প্রেমের মাঠে নেইমার: তিন প্রেমিকা, তিন সন্তান এবং আরও একজনের অপেক্ষা
Published: 5th, May 2025 GMT
মাঠে নেই, কিন্তু আলোচনায় আছেন। নেইমারকে ভুলে যাওয়ার আসলে কোনো উপায় নেই। তিনি চোট পেলে সেটা খবর, চোট থেকে ফিরে এলেও। আর এই চোটে পড়া আর ফিরে আসার মাঝে যে সময়, তখন আলোচনা তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। এই প্রেমিকার সঙ্গে বিচ্ছেদ হচ্ছে, এই জোড়া লাগছে। বিচ্ছেদ আর জোড়া লাগার মাঝে আবার অন্য নারীতে মজেও আলোচনায় নেইমার। এভাবেই কাটছে তাঁর জীবন।
ব্রাজিলের সর্বকালের সেরাদের একজন হয়ে ওঠার আভাস দিয়ে তাঁর ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল। সেরাদের একজন হয়েছেন। নিজের সময়ের তো অবশ্যই। তবে সর্বকালের সেরা হয়ে ওঠার মতো কিছু আসলে এখনো করতে পারেননি। তবু এই ব্রাজিল দলে ৩৩ বছর বয়সী নেইমার যেন সবেধন নীলমণি। হ্যাঁ, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রাফিনিয়া কিংবা রদ্রিগোরা এসেছেন, ভালোও করছেন। কিন্তু কেউ নেইমার হয়ে উঠতে পারেননি।
নেইমারের প্রথম প্রেমিকা কারোলিনা দান্তাস.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯
ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ খবর জানান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও পানি-বিদ্যুতের সংযোগ আবার চালু করার চেষ্টা করছে ফিলিপাইন সরকার।
দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার আগে সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহত মানুষের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ছে।
আঞ্চলিক সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, সেবুর প্রাদেশিক দুর্যোগ দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবেরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
সেবু ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা ফিলিপাইনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।
ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সান রেমিগিও শহরটিও। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ শহরে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের ভাইস মেয়র আলফি রেইনেস বলেন, উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার ও পানি, সেই সঙ্গে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন।
স্থানীয় ডিজেডএমএম রেডিওকে আলফি রেইনেস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পে সেখানে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুনফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ৫ ঘণ্টা আগে