জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম সাধারণত হাস্যরসাত্মক চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছেন। এবার ভিন্ন রূপে হাজির হচ্ছেন তিনি। সঞ্জয় সমাদ্দার পরিচালিত মুক্তি প্রতীক্ষিত ‘ইনসাফ’ সিনেমায় তাকে ভয়ংকর ও দানবীয় রূপে দেখা যাবে।

রবিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় প্রকাশিত হয়েছে সিনেমাটির দ্বিতীয় পোস্টার। এতে মোশাররফ করিমের লুক চমকে দিয়েছে ভক্ত-দর্শকদের। প্রকাশিত এ পোস্টারে দেখা যায়, মোশাররফ করিমের চোখে সানগ্লাস, মুখে ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি, পোশাকে লেগে আছে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ, হাতে কুড়াল, ঘাড়ে ঝোলানো স্টেথোস্কোপ— পায়ের নিচে পিষ্ট এক শত্রু। দৃশ্যটাই বলে দিচ্ছে, প্রতিশোধের নেশায় উন্মাত এক চরিত্রে দেখা যাবে তাকে।

পোস্টারের ক্যাপশনে নির্মাতা সঞ্জয় সমাদ্দার লেখেন, “এই ডাক্তার রোগ নয়, পাপ সারায়! রক্তই তার ভাষা, ইনসাফই তার শপথ!”

আরো পড়ুন:

মনিরের মৃত্যু: শাকিবকে রত্নার খোলা চিঠি

ভারতে নিষিদ্ধ পাকিস্তানি অভিনেতার সিনেমা, ক্ষুব্ধ প্রকাশ রাজ

আগেই জানা গেছে, ‘ইনসাফ’ হবে একটি অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার সিনেমা। এবারই প্রথম এমন ধুন্ধুমার অ্যাকশন চরিত্রে বড় পর্দায় দেখা যাবে দেশের অন্যতম শক্তিমান এই অভিনেতাকে।

সিনেমাটিতে নায়ক চরিত্রে অভিনয় করছেন শরীফুল রাজ, যার বিপরীতে নায়িকা হিসেবে থাকছেন তাসনিয়া ফারিণ। এই সিনেমার মাধ্যমেই ঢালিউডে পুরোপুরি বাণিজ্যিক নায়িকা হিসেবে অভিষেক হচ্ছে ফারিণের। ঈদুল আজহায় সিনেমাটি বড় পর্দায় মুক্তির কথা রয়েছে।

গত ২৫ এপ্রিল প্রকাশিত হয় সিনেমাটির ফার্স্ট লুক পোস্টার, যেখানে রক্তাক্ত কুড়াল হাতে শরীফুল রাজকে দেখা যায়, যার ঠোঁটে মুচকি হাসি আর চেহারাজুড়ে রক্তের দাগ। সব মিলিয়ে ‘ইনসাফ’ এখনই দর্শকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র চর ত র ইনস ফ

এছাড়াও পড়ুন:

অ্যাওয়ে ‘অভিষেকে’ নাঈমের ফাইফার

২০১৮ সালে নাঈম হাসানের টেস্ট অভিষেক। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাদা পোশাকে পথচলা শুরু। সাত বছর পর নাঈমের দীর্ঘ এক অপেক্ষা ফুরাল। দেশের বাইরে প্রথম টেস্ট ম্যাচে বোলিংয়ের সুযোগ পেলেন তিনি। একটু ঘুরিয়ে হলেও বলা যায় অ্যাওয়ে ‘অভিষেক’। যেখানে ৫ উইকেট নিয়ে নাঈম নিজেকে প্রমাণ করেছেন।

একটু ঘুরিয়ে কেন সেটা খোলাসার প্রয়োজন। ২০১৯ সালে ইডেনে নাঈমের খেলার সুযোগ হয়েছিল। একাদশে থেকে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করে ১৯ রান করেছিলেন। কিন্তু ২২ গজে হাত ঘোরানো হয়নি। ফিল্ডিংয়ে চোট পাওয়ায় নাঈম ছিটকে যান। ফলে তার অ্যাওয়ে ম্যাচে বোলিংয়ের অভিষেকের অপেক্ষা দীর্ঘ হয়। টেস্ট ক্যাপ পাওয়ার সাত বছর পর দেশের বাইরে প্রথম টেস্ট খেলেই বাজিমাত করলেন। ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফাইফারের স্বাদ পেলেন। ৪৩.২ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১২১ রানে ৫ উইকেট নেন এই অফস্পিনার।

আরো পড়ুন:

শ্রীলঙ্কার কড়া জবাব

ভারতের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের একাদশ ঘোষণা

এর আগে তিনবার ফাইফার পেয়েছেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রামে ৬ উইকেট পেয়েছিলেন যা তার ক্যারিয়ার সেরা। এছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আছে ৫ উইকেট পাওয়ার কীর্তি। সাত বছরের লম্বা ক্যারিয়ারে নাঈম ঘরের মাঠেও খুব বেশি ম্যাচ খেলেননি। এই ম্যাচের আগে তার টেস্টের সংখ্যা ছিল ১২টি। সব মিলিয়ে ১৩ টেস্টে তার উইকেট ৪৪টি।

এই ম্যাচেও তার খেলা হতো কিনা সেটাও বিরাট প্রশ্নের। দেশের মাটিতে বাংলাদেশ দুই ডান হাতি অফস্পিনার খেলানোর চিন্তা করতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। মিরাজ ও নাঈম একই সঙ্গে খেলতে পারেন। দেশের বাইরে সেই পরিকল্পনা থেকে সরে আসে। ব্যাটিংয়ে এগিয়ে থাকায় মিরাজ হয়ে যান অটোমেটিক চয়েজ। ফলে নাঈমকে থাকতে হয় ডাগআউটে। থাকতে হয় সুযোগের অপেক্ষায়। এই টেস্টের আগে হঠাৎ মিরাজের জ্বর আসায় নাঈমের ভাগ্য খুলে যায়। অফস্পিনারের সুযোগ হয় হাত ঘুরানোর। সুযোগটি দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে ফাইফারের স্বাদ পেয়ে গেলেন অ্যাওয়ে অভিষেকেই।

উইকেট ফ্ল্যাট। বল বিরতি দিয়ে ঘুরছে। সমান বাউন্সের উইকেট থেকে বাড়তি টার্ন ও বাউন্স পাওয়ায় নাঈমের বোলিং ছিল ধ্রুপদী। বাংলাদেশ ১০ রানের লিড পেয়েছে। নাঈমের ফাইফারের সুবাদেই মিলেছে এই সাফল্য। এই টেস্টে ফল পেতে হলে দ্বিতীয় ইনিংসেও অভাবনীয় পারফর্ম করতে হবে বোলারদের।

তার সঙ্গে তাইজুল ও মুমিনুল ১টি করে উইকেট পেয়েছেন। হাসান মাহমুদের পকেটে গেছে ৩ উইকেট।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ