ইমরানউজ্জামাানের সেঞ্চুরিতে অগ্রণীর বড় জয়
Published: 26th, April 2025 GMT
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে অগ্রণী ব্যাংক ১৩৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকে। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ৭ উইকেটে ৩৪০ রান করে। জবাব দিতে নেমে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব গুটিয়ে যায় ২০৩ রানে।
এই ম্যাচে তাদের জয়ের নায়ক অগ্রণী ব্যাংকের ওপেনার ইমরানউজ্জামান। উইকেট রক্ষক ব্যাটাসম্যান ১০৮ বলে ১৭ চার ও ২ ছক্কায় ১২৩ রান করেন। এছাড়া তাইবুর রহমান ৭৫ বলে ৬০ রান করেন ৫ চার ও ১ ছক্কায়। শেষ দিকে দলের দাবি মিটিয়েছেন প্রীতম কুমার। ২০৩.
লক্ষ্য তাড়ায় গুলশানের ব্যাটিং একদমই ভালো হয়নি। নিয়মিত ওপেনার তামিম ও আহরার যুব দলের সফরে থাকায় অনেকটা দ্বিতীয় সারির দল নেয় তাদের খেলতে হয়েছিল। তাতে প্রত্যাশিত ফল আসেনি। কোনো মতো ২০৩ রান করে গুটিয়ে যায় তারা। সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন শাকিল হোসেন। নিহাদুজ্জামান ৪৯ ও হাবিবুর শেখ মুন্না ৩৯ রান করেন। বল হাতে সন্দীপ রয় চৌধুরী ৩৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ছিলেন অগ্রণী ব্যাংকের সেরা। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন শুভাগত হোম ও তাইবুর রহমান। সুপার লিগে চার ম্যাচে এটি অগ্রণী ব্যাংকের প্রথম জয়। অন্যদিকে গুলশানের চার ম্যাচে তৃতীয় পরাজয়। দুই দলের কারোরই শিরোপা জয়ের সুযোগ নেই।
আরো পড়ুন:
শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে শিরোপার লড়াইয়ে টিকে থাকল মোহামেডান
আবাহনী-মোহামেডানের জয়ের দিনে জিতেছে রূপগঞ্জ
ঢাকা/ইয়াসিন/নাভিদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর ন উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরও কম, ১২৫ রানে। কিন্তু রোববার (০২ নভেম্বর) তারা চোখে চোখ রেখে লড়াই করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে আফগানদের করা ২১০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে হার মানে মাত্র ৯ রানে। দুই ইনিংসে রান হয়েছে মোট ৪১১টি। যা আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।
আরো পড়ুন:
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
স্বাগতিকরা থেমে থেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্রিয়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ও তাশিনগা মুসেকিওয়ার ব্যাটে লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। বেনেট ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক রাজা ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বার্ল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর মুসেকিওয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৮ রান।
বল হাতে আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি ও ফরিদ আহমদ ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।
তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই রানে গুরবাজ আউট হন ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১৬৩ রানের মাথায় ইব্রাহিম আউট হন ৭টি চারে ৬০ রান করে। এরপর সেদিকুল্লাহ অটল ১৫ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে যান।
বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন রিচার্ড এনগ্রাভা।
৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গুরবাজ। আর মোট ১৬৯ রান করে সিরিজ সেরা হন ইব্রাহিম জাদরান।
ঢাকা/আমিনুল