাইনালে কারা প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর মুখোমুখি হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ