গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘‘প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সরকারকে নির্বাচন দিতে হবে।’’

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণঅধিকার পরিষদের নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সাবেক সহ-সভাপতি হান্নানুর রহমান রতনের স্মরণসভা অনুষ্ঠানে তিনি এ সব মন্তব্য করেন।

নুরুল হক নুর বলেন, ‘‘সংস্কারের লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংস্কার কমিশনগুলোর আলাপ-আলোচনা চলবে। সংস্কার ও নির্বাচন মুখোমুখি করা যাবে না। সংস্কার ও নির্বাচন সমান্তরালে চলছে।’’

আরো পড়ুন:

মার্কিন উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ
ডিসেম্বরের আগেও নির্বাচন সম্ভব, মনে করছে বিএনপি

জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার চিন্তা ইসির

এ সময় তিনি বলেন, ‘‘এ দেশে দুই বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না। বিগত আমলে আমরা দেখেছি দুই বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রীর হলে শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিস্টদের জন্ম হয়। তাই নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার বিষয়টিও সংস্কার করতে হবে।’’

নুরুল হক নুর আরো বলেন, ‘‘দেশে প্রধানমন্ত্রীকে সকল ক্ষমতার অধিপতি করে রাখা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি কেবল রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ছাড়া কোনো ক্ষমতার ব্যবহার করতে পারেন না। তাই প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সমতার ভিত্তিতে রাখতে হবে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘জাতীয় সংসদে যেন একক কোনো দলের আধিপত্য না থাকে, অর্থাৎ নির্বাচিত দলের মতামত প্রকাশের ভারসাম্য থাকতে হবে।’’
 

ঢাকা/অনিক/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ষমত

এছাড়াও পড়ুন:

গণঅধিকার পরিষদের নেতার বাড়িতে হামলা, সাবেক দুই এমপির নামে মামলা

গণঅধিকার পরিষদের নেতা আব্দুর রহিমের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক দুই সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরী ও হাবিবে মিল্লাত মুন্নাসহ আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) ৫১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

বুধবার (৩০ জুলাই) সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে গণঅধিকার পরিষদের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহিম বাদী হয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিকেলে আসামিরা সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রামগাতী গ্রামে আব্দুর রহিমের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও লুটপাট করে। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পরে আব্দুর রহিমকে মারধর করে থানায় নেওয়া হয় এবং একটি মিথ্যা মামলায় আদালতে পাঠানো হয়। সে সময় ভয় ও রাজনৈতিক চাপে মামলা করা সম্ভব হয়নি।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন—সিরাজগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন প্রমুখ।

ঢাকা/অদিত্য/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গণঅধিকার পরিষদের নেতার বাড়িতে হামলা, সাবেক দুই এমপির নামে মামলা