শিক্ষার্থীদের দেশে থেকে দেশের জন্য কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় রড উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএমের চেয়ারম্যান আলীহোসাইন আকবরআলী। তিনি বলেছেন, ‘দেশ যখন তোমাকে ডাক দিচ্ছে, তখন বাইরে নয়, দেশেই থেকো, এখানেই কাজ করো, এখানেই গড়ে তোলো। আজ যদি তুমি তোমার উত্তরাধিকার তৈরি করো, তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে।’

আজ বুধবার রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসআরএম স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আলীহোসাইন আকবরআলী।

বিএসআরএম ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এই যৌথ উদ্যোগ সম্পর্কে আলীহোসাইন আকবরআলী বলেন, ‘ভালো কিছু তখনই সম্ভব, যখন প্রতিষ্ঠানগুলো বৃহত্তর কল্যাণের উদ্দেশ্যে একত্র হয়। আমরা বিশ্বাস করি, এই অংশীদারত্ব আগামী প্রজন্মের প্রকৌশলীদের গড়ে তোলার এক শক্তিশালী ভিত্তি হবে।’

বিএসআরএমের চেয়ারম্যান বলেন, তরুণ মেধাবীদের মধ্যে শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতা নয়, আধুনিক মূল্যবোধ, দায়িত্ববোধ ও দেশের সেবায় আত্মনিয়োগের মানসিকতাও গড়ে তুলতে হবে।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উদ্দেশে আলীহোসাইন আকবরআলী বলেন, শিক্ষার্থীদের শুধু বুদ্ধিমত্তা নয়, নৈতিকতা, শৃঙ্খলা ও সেবার মানসিকতা দিয়ে গড়ে তুলতে হবে। এই মূল্যবোধগুলো শুধু তাঁদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার নির্ধারণ করবে না, বরং দেশের ওপর একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে।

অনুষ্ঠানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন তামারা হাসান আবেদ বক্তব্য দেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসকে উদ্ভাবন, দায়িত্বশীল প্রকৌশল ও টেকসই স্থাপত্যের এক সত্যিকারের নিদর্শন হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এটি শুধু একটি ভবন নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সবুজ ক্যাম্পাস হয়ে ওঠার লক্ষ্যে নির্মিত একটি প্রাণবন্ত শিক্ষা-পরিবেশ। এই নতুন পরিসর কেবল শিখনের ক্ষেত্র নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্য একটি জীবন্ত গবেষণাগার।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসটি পরিবেশবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তামারা হাসান আবেদ। তিনি বলেন, ক্যাম্পাসের নকশা একটি বার্তা বহন করে। আর তা হলো, টেকসই ব্যবস্থা কোনো বিকল্প নয়, এটিই মূল ভিত্তি। এই স্থাপনা তাঁদের এই বিশ্বাসকে তুলে ধরে—প্রকৌশল মানে শুধু সমস্যার সমাধান নয়, বরং এমন এক পরিবেশ গড়ে তোলা, যেখানে মানুষ ও প্রকৃতি হাতে হাত রেখে বিকশিত হতে পারে। এই ভাবনারই ধারাবাহিকতায় নতুন ক্যাম্পাসে অবস্থিত বিএসআরএম ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল একটি অনন্য উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে। যেখানে উদ্ভাবন, দায়িত্ববোধ ও দূরদর্শিতার সমন্বয়ে ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা সম্ভব।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, বিএসআরএমের সঙ্গে এই অংশীদারত্ব শুধু টেকসই ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে না, বরং শিল্পক্ষেত্রের জ্ঞান একাডেমিয়ার সঙ্গে সমন্বিতভাবে বিকশিত হবে। বিশ্বজুড়ে তা ছড়িয়ে দেওয়ার পথ প্রশস্ত করবে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক আরশাদ মাহমুদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ স্মরণে একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এসআরএম র অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

দরজার ক্যামেরায় ‘এলিয়েন’

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার এক নারীর বাড়ির দরজায় লাগানো ক্যামেরায় (ডোরবেল ক্যামেরা) ধরা পড়েছে এক ‘রহস্যময়’ অবয়ব, যা ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণী নিয়ে নানা জল্পনা।

ঘটনাটি ঘটেছে ক্যালিফোর্নিয়ার কম্পটন এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দা জেসিকা ওর্তিজ তাঁর বাড়ির বাইরের দিকের দরজায় লাগানো ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিওর একটি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। এতে দেখা যায়, রাতে বাড়ির পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে অস্বাভাবিক আকৃতির একটি ছায়ামূর্তি।

ভিডিও দেখে তাঁর ছেলে তাঁরই মতো হতভম্ব হয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন এই নারী। সংবাদমাধ্যম এনবিসি লস অ্যাঞ্জেলেসকে ওর্তিজ বলেন, ‘আমার ছেলে বিছানা থেকে উঠে পরপর তিনবার ভিডিওটা চালায়। শেষবার দেখে বলে ওঠে, “মা, এটা একটা এলিয়েন। পুলিশে ফোন করো।”’ জবাবে তিনি বলেন, ‘এলিয়েনের জন্য পুলিশ ডাকব? লোকে তো আমাকে পাগল ভাববে!’

ইনস্টাগ্রামে ভিডিওটি ১০ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগের অন্যান্য মাধ্যমেও ভিডিওটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিডিওর নিচে মন্তব্যের ঘরে কেউ কেউ বলেছেন, এটি এলিয়েন বা অন্য কোনো রহস্যময় প্রাণী হতে পারে। কেউ আবার এমন ধারণাও প্রকাশ করেছেন, এটি হয়তো কোনো মানুষ, যাঁর মাথায় টুপি ছিল বা তিনি হালকা রঙের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে চলে যাচ্ছিলেন। দূর থেকে ক্যামেরায় তা এলিয়েনসদৃশ ছায়া তৈরি করেছে।

তবে এ পর্যন্ত কেউই নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি যে এই ছায়ামূর্তির প্রকৃত উৎস কী। এখনো ভিডিওর রহস্যময় অবয়বের বিষয়টি অমীমাংসিতই রয়ে গেছে। ওর্তিজ বলেন, ‘আমার ধারণা, এটা এলিয়েনই। আমি বিশ্বাস করি, সৃষ্টিকর্তা এতটাই সৃজনশীল যে শুধু আমাদের দিয়েই জীবন সৃষ্টি থেমে যেতে পারে না।’

পৃথিবীর বাইরেও প্রাণের অস্তিত্ব থাকা নিয়ে মানুষের মধ্যে নানা ধরনের বিশ্বাস আছে। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে পৃথিবীর বাইরেও প্রাণের অস্তিত্ব আছে। তারা মাঝেমধ্যে পৃথিবীতে আসে। তাদের এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণী বলা হয়। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে এই এলিয়েন দেখতে পাওয়ার দাবি করা হয়েছে। তবে বৈজ্ঞানিকভাবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে নিশ্চিত কিছু বলা হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ