সিলেটে সাবেক এমপি, কাউন্সিলরসহ ৮১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 30th, April 2025 GMT
সিলেটে সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও সিটি করপোরেশনের সাবেক ২ জন কাউন্সিলরসহ ৮১ জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগের নেতা-কর্মীদেরও আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে ১০০ থেকে ১৫০ জনকে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (দ্বিতীয়) এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দেন দক্ষিণ সুরমার ঝালোপাড়া এলাকার শাহিন আহমদ (৫০)। বিষয়টি নিশ্চিত করে তাঁর আইনজীবী ফয়ছল আহমদ জানান, বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিআইবি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানকে। এ ছাড়া ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর তাকবির ইসলাম (পিন্টু), আশিক আহমদসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১ আগস্ট দুপুরে দক্ষিণ সুরমার হুমায়ূন রশীদ চত্বরে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক দফা দাবিতে শাহিন আহমদ ও তাঁর ছেলে ফাইমুল ইসলামসহ শত শত ছাত্র-জনতা একত্র হয়ে মিছিল বের করেন। মিছিলটি নগরের চৌহাট্টা এলাকায় পৌঁছালে আসামিরা রামদা, কিরিচ, রড, বন্দুক ও ইট নিয়ে হামলা চালান। এ সময় আসামিরা মিছিল লক্ষ্য করে গুলি করার পাশাপাশি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। গুলি লেগে ফাইমুলের চোখ মারাত্মকভাবে জখম হয়। এ ছাড়া ফাইমুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে আসামিরা আক্রমণ করেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব