বিদ্যালয়ে নয়, হাসপাতালে দিন কাটছে মাহিরের
Published: 26th, April 2025 GMT
মাহির– আমাদেরই সন্তানতুল্য ছেলে। এক্স ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন অব সন্দ্বীপের সদস্য তারকা ক্রিকেটার মো. মাসুমের আদরের বড় ছেলে মোহাম্মদ আবদুল করিম মাহির মরণব্যাধি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। আর দশটা বাচ্চার মতো সন্দ্বীপের গাছুয়া ইউনিয়নের ঘাট মাঝিরহাট এলাকার সারাফত আলী মুন্সীর বাড়ির ছেলে মাহির গ্রামীণ জীবনে হেসেখেলে জীবন অতিবাহিত করছিল। হয়তো স্বপ্ন বুনছিল জীবনে কী হতে চায় সেটা নিয়ে। কত আর বয়স হবে ১১-১২ বছর। এই বয়সে তার বই নিয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা। অবসর সময়ে বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলায় মেতে থাকার কথা। কিন্তু তার এখন সময় কাটছে হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে। বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা তার প্রাত্যহিক স্বাভাবিক জীবনকে অস্বাভাবিক করে তুলেছে। ডাক্তারের পরামর্শে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ক্যান্সার ইউনিটে তার এখন কেমোথেরাপি শুরু হয়েছে। ব্লাড ক্যান্সারের এই চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল। যার ব্যয়ভার বহন করা তার অসচ্ছল বাবার পক্ষে অসম্ভব। সমাজের সচ্ছল মানুষের একটু সহযোগিতাই পারে মাহিরের মুখে আবার হাসি ফোটাতে। একজন মানুষের পক্ষে এই চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা অনেক কঠিন। কিন্তু অনেক মানুষের সহযোগিতা সেই কঠিন কাজকে
সহজ করে দিতে পারে। মাহিরের মা, বাবার দুঃখটাকে আমরা ভাগ করে নিতে চাই। এ
বিপদে আমরা সুস্থ ও সচ্ছল মানুষ মাহিরের পাশে দাঁড়াতে চাই।
আমরা সমাজের বিত্তশালী মানুষের কাছে উদাত্ত আহবান জানাই, আপনারা মাহিরের চিকিৎসা সহযোগিতায় এগিয়ে আসুন। আপনাদের ক্ষুদ্র সহযোগিতায় মাহির হয়তো আবার সুস্থ হবে। আবার হয়তো কৈশোরের চঞ্চলতায় মেতে উঠবে। আমরা মাহিরের দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: জিকু ০১৬৭০-৩২৩২২০ (বিকাশ পারসোনাল), ইমতিয়াজ পায়েল ০১৮১৮-২১৭৬৫৩ (বিকাশ পারসোনাল), এমএইচ পয়েল ০১৮১২-৫৫০৮২৬ (বিকাশ ও নগদ পারসোনাল), সিফাতুল কবীর রিয়েল ০১৮৫৬-৪৯৭৮৭৭ (বিকাশ পারসোনাল)।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, চালক আটক
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে চলন্ত বাসে এক কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে বাসচালককে আটক করেছেন স্থানীয়রা। এসময় পালিয়ে গেছেন চালকের সহকারী।
রবিবার (১৫ জুন) দিবাগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার আউশকান্দির তিনতালাব পুকুরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক বাসচালক সাব্বির মিয়া (২৫) উপজেলার ইনাতাবাদ বাংলাবাজার এলাকার ছাতির আলীর ছেলে। পালিয়ে যাওয়া হেলপার লিটন মিয়া সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বাসিন্দা।
নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো. দুলাল মিয়া বলেন, ‘‘রবিবার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের উদ্দেশে বাসে উঠেন ওই কলেজছাত্রী। শায়েস্তাগঞ্জে নামার কথা থাকলেও বাসে ঘুমিয়ে পড়ায় তাকে নামিয়ে দেওয়া হয় শেরপুরে। পরে বাড়ি ফেরার জন্য মা এন্টারপ্রাইজের একটি লোকাল বাসে উঠেন তিনি। বাসটি আউশকান্দিতে পৌঁছালে অন্য যাত্রীরা নেমে যান। এরপর চালক ও হেলপার ওই ছাত্রীকে বাসের ভেতরে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগীর চিৎকারে স্থানীয়রা বাস থামিয়ে চালককে ধরে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন। এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে।’’
আরো পড়ুন:
রাজবাড়ীতে ২ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
ঢাকা/মামুন/রাজীব