রায়গঞ্জে ‘আয়নাঘরে’ নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১
Published: 3rd, May 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ‘আয়নাঘরে’ আটক রেখে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। সেখান থেকে সুড়ঙ্গ বানিয়ে বের হয়ে আসার দাবি করা বৃদ্ধ আব্দুল জুব্বারের ছেলে শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এতে ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার (৩ মে) দুপুরে রায়গঞ্জ থানার ওসি আসাদুজ্জামান এতথ্য নিশ্চিত করে বলেন, “শুক্রবার রাতে মামলা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রাম্য চিকিৎসক নাজমুল ইসলাম আরাফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”
আরো পড়ুন: রায়গঞ্জে ‘মিনি আয়নাঘর’, খতিয়ে দেখছে পুলিশ
আরো পড়ুন:
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ, গ্রেপ্তার ২
চকরিয়ায় ধর্ষণ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
‘আয়নাঘর’ থেকে মুক্তি পাওয়া শিল্পী খাতুন রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের লক্ষিবিষ্ণুপ্রসাদ গ্রামের মুনসুর আলীর স্ত্রী। বৃদ্ধ আব্দুল জুব্বার একই ইউনিয়নের পূর্বপাইকড়া গ্রামের মৃত রুস্তম শেখের ছেলে।
মামলার বাদী শফিকুল ইসলাম জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে চান্দাইকোনা ইউনিয়নের সোনারাম পূর্বপাড়া গ্রামে জহুরুল ইসলামের ছেলে সুমনের বাড়ির একটি ঘরে শিল্পী খাতুন ও তার বৃদ্ধ বাবা আব্দুল জুব্বারকে ছয় মাস আটকে রাখেন গ্রাম্য চিকিৎসক নাজমুল ইসলাম আরাফাত ও তার সহযোগীরা। গত বৃহস্পতিবার (১ মে) রাতে কেচি দিয়ে মাটি খুঁড়ে সুড়ঙ্গ তৈরি করে সেখান থেকে বের হন শিল্পী খাতুন ও আব্দুল জুব্বার।
তিনি জানান, তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার (২ মে) সকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আয়নাঘরের সন্ধ্যান পান। সেখান থেকে নাজমুল ইসলাম আরফাতকে আটক করা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ ভিড় করেন ঘটনাস্থলে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সুমন ও আরাফাতের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা।
তিনি আরো জানান, ছয় মাস তারা একটি অন্ধকার, দমবন্ধ পরিবেশে বন্দি ছিলেন। কোনো আলো-বাতাস সেখানে প্রবেশ করতে পারত না। আরাফাতের ফেলে যাওয়া কেচি তাদের মুক্তির উপায় হয়। কেচি দিয়ে মাটি খুড়ে তারা বেরিয়ে আসেন। আরাফাতের সঙ্গে তাদের পুরোনো শত্রুতা ছিল। সেই কারণেই তাদের অপহরণ করে গুপ্তস্থানে বন্দি করে রাখা হয়েছিল।
ঢাকা/অদিত্য/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র য়গঞ জ ল ইসল ম আর ফ ত
এছাড়াও পড়ুন:
মাওলানা রইসের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করলে হরতালের হুশিয়ারি
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার সাবেক ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ রইস উদ্দিন কাদেরীকে মব সৃষ্টি করে যারা হত্যা করেছে তদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করলে হরতালে পালনের হুশিয়ারি দিয়েছেন সুন্নিরা। একই সঙ্গে রোববার ‘মার্চ টু গাজীপুর’ সফল করার আহ্বান জানানো হয়।
শনিবার চট্টগ্রামের লালদীঘি চত্বরে বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআতের উদ্যোগে সমাবেশে অধ্যক্ষ মুফতি অছিয়র রহমান আলকাদেরী সভাপতিত্ব করেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- শায়খুল হাদিস আল্লামা কাজী মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন আশরাফী, পীর আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ মছিহুদ্দৌলা, অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর, পীর অধ্যক্ষ আবুল ফরাহ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, মুফতি আবুল কাশেম ফজলুল হক, মুহাদ্দিস আল্লামা আশরাফুজ্জামান আলকাদেরী, অ্যাডভোকেট আবু নাছের তালুকদার, পীরজাদা গোলামুর রহমান আশরফ শাহ, অধ্যক্ষ আবুল কালাম আমিরী, আল্লামা শাহ নূর মোহাম্মদ আলকাদেরী, আল্লামা আনিসুজ্জামান আলকাদেরী, অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, এইচ এম মুজিবুল হক শাক্কুর, অধ্যাপক জালাল উদ্দীন আজহারী, ফজলুল করিম তালুকদার, মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন তৈয়্যবী, অধ্যাপক সৈয়দ হাফেজ আহমদ, অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দীন, অধ্যক্ষ ইব্রাহিম আখতারী প্রমুখ।
সভায় আল্লামা কাজী মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন আশরাফী বলেন, ‘বৈষম্য ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি দেশে ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার অন্তরায়। এত বছরেও শহীদ আল্লামা নুরুল ফারুকী হত্যার বিচারের কোনো অগ্রগতি হয়নি। এবার গাজীপুরে মসজিদের ইমাম মাওলানা রইস উদ্দিনকে মিথ্যা অপবাদে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এভাবে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য বিচার বহির্ভূত হত্যা বন্ধ ও মব সৃষ্টিকারীদের শাস্তির বিকল্প নেই। অথচ, পুলিশ-প্রশাসন মামলা পর্যন্ত নেয়নি। পুলিশ কার ইন্ধনে এমন বৈষম্যমূলক আচরণ করছে আমরা জানি না। খুনিদের গ্রেপ্তারে গড়িমসি করলে পরবর্তীতে যেকোনো পরিস্থিতিতে পুলিশ-প্রশাসন দায়ী থাকবে। খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে আমরা হরতালের মতো কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’
সভায় বক্তারা বলেন, ‘আমরা রইস হত্যার বিচার দাবিতে আন্দোলন করছি। অন্যদিকে সরকার রাখাইনে মানবিক করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ মানবিক করিডোরের মাধ্যমে দেশ সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে। অবিলম্বে করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। একইভাবে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের ইসলাম বিরোধী সুপারিশ আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।’