প্রান্তিক পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পে গাছিদের অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান খান।  

বৃহস্পতিবার সমাজসেবা অধিদপ্তরের পদ্মা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে তিনি এ সুপারিশ করেন। 

মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান খান বলেন, যেমন ধরুন, নারিকেল গাছ যদি পরিষ্কার করা না হয় তাহলে সেই গাছে নারিকেল ধরবে না। ঠিক একইভাবে খেজুর গাছ কাটার জন্য গাছিরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খেজুর গাছ পরিষ্কার করা বা গাছ ঝুড়াবেন কি না বলে আহ্বান করেন। তাদেরকে এই জায়গা থেকে বের করে এনে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের আহ্বান জানান।

সেমিনারে বাংলাদেশের প্রান্তিক পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের (ফেজ-২) প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বলতে বুঝিয়েছে যারা বংশগতভাবে বিভিন্ন আদি পেশা যেমন; কামার, কুমার, নাপিত, কাঁসা, পিতল, বাঁশ-বেত পণ্য , জুতা মেরামত, বাদ্যযন্ত্র, নকশী কাঁথা, লোকজ যন্ত্র, শীতলপাটি-শতরঞ্জি তৈরি সহ এ ধরনের সনাতন পেশার সঙ্গে যুক্ত। এই প্রকল্পটি ২০১৭ সাল থেকে বাস্তবায়ন হয়ে আসছে। প্রথম পর্যায়ে সাতাশটি জেলায় ১১৭টি উপজেলায় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়।

ওই প্রান্তিকে ২৬ হাজার ৩৪৩ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বর্তমানে দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫০টি উপজেলায় ১২ হাজার জনকে ১০ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। 

প্রশিক্ষণ শেষে এককালীন ১৮ হাজার নগদ টাকা সহায়তা দেওয়া হবে বলে সেমিনারে জানানো হয়।
সেমিনারে অন্যদের মধ্যে সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক (সামাজিক নিরাপত্তা) মো.

মোশাররফ হোসেন, পরিচালক (প্রতিষ্ঠান) সমীর মল্লিক, পরিচালক (কার্যক্রম) মোস্তফা মোস্তাকুর রহিম খানসহ সারাদেশের আট বিভাগের সমাজসেবা কর্মকর্তা ও জেলার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রকল প

এছাড়াও পড়ুন:

৩৫ দিনে হিলি বন্দরে ১ লাখ মেট্রিকটন চাল আমদানি

গত ৩৫ দিনে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দুই হাজার ২৪টি ভারতীয় ট্রাকে করে এক লাখ চার হাজার ৮৫৯ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে দেশের চালের বাজারে। খুচরা বাজারে কেজি প্রতি চালের দাম কমেছে প্রকার ভেদে ৪ থেকে ৬ টাকা।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় হিলি বন্দর ঘুরে জানা যায়, দেশের অস্থির চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ১২ আগস্ট থেকে চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্ধারিত ২ শতাংশ শুল্কে ভারত থেকে চাল আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা। 

প্রতি টন চাল ৫২০ থেকে ৫৩০ ডলার, কিছু ক্ষেত্রে ৫৪০ ডলার মূল্যে আমদানি হচ্ছে। এসময় সবচেয়ে বেশি আসছে শম্পা কাটারি জাতের চাল।

হিলির খুচরা ব্যবসায়ী স্বপন পাল বলেন, “ভারত থেকে চাল আসায় বাজারের অস্থিরতা কমছে। প্রতিটি জাতের চাল কেজিতে ৪ থেকে ৬ টাকা করে কমেছে। ৫৫ টাকা কেজি দরের মোটা চাল বিক্রি করছি ৫১ থেকে ৫২ টাকা, আবার ৭৪ টাকার শম্পা কাটারি চাল খুচরা বিক্রি করছি ৬৮ কেজি হিসেবে। আশা করছি আগামীতে আরো কমবে।”

আমদানিকারক নুর ইসলাম বলেন, “২ শতাংশ শুল্কে আমরা চাল আনছি। ৫২০-৫৪০ ডলার দরে আমদানি হচ্ছে। এতে বাজারে দামের প্রভাব স্পষ্টভাবে পড়ছে।”

হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন জানান, গত ১২ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর ৩৫ দিনে ভারত থেকে ২৪২১টি ট্রাকে এক লাখ চার হাজার ৮৫৯ মেট্রিকটন চাল এসেছে। দেশের বাজারে চালের চাহিদা থাকায় দ্রুত খালাস প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হচ্ছে।

ঢাকা/মোসলেম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ