ফরিদপুরের সালথায় ব্যবসায়ী হাসান আশরাফের বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলার প্রধান আসামি মো. নাসির উদ্দিন মাতুব্বরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার দুপুর ২টার দিকে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নাসির উদ্দিন সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের মহিউদ্দিন মাতুব্বরের ছেলে ও  উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক।

সালথা থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জানুয়ারি নাসিরের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের কিত্তা গ্রামের ব্যবসায়ী হাসান আশরাফের দোতলা বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় এবং তার একটি টিনশেড ঘরে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় হাসান আশরাফের সমর্থক বিএনপি নেতা মাজেদ মোল্লার দুটি, ইউনুস মোল্লার দুটি, বিভাগদী গ্রামের শহীদ সরদারের বাড়িঘর এবং শফিকের একটি দোকান ভাঙচুর করে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি নাসির।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

আতাউর রহমান বলেন, নাসিরের বিরুদ্ধে দুটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনসহ একাধিক মামলা রয়েছে। রোববার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কিশোরগঞ্জে নিকলীতে বালু উত্তোলন নিয়ে বিএনপি-যুবদল সংঘর্ষ, আহত ২০

কিশোরগঞ্জের নিকলীতে নদী থেকে বালু উত্তোলন নিয়ে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও যুবদলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

আহতদের নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা সদরের নতুন বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আরো পড়ুন:

কিশোরগঞ্জে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৩০

জম্মু-কাশ্মীরে গোলাগুলি, ২ ভারতীয় সেনা নিহত

নিকলীর এসিল্যান্ড প্রতিক দত্ত জানান, নিকলী উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আজহারুল ইসলাম সোহেলের অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার (১১ আগস্ট) রাত ৮টায় ঘোড়াউত্রা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বালু উত্তোলনকালে ড্রেজারসহ মো. রিপন মিয়া নামে একজনকে আটক করে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

স্থানীয়রা জানায়, ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার অভিযোগকারী ও অভিযুক্তের পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়।

নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী আরিফ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যাবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ঢাকা/রুমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ