প্রেমের মাঠে নেইমার: তিন প্রেমিকা, তিন সন্তান এবং আরও একজনের অপেক্ষা
Published: 5th, May 2025 GMT
মাঠে নেই, কিন্তু আলোচনায় আছেন। নেইমারকে ভুলে যাওয়ার আসলে কোনো উপায় নেই। তিনি চোট পেলে সেটা খবর, চোট থেকে ফিরে এলেও। আর এই চোটে পড়া আর ফিরে আসার মাঝে যে সময়, তখন আলোচনা তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। এই প্রেমিকার সঙ্গে বিচ্ছেদ হচ্ছে, এই জোড়া লাগছে। বিচ্ছেদ আর জোড়া লাগার মাঝে আবার অন্য নারীতে মজেও আলোচনায় নেইমার। এভাবেই কাটছে তাঁর জীবন।
ব্রাজিলের সর্বকালের সেরাদের একজন হয়ে ওঠার আভাস দিয়ে তাঁর ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল। সেরাদের একজন হয়েছেন। নিজের সময়ের তো অবশ্যই। তবে সর্বকালের সেরা হয়ে ওঠার মতো কিছু আসলে এখনো করতে পারেননি। তবু এই ব্রাজিল দলে ৩৩ বছর বয়সী নেইমার যেন সবেধন নীলমণি। হ্যাঁ, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রাফিনিয়া কিংবা রদ্রিগোরা এসেছেন, ভালোও করছেন। কিন্তু কেউ নেইমার হয়ে উঠতে পারেননি।
নেইমারের প্রথম প্রেমিকা কারোলিনা দান্তাস.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নাটকীয়তা আর রহস্যে মোড়ানো ফ্রেন সিলাকের জীবন
কারও কারও জীবনের গল্প এমন যে ‘ফিকশনকেও’ হার মানায়। এমন একজন মানুষ হলেন ফ্রেন সিলাক। তাকে বলা হয় ‘লাকিয়েস্ট আনলাকিয়েন্স ম্যান’। কেন এই খেতাব পেলেন ফ্রেন সিলাক?
ফ্রেন একদিকে যেমন একে একে সাত বার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছেন অন্যদিকে লটারি জিতে কোটিপতি হয়েছিলেন। ৪ বার ব্যর্থ বিবাহের আঘাত সহ্য করেছেন। তারপর পঞ্চম বিয়ে করে করে নতুন সংসার করছেন। ক্রোয়েশিয়ার সংগীত শিক্ষক ফ্রানে সেলাকের জীবন কাহিনি এমনই। বিশ্বজুড়ে তিনি পরিচিত তার অবিশ্বাস্য সৌভাগ্যের জন্য।
১৯২৯ সালের ১৪ জুন ক্রোয়েশিয়ায় জন্ম ফ্রেন সিলাকের। ফ্রেন পেশায় একজন সংগীত শিক্ষক ছিলেন। তার জীবন ছিল খুবই সাধারণ। ১৯৬৬ সালে ফ্রেন পড়েছিল বাস দুর্ঘটনায়। তিনি যে বাসে চড়েছিলেন সেই বাসটি নদীতে পড়ে যায়। সেখানে চারজন হতাহতের ঘটনা ঘটলেও ফ্রেন অক্ষত অবস্থায় বেরিয়ে আসেন। এরপরে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত তুলনামূলকভাবে অস্বাভাবিক কিছু বছর কেটে গেছে। সেলাক জানায় যে তার গাড়ির জ্বালানি ট্যাঙ্ক মোটরওয়েতে বিস্ফোরিত হয়েছিল।
৩৩ বছর বয়সে ফ্রেনে একবার বিমানে চড়েছিলেন। সেই বিমান পড়লো দুর্ঘটনার কবলে। কিন্তু ফ্রেন দুর্ঘটনায় পড়া বিমান থেকে সোজা খড়ের গাদার উপর ভূপতিত হন। এবং প্রাণে বেঁচে যান।
একবার তিনি একটি বাসের ধাক্কা থেকেও ফিরে আসেন জীবনে।
এতো এতো ঘটনার পরে সেলাক একদিন এক মিলিয়ন ডলারের (প্রায় ₹৮.৩৬ কোটি) লটারি জেতেন। তবে অবাক করার মতো বিষয় হলো, ফ্রেন প্রায় সব অর্থই পরিবার ও বন্ধুদের মধ্যে বিলিয়ে দেন।
‘রিপ্লেস বিলিভ ইট অর নট’ অনুযায়ী, ২০০০ সালের মাঝামাঝি সেলাক ক্রোয়েশিয়ায় লটারি জেতেন। তিনি সেই টাকায় একটি বিলাসবহুল বাড়ি কেনেন। কিন্তু ২০১০ সালে সেই বাড়ি বিক্রি করে দেন।
বার বার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা ফ্রেন জীবনের শেষ পর্যায়ে আবার অর্থ, বাড়ি সব হারিয়ে সাধারণ জীবন যাপনে ফিরে এসেছেন। কিন্তু তিনি পঞ্চম স্ত্রীর সঙ্গে ভালো আছেন।
ঢাকা/লিপি