মাহির– আমাদেরই সন্তানতুল্য ছেলে। এক্স ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন অব সন্দ্বীপের সদস্য তারকা ক্রিকেটার মো. মাসুমের আদরের বড় ছেলে মোহাম্মদ আবদুল করিম মাহির মরণব্যাধি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। আর দশটা বাচ্চার মতো সন্দ্বীপের গাছুয়া ইউনিয়নের ঘাট মাঝিরহাট এলাকার সারাফত আলী মুন্সীর বাড়ির ছেলে মাহির  গ্রামীণ জীবনে হেসেখেলে জীবন অতিবাহিত করছিল। হয়তো স্বপ্ন বুনছিল জীবনে কী হতে চায় সেটা নিয়ে। কত আর বয়স হবে ১১-১২ বছর। এই বয়সে তার বই নিয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা। অবসর সময়ে বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলায় মেতে থাকার কথা। কিন্তু তার এখন সময় কাটছে হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে। বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা তার প্রাত্যহিক স্বাভাবিক জীবনকে অস্বাভাবিক করে তুলেছে। ডাক্তারের পরামর্শে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ক্যান্সার ইউনিটে তার এখন কেমোথেরাপি শুরু হয়েছে। ব্লাড ক্যান্সারের এই চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল। যার ব্যয়ভার বহন করা তার অসচ্ছল বাবার পক্ষে অসম্ভব। সমাজের সচ্ছল মানুষের একটু সহযোগিতাই পারে মাহিরের মুখে আবার হাসি ফোটাতে। একজন মানুষের পক্ষে এই চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা অনেক কঠিন। কিন্তু অনেক মানুষের সহযোগিতা সেই কঠিন কাজকে 
সহজ করে দিতে পারে। মাহিরের মা, বাবার দুঃখটাকে আমরা ভাগ করে নিতে চাই। এ 
বিপদে আমরা সুস্থ ও সচ্ছল মানুষ মাহিরের পাশে দাঁড়াতে চাই। 
আমরা সমাজের বিত্তশালী মানুষের কাছে উদাত্ত আহবান জানাই, আপনারা মাহিরের চিকিৎসা সহযোগিতায় এগিয়ে আসুন। আপনাদের ক্ষুদ্র সহযোগিতায় মাহির হয়তো আবার সুস্থ হবে। আবার হয়তো কৈশোরের চঞ্চলতায় মেতে উঠবে। আমরা মাহিরের দীর্ঘায়ু কামনা করছি। 
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: জিকু ০১৬৭০-৩২৩২২০ (বিকাশ পারসোনাল), ইমতিয়াজ পায়েল ০১৮১৮-২১৭৬৫৩ (বিকাশ পারসোনাল), এমএইচ পয়েল ০১৮১২-৫৫০৮২৬ (বিকাশ ও নগদ পারসোনাল), সিফাতুল কবীর রিয়েল ০১৮৫৬-৪৯৭৮৭৭ (বিকাশ পারসোনাল)।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রস ন ল সহয গ ত

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস

রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।

‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।

এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।

বর্ষার ফুলের উৎসব

বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!

রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।

এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ