বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের জন্য এ এক হতাশার সংবাদ। ফিফার সদ্য প্রকাশিত র‍্যাঙ্কিং তালিকায় এক ধাপ পিছিয়ে পড়েছে জামাল ভূঁইয়ার দল। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ২–১ গোলে হারের মাশুল দিতে হলো র‍্যাঙ্কিংয়েও। এক ধাপ অবনমন ঘটেছে বাংলাদেশের, নতুন অবস্থান এখন ১৮৪।

এর আগে ভারতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ের সুবাদে কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছিল লাল-সবুজ বাহিনী। সেই ড্রয়ের পয়েন্ট কাজে লাগিয়ে মার্চে এক ধাপ এগিয়ে উঠেছিল ১৮৩ নম্বরে। কিন্তু জুনের হারে ৫.

১৫ রেটিং পয়েন্ট হারিয়ে আবারও নামতে হলো নিচের দিকে।

বর্তমানে বাংলাদেশের মোট পয়েন্ট ৮৯৯.০১। মাত্র এক ধাপ ওপরে রয়েছে ব্রুনাই (৯০০.৬২)। আর বাংলাদেশকে হারিয়ে র‍্যাঙ্কিংয়ে ১৫৯ নম্বরে উঠে এসেছে সিঙ্গাপুর, দুই ধাপ উন্নতি করে।

আরো পড়ুন:

পিএসজির কাছে হেরে আশার আলো দেখাচ্ছেন আলোনসো

আবারও মায়ামিকে জেতালেন মেসি, গড়লেন অনন্য রেকর্ড

একসময় এশিয়ার সম্ভাবনাময় দল হিসেবে আলোচনায় ছিল বাংলাদেশ। ১৯৯৬ সালে ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ১১০তম অবস্থানে পৌঁছেছিল জাতীয় দল। যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই গৌরব হারিয়ে গেছে। ২০১৮ সালে র‍্যাঙ্কিংয়ে নেমে যায় ১৯৭তম স্থানে, যা দেশের ফুটবলের ইতিহাসে এক বিবর্ণ অধ্যায়।

র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে তেমন কোনো চমক নেই। আগের মতোই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা রয়েছে প্রথম স্থানে। সাম্প্রতিক বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে চিলির বিপক্ষে জয় পেলেও কলম্বিয়ার সঙ্গে ড্র করায় কিছুটা পয়েন্ট হারিয়েছে তারা। বর্তমান পয়েন্ট ১৮৮৫.৩৬।

দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম স্থানে অবস্থান করছে যথাক্রমে: ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, ব্রাজিল এবং স্পেন।

তবে ইউরোপিয়ান ফুটবলে এক ধাপ এগিয়ে ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে পর্তুগাল। উয়েফা নেশনস লিগ জয়ের সুবাদে র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে রোনালদোর দলের।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল এক ধ প

এছাড়াও পড়ুন:

ওসমানী উদ্যানে আবার স্থাপনার পেছনে লক্ষ্য ‘টাকা কামানো’: বাপা

রাজধানীর ঐতিহাসিক ওসমানী উদ্যান উন্নয়নের নামে ধ্বংস করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) নেতারা। তাঁদের ভাষায়, পুরান ঢাকার ফুসফুসখ্যাত এই উদ্যানকে ঘিরে চলছে ‘অর্থ কামাইয়ের উন্নয়ন’, যার সঙ্গে জুলাইয়ের গণ–অভ্যুত্থানের ইতিহাস বা চেতনার কোনো সম্পর্ক নেই।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ওসমানী উদ্যান পরিদর্শন করেন বাপার নেতারা। পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ কথাগুলো বলেন সংগঠনটির নেতারা।

বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের নেতৃত্বে উদ্যান পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন বাপার সহসভাপতি মহিদুল হক খান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতা রুহিন হোসেন, বাপার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর, ফরিদুল ইসলাম ও হুমায়ুন কবির, নির্বাহী কমিটির সদস্য জাভেদ জাহান, জাতীয় কমিটির সদস্য শেখ আনছার আলী প্রমুখ। তাঁদের সঙ্গে গ্রীন ভয়েসের নেতা–কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

২০১৮ সাল থেকে ওসমানী উদ্যান সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ। এই সময়ে উদ্যান উন্নয়নের নামে ব্যয় হয়েছে প্রায় শতকোটি টাকা। এখন সেখানে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’ নির্মাণে আরও প্রায় ৪৭ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। পরিবেশবিদদের অভিযোগ, এই উদ্যানের আইনগত মর্যাদা উপেক্ষা করে বারবার অবকাঠামো নির্মাণই এখন মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘উন্নয়ন’ নামে উদ্যানের ভেতরে নতুন স্থাপনা নির্মাণ করে আসলে জনগণের সম্পদ ধ্বংস করা হচ্ছে।

বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, ‘এখানে যেটা করা হইতেছে, এটা টাকা বানানো। এর সঙ্গে জুলাই ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই। প্রমাণটা হলো, এখানে যে ওয়াটার বডিজ আছে, ওখানে গেলেই দেখা যায়, ওখান থেকেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব হচ্ছে। এই স্মৃতি করে লাভটা কী? এই প্ল্যানটা আমি স্মৃতিস্তম্ভ বলি না, এটা স্রেফ মানি মেকিং প্রজেক্ট। আজকে যারা এগুলা (জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ) করছে, এগুলো কিছু মানি মেকিংয়ের জন্য করছে। এর মধ্যে আমি কোনো সঠিক প্ল্যানও দেখছি।’

ওসমানী উদ্যানকে তথাকথিত উন্নয়নের নামে ধ্বংস করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সিপিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন। তিনি বলেন, ‘যেই সরকারই আসুক, তাদের মাথায় থাকে শুধু উন্নয়নের নামে টাকা কামানোর চিন্তা। বহুদিন ধরে উদ্যানটা ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা, জনগণ ঢুকতেই পারে না। এই প্রকল্পে জনগণের টাকা লুটপাট ছাড়া অন্য কোনো কর্মকাণ্ড আমি দেখি না। ওসমানী উদ্যান জনগণের সম্পদ। এই উদ্যান উন্মুক্ত থাকা দরকার। বিশেষ করে মেহনতি, সাধারণ মানুষের হাঁটাচলার ও বিশ্রামের জায়গা হিসেবে। অথচ আজ সেটাকে দখল করে তথাকথিত উন্নয়ন দেখানো হচ্ছে। আসলে এটা পরিবেশ ধ্বংসেরই আরেক নাম।’

ওসমানী উদ্যান পরিদর্শন শেষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে গিয়ে সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ক্ষোভের কথা জানান বাপার নেতারা। এ সময় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম বাপা নেতাদের বলেন, সরকারের সিদ্ধান্তে ওসমানী উদ্যানে স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারবেন না।

আরও পড়ুনওসমানী উদ্যান: ঢাকার ‘ফুসফুসে’ আবার স্থাপনা ১১ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ