চলতি সপ্তাহে গাজা উপত্যকায় ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত দলগুলো খাদ্যের দোকান এবং কমিউনিটি রান্নাঘরে আক্রমণের বেশ কয়েকটি ঘটনার পর হামাস বেশ কয়েকজন অভিযুক্ত লুটপাটকারীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। হামাসের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে রবিবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

হামাস কর্মকর্তারা কিছু লুটেরাকে ইসরায়েলের সাথে সহযোগিতা করার অভিযোগ করেছেন। গত দুই মাস ধরে ইসরায়েল গাজায় সাহায্য প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। 

হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজা সিটিতে অপরাধীদের তাড়া করার সময় একটি পুলিশ ইউনিটে ইসরায়েলি ড্রোন হামলা হয়। এ ঘটনা একজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত এবং অন্যরা আহত হয়।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমরা এই সব বিদ্রোহীদের কঠোর হাতে দমন করব ও তাদের নিবৃত্ত করার জন্য যেকোনো মূল্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব  এবং আমরা তাদেরকে নাগরিকদের আতঙ্কিত করতে, জীবনকে হুমকির মুখে ফেলতে ও সম্পদ চুরি করতে দেব না।” 

গাজার হামাস পরিচালিত সরকারি মিডিয়া অফিসের পরিচালক ইসমাইল আল-থাওয়াবতা জানিয়েছেন, কিছু লুটেরা একটি গোষ্ঠীর ছত্রছায়ায় কাজ করেছিল এবং অন্যরা সংগঠিত গোষ্ঠী হিসেবে কাজ করেছিল। এদের মধ্যে কিছু ইসরায়েলের সরাসরি সমর্থন পেয়েছিল।

তিনি বলেন, লুটপাটের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় ‘বেশ কয়েকজন শীর্ষ অপরাধীর’ বিরুদ্ধে ‘বিপ্লবী মৃত্যুদণ্ডের রায়’ কার্যকর করা হয়েছে।

গাজার কিছু বাসিন্দা এবং ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম জানিয়েছে, হামাসের সশস্ত্র শাখা রাত ৯টা থেকে কারফিউ জারি করেছে। তারা রাতে বেসামরিক নাগরিকদের চলাচল সীমিত করেছে এবং অপরাধীদের তাড়া করতে শুরু করেছে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিমানবাহিনীর ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টরস কোর্স সম্পন্ন করলেন ১৬ কর্মকর্তা

বিমানবাহিনীর ৬৫তম ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টরস কোর্স সম্পন্ন করেছেন ১৬ প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তা। বগুড়ার আরুলিয়া এয়ারফিল্ডের বিমানবাহিনী ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টরস স্কুলে এই কর্মকর্তাদের মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার সনদ বিতরণ করা হয়। সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।

বিমানবাহিনী প্রধান তাঁর বক্তব্যে বলেন, প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তারা উড্ডয়ন প্রশিক্ষকের মতো একটি সম্মানিত দলের অন্তর্ভুক্ত হলেন। যা বাংলাদেশের আকাশ প্রতিরক্ষায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দক্ষতার সঙ্গে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, বিমানবাহিনীর ১৫ জন এবং নৌবাহিনীর ১ জন কর্মকর্তা ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টরস কোর্সের সনদ গ্রহণ করেন। ৬৫তম ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টরস কোর্সের স্কোয়াড্রন লিডার এ কে এম শওকত উল্লাহ সামিও সার্বিকভাবে চৌকস প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তা হিসেবে বিবেচিত হয়ে ‘মফিজ ট্রফি’ অর্জন করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টরস স্কুলের অধিনায়ক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এ প্রতিষ্ঠানে পরিচালিত কোর্স সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণী তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী বিমানবাহিনী প্রধান (পরিচালন) এয়ার ভাইস মার্শাল জাভেদ তানভীর খান, বিমানবাহিনী ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল সৈয়দ সাঈদুর রহমানসহ সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ