পাকিস্তানের সাবেক পেসারের দাবি, আইপিএল ম্যাচ পাতানোর ‘সবচেয়ে বড় মঞ্চ’
Published: 24th, April 2025 GMT
আইপিএল নিয়ে পুরোনো বিতর্কটা আবারও সামনে টেনে আনলেন পাকিস্তানের সাবেক পেসার তানভীর আহমেদ। তাঁর মতে, ভারতের এ ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ ম্যাচ পাতানোর ‘সবচেয়ে বড় মঞ্চ’।
পাকিস্তানের হয়ে ৫টি টেস্ট, ২টি ওয়ানডে ও ১টি টি-টোয়েন্টি খেলা তানভীর এই অভিযোগ তুললেন রাজস্থান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (আরসিএ) অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক জয়দীপ বিহানি একই অভিযোগ করার পর।
আইপিএলে ১৬ এপ্রিল দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে সুপার ওভারে হারে রাজস্থান রয়্যালস। এরপর ১৯ এপ্রিল লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টসের বিপক্ষে আবার ২ রানে হারে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। দুটি ম্যাচেরই একপর্যায়ে জয়ের সুযোগ ছিল রাজস্থানের। সেখান থেকে হেরে যাওয়ায় রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ তোলেন বিহানি। তবে এক চিঠিতে অভিযোগের কড়া জবাব দিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস।
পাকিস্তানের হয়ে ৫টি টেস্ট খেলেছেন তানভীর.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস
রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।
‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।
এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।
সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।
বর্ষার ফুলের উৎসব
বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!
রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।
এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।