গত দুই বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে বিনোদন সহযোগী হিসেবে রয়েছে ‘টিকটক’। টিকটকে থাকছে নানা রকমের ইন-অ্যাপ কার্যক্রম, লাইভ ইভেন্ট এবং এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট।
মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কারের চূড়ান্ত পর্যায়ের ভোট গ্রহণ চলছে। গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) থেকে টিকটক ব্যবহারকারীরাও তাঁদের প্রিয় তারকাদের ভোট দিতে পারছেন। টিকটকে ভোট গ্রহণ চলবে ১৮ মে ২০২৫ পর্যন্ত। অ্যাপে ভোটিংয়ের জন্য থাকছে একটি বিশেষ পেজ আর এ পুরস্কারের অফিশিয়াল হ্যাশট্যাগ #MerilProthomAloAward।
বিনোদন সহযোগী হিসেবে এবারের অনুষ্ঠানে নানাভাবে যুক্ত থাকবে টিকটক। এবার টিকটক ও প্রথম আলো তৈরি করছে বিশেষ কনটেন্ট, যেখানে তুলে আনা হবে অনুষ্ঠান–মঞ্চের পেছনের গল্প, তারকাদের সাক্ষাৎকারসহ বিশেষ মুহূর্তগুলো। এ উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের নতুন কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের খুঁজে বের করা, গড়ে তোলা এবং তাঁদের প্রতিভাকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে।

এ বিষয়ে টিকটকের মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার মহাব্যবস্থাপক কিন্ডা ইব্রাহিম বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের এন্টারটেইনমেন্ট পার্টনার হতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। টিকটক হলো জনশীলতা, সৃজনশীলতা ও বৈচিত্র্যের প্ল্যাটফর্ম। এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের বিনোদনজগতের মানুষের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি আরও মজবুত করছি। ভক্তরা এখন আরও সহজে তাঁদের প্রিয় তারকাদের দেখতে ও তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন।’

প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক বলেন, ‘টিকটকের অংশীদারত্ব মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে নতুন রং এনেছে। এর ফলে আমরা বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দর্শকদের সঙ্গে আরও ভালোভাবে যুক্ত হতে পারছি। অতীতের সফলতার ধারাবাহিকতায় এ বছরও আমরা একসঙ্গে পুরস্কার অনুষ্ঠানটিকে দর্শকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় ও নতুনভাবে উপস্থাপনের পরিকল্পনা করছি।’

১৯৯৮ সালে শুরু হওয়া মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার প্রতিবছর বাংলাদেশের বিনোদনশিল্পের সেরা কাজগুলোকে সম্মান জানায়। এখানে দর্শক জরিপ আর সমালোচক—দুই বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হয়। দৈনিক প্রথম আলো ও স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠান এখন দেশের টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রজগতের অন্যতম বড় স্বীকৃতির প্রতীক হয়ে উঠেছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম র ল প রথম আল প রস ক র র অন ষ ঠ ন ট কটক

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে ইরানের নতুন হামলায় নিহত বেড়ে ৫, আহত ২৯

ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলে অন্তত চার জায়গায় হামলা চালিয়েছে ইরান। এ হামলায় তিনজন নিহত হয় বলে জানায় জেরুজালেম পোস্ট। বিবিসি আরও দুইজন নিহতের খবর দেয়। এরপর আরেকজনের ফলে নতুন হামলায় ইসরায়েলে নিহত বেড়ে পাঁচজনে পৌঁছাল।

আজ সোমবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের অ্যাম্বুলেন্স ও ব্লাড ব্যাংক সংস্থাগুলো বলছে, এসব হামলায় ২৯ জন আহত হয়েছেন।

বিবিসির খবরে বলা হয়, ইসরায়েলের জাতীয় জরুরি পরিষেবার প্রধান ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম জানান, মধ্য ইসরায়েলজুড়ে ইরানের হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুইজন নারী, একজন পুরুষ। 

এর আগে সিএনএন ইসরায়েলের ১৫ জন নিহত হওয়ার খবর দেয়। ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম কানের খবর বলছে, ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলে হামলায় একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এছাড়াও বন্দরনগরী হাইফায় অন্তত দুইজন আহত হয়েছেন। এছাড়াও সেখান আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।

এর আগে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছিল, ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়েছে। একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে ইসরায়েল। বর্তমানে হামলা প্রতিহত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।

আজ সিএনএনের এক খবরে বলা হয়েছে, তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে জরুরি সতর্ক সংকেত (সাইরেন) বাজতে শুরু করেছে। আইডিএফ সতর্ক করে বলেছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি অভেদ্য নয়।

সিএনএনের একজন প্রযোজক জেরুজালেমে সাইরেন এবং একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। তার তোলা ভিডিওতে আকাশে বহু ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে যেতে দেখা গেছে।

ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড আদোম জানিয়েছে, তাদের দলগুলো আক্রান্ত এলাকার দিকে রওনা দিয়েছে।

সারা দেশের নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে ঢুকতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকার আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, বর্তমানে বিমানবাহিনী হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি পাল্টা হামলা চালানোর কাজ করছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট নিউজ জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলের পেতাহ টিকভা শহরের একটি ভবনে একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হেনেছে। হামলার ফলে ওই স্থানে আগুন ধরে যায়। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে মধ্য ইরানে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর দাবি, বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি বিমানবাহিনী সফলভাবে মধ্য ইরানে অবস্থিত একাধিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। আমাদের গোয়েন্দা তথ্য বলছে, এসব স্থাপনা থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছিল।’

তবে ইসরায়েলের এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।

এদিকে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় রোববার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে।

বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক। হামলায় ১ হাজার ২৭০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

এপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ১৩ জুন ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ইরানের নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলের পারমাণবিক স্থাপনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। ইরানে বর্তমানে মসজিদ ও মেট্রো স্টেশনগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের তিন শিশুসহ অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। রোববার ইসরায়েল সরকারের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ বলেছে, এছাড়া ইরানের হামলায় কমপক্ষে ৩৮৫ জন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে সাত জনের অবস্থা গুরুতর।

এদিকে ইসরায়েলি পুলিশের বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, তেল আবিবের দক্ষিণে অবস্থিত বাত ইয়াম শহরে ৬ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। এছাড়া সাতজন এখনও নিখোঁজ। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন জরুরি সেবাদানকারীরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ