প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দাবি করলেন নুর
Published: 22nd, April 2025 GMT
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘‘প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সরকারকে নির্বাচন দিতে হবে।’’
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণঅধিকার পরিষদের নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সাবেক সহ-সভাপতি হান্নানুর রহমান রতনের স্মরণসভা অনুষ্ঠানে তিনি এ সব মন্তব্য করেন।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘‘সংস্কারের লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংস্কার কমিশনগুলোর আলাপ-আলোচনা চলবে। সংস্কার ও নির্বাচন মুখোমুখি করা যাবে না। সংস্কার ও নির্বাচন সমান্তরালে চলছে।’’
আরো পড়ুন:
মার্কিন উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ
ডিসেম্বরের আগেও নির্বাচন সম্ভব, মনে করছে বিএনপি
জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার চিন্তা ইসির
এ সময় তিনি বলেন, ‘‘এ দেশে দুই বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না। বিগত আমলে আমরা দেখেছি দুই বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রীর হলে শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিস্টদের জন্ম হয়। তাই নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার বিষয়টিও সংস্কার করতে হবে।’’
নুরুল হক নুর আরো বলেন, ‘‘দেশে প্রধানমন্ত্রীকে সকল ক্ষমতার অধিপতি করে রাখা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি কেবল রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ছাড়া কোনো ক্ষমতার ব্যবহার করতে পারেন না। তাই প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সমতার ভিত্তিতে রাখতে হবে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘জাতীয় সংসদে যেন একক কোনো দলের আধিপত্য না থাকে, অর্থাৎ নির্বাচিত দলের মতামত প্রকাশের ভারসাম্য থাকতে হবে।’’
ঢাকা/অনিক/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় গেলেন নুর
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি হাসপাতাল ছাড়েন।
আরো পড়ুন:
নুরের শর্ট টাইম মেমোরি লস হয়নি: ঢামেক পরিচালক
গণঅধিকারের সমাবেশে বিভিন্ন দলের নেতা: জাতীয় পার্টিকে দ্রুত নিষিদ্ধ করতে হবে
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বিষয়টি জানিয়ে বলেন, “নুরুল হক নুরকে হাসপাতালের ভিআইপি কেবিন-১ থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। পরে বিকেল পোনে ৫টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি নিজ বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন।”
এর আগে গত ২৯ আগস্ট রাতে বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাকর্মীদের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাত সোয়া ৯টার দিকে সংঘর্ষ হয়, এতে গণঅধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।
নুরুল হক নুরকে প্রথমে রাজধানীর ইসলামিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে রাত ১১টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি প্রায় ১৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ঢাকা/এসবি