সেই ময়মনসিংহেই ফেডারেশন কাপের ফাইনালের বাকি ১৫ মিনিট
Published: 23rd, April 2025 GMT
গতকাল ময়মনসিংহে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল বসুন্ধরা কিংস ও আবাহনী লিমিটেড। কিন্তু আলোকস্বল্পতায় অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধ শেষে স্থগিত হয়ে যায় ম্যাচটি। ফাইনালের বাকি ১৫ মিনিট কবে হবে সেটি জানিয়েছে পেশাদার লিগ কমিটি। আজ বিকেলে বাফুফে ভবনে কমিটির সভা শেষে জানানো হয়, ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামেই ২৯ এপ্রিল হবে ম্যাচের বাকি অংশ।
সভা শেষে লিগ কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ম্যাচের বাকি ১৫ মিনিটের খেলা ময়মনসিংহেই হবে। ২৯ এপ্রিল বেলা সাড়ে তিনটায় দুই দল আবার মাঠে নামবে। এটাই আজকের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর ১৫ মিনিটের মধ্যে রেজাল্ট না এলে বাইলজ অনুযায়ী টাইব্রেকারে ফল নির্ধারণ হবে।’
ঘরোয়া ক্রিকেট ও হকিতে আলোকস্বল্পতার কারণে ম্যাচ স্থগিত কিংবা পরদিন খেলা গড়ানোর ঘটনা থাকলেও ফুটবলের ইতিহাসে এমন কিছু আগে ঘটেছে কি না, মনে করতে পারেননি কেউ।
কালবৈশাখী ঝড়ে মাঝপথে প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল ম্যাচ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ১৫ ম ন ট
এছাড়াও পড়ুন:
টঙ্গীতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, সাউন্ড নিক্ষেপ
গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। এ ঘটনায় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি নিক্ষেপ করেছে।
বুধবার সকাল ৯টার থেকে গাজীপুরা এলাকার সৃজন্স ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ শুরু করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কারখানার কয়েক'শ শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে শিল্প পুলিশ-২ এবং টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ কয়েক দফা চেষ্টা করেও শ্রমিকদের সরাতে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং গরম পানি ছিটিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে।
বিক্ষোভরত শ্রমিক শিল্পি আক্তার বলেন, ঈদের আগে আমাদের অর্ধেক বেতন আর অর্ধেক বোনাস দিয়ে কারখানা ছুটি দেয়। বলা হয়েছিল, ঈদের পরেই বাকী টাকা পরিশোধ হবে। কিন্তু এখনও কিছুই পাইনি। বাড়িওয়ালা তো আশ্বাসে ভাড়া নেয় না, দোকানও বাকির টাকা চায়। সরকার যদি আমাদের পাশে না দাঁড়ায়, আমরা কোথায় যাবো?
আরেক শ্রমিক রহমত বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আমাদের ওপর গরম পানি ছুড়ে দেওয়া হলো। এভাবে কি শ্রমিকের ন্যায্য দাবি দমন করা যায়?
শ্রমিকদের দাবি, কারখানার মালিক পক্ষ গত ২০ এপ্রিল কিছু বোনাস পরিশোধ করলেও ২৮ এপ্রিলের মধ্যে পুরো বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখেনি। এতে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ–২ এর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।