শিল্পকলার নামে হল বরাদ্দের নেপথ্যে
Published: 24th, April 2025 GMT
মে মাসে ৩১ দিন হিসাবে তিন মিলনায়তনে ৯৩ দিনের মধ্যে ৫৪ দিনই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জন্য সংরক্ষিত রেখেছে বরাদ্দ কমিটি। অথচ জানা গেছে, এসব দিন আসলে ফাঁকা। এই সময়ে আবেদন করেও হল পায়নি, এমন অভিযোগ করেছে বেশ কিছু নাট্যদল।
হল বরাদ্দের এ তালিকা প্রকাশ্যে আসার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা চলছে। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, কোনো নাট্যদলকে না দিয়ে শিল্পকলার নামে হল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কেন? শিল্পকলা একাডেমি এত দিন হল বরাদ্দ নিয়েই–বা কী করবে?
মে মাসে শিল্পকলার জাতীয় নাট্যশালায় ২০ দিন, স্টুডিও থিয়েটার হলে ২২ দিন ও এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে ১২ দিন শিল্পকলা একাডেমির নামে ‘সংরক্ষিত’ রেখেছে হল বরাদ্দ কমিটি।
হল বরাদ্দ নিয়ে ফেসবুক গ্রুপ ‘থিয়েটার সংযোগ’–এ জুবায়ের জাহিদ নামের এক নাট্যকর্মী প্রশ্ন তুলেছেন, ‘কী ধরনের শিল্পচর্চাটা আপনারা (শিল্পকলা একাডেমি) করতে চাচ্ছেন, যাতে ৩টা মিলনায়তনে ৫৪ কার্যদিবস আপনাদের বরাদ্দ লাগে?’
নেপথ্যে কী
বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মধ্যে শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো। প্রতিষ্ঠানটির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের উপপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন গতকাল দুপুরে প্রথম আলোকে জানান, এসব দিনে (৫৪ দিন) হল বরাদ্দের জন্য কোনো আবেদন পাওয়া যায়নি কিংবা কোনো নাট্যদল বা সংগঠনকে হল বরাদ্দ দেয়নি কমিটি। খালি দিনগুলোকে শিল্পকলার নামে ‘সংরক্ষিত’ রাখা হয়েছে।
মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের ভাষ্য, ফাঁকা দিনগুলো শিল্পকলা একাডেমির হাতে রাখা হয়েছে। এসব দিনে হল বরাদ্দ পেতে আবেদন করতে পারে নাট্যদল কিংবা সংগঠন। কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে হল বরাদ্দ দেওয়া হবে।
শিল্পকলা একাডেমি জানিয়েছে, আগেও যেসব দিনে হল বরাদ্দ দেওয়া হতো না, সেসব দিন বরাদ্দের তালিকায় খালি রাখা হতো। মে মাস থেকে হল বরাদ্দ কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে ‘সংরক্ষিত’ দেখানো হয়েছে। চাইলে কেউ শো করতে পারবেন।
বেশ কিছু নাট্যদল আবেদন করেও হল পায়নি, এমন অভিযোগের বিষয়ে শিল্পকলা একাডেমির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা আগেও ঘটেছে। শিল্পকলা আবেদন করলেই কেউ হল পেয়ে যাবে, এটা কিন্তু নীতিমালায় বলা নেই। হল বরাদ্দ কমিটি নানা বিষয় বিচার-বিবেচনা করে। প্রথমত, মানসম্পন্ন নয়, এমন দল আবেদন করলে কমিটি বরাদ্দ দেয় না। অনেকে আগের মাসে আবেদন করেছে কিন্তু শো করেনি, শেষ মুহূর্তে হল বাতিল করার কারণে আরেকটা দল শো করতে পারল না। কিছু কিছু দলের এ রকম ব্যাপার আছে।’
আরও পড়ুনশিল্পকলা একাডেমির তিন মিলনায়তনের নতুন নাম২০ ডিসেম্বর ২০২৪.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ল পকল র বর দ দ র এক ড ম র ন ট যদল
এছাড়াও পড়ুন:
সেরা তিন প্রফেশনাল কোর্স
বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে নিজেদের যোগ্য করে তুলতে প্রফেশনাল কোর্সের গুরুত্ব অপরিসীম। সঠিক কোর্স নির্বাচন আপনাকে অন্যদের থেকে এগিয়ে রাখতে সাহায্য করবে। এখানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রফেশনাল কোর্স সম্পর্কে আলোচনা করা হলো যা আপনার ক্যারিয়ারকে নতুন মাত্রা দিতে পারে:
ডেটা সায়েন্স এবং মেশিন লার্নিং
প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ডেটার ব্যবহার বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ডেটা সায়েন্স এবং মেশিন লার্নিংয়ের মাধ্যমে বিশাল পরিমাণ ডেটা বিশ্লেষণ করে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই কোর্সে আপনি শিখবেন:
প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ:
পাইথন (Python) বা আর (R)-এর মতো প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করে ডেটা বিশ্লেষণ।
পরিসংখ্যান: ডেটা বিশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিসংখ্যানিক ধারণা।
মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম: ডেটা থেকে প্যাটার্ন শেখা এবং ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য বিভিন্ন অ্যালগরিদম।
ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন: ডেটাকে সহজে বোঝার জন্য গ্রাফ বা চার্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করা।
ডেটা সায়েন্টিস্ট, মেশিন লার্নিং ইঞ্জিনিয়ার, ডেটা অ্যানালিস্ট-এর মতো পদগুলোতে এই কোর্সের চাহিদা অনেক বেশি।
প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট
যে কোনো প্রতিষ্ঠানে সফলভাবে কোনো প্রজেক্ট সম্পন্ন করার জন্য দক্ষ প্রজেক্ট ম্যানেজারের প্রয়োজন হয়। এই কোর্সটি আপনাকে প্রজেক্ট পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন এবং পর্যবেক্ষণ করার কৌশল শেখাবে। এখানে আপনি যা শিখবেন:
প্রজেক্ট লাইফসাইকেল:
একটি প্রজেক্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ।
রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট: প্রজেক্টের জন্য প্রয়োজনীয় মানবসম্পদ, অর্থ ও উপকরণের সঠিক ব্যবহার।
ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা (Risk Management): প্রজেক্টে সম্ভাব্য ঝুঁকি চিহ্নিত করা ও তা মোকাবিলা করার কৌশল।
যোগাযোগ দক্ষতা: প্রজেক্ট টিমের সদস্য ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ স্থাপন।
প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট টুলস: বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে প্রজেক্ট ট্র্যাক করা।
এই কোর্স শেষ করে আপনি প্রজেক্ট ম্যানেজার, প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর, বা প্রজেক্ট লিডার হিসেবে কাজ করতে পারবেন। পিএমপি (PMP) সার্টিফিকেশন এই ক্ষেত্রে অত্যন্ত মূল্যবান।
সাইবার সিকিউরিটি
ডিজিটাল বিশ্বে সাইবার হামলার ঝুঁকি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তাই বিভিন্ন সংস্থা তাদের ডেটা ও সিস্টেম সুরক্ষিত রাখতে সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ দিচ্ছে। এই কোর্সে আপনি শিখবেন:
নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি:
কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে সুরক্ষিত রাখার কৌশল।
ইনফরমেশন সিকিউরিটি: গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
এথিক্যাল হ্যাকিং: সিস্টেমের দুর্বলতা খুঁজে বের করে তা সমাধানের উপায়।
ক্রিপ্টোগ্রাফি: ডেটাকে এনক্রিপ্ট করে সুরক্ষিত রাখা।
ইনসিডেন্ট রেসপন্স: সাইবার হামলা হলে তা মোকাবিলা করার কৌশল। v