সারা দেশের অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহকারী কর্মচারীরা আজ সোমবার বিচার বিভাগের সহকারী কর্মচারীর স্বীকৃতির দাবিতে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের সমমানের বেতন স্কেল চালুর দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।

ঢাকার নিম্ন আদালতের সহকারী কর্মচারীরাও ঢাকার নিম্ন আদালত প্রাঙ্গণে সমাবেশ করেছেন। সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেন তাঁরা।

ঢাকার নিম্ন আদালত প্রাঙ্গণে সমাবেশে সহকারী কর্মচারীরা বলেন, তাঁরা বৈষম্যের শিকার। তাঁরা আদালতে কর্মচারী হিসেবে কাজ করলেও বিচার বিভাগের সহকারী কর্মচারী হিসেবে স্বীকৃতি পাননি। তাঁদের বেতন দেয় সংস্থাপন মন্ত্রণালয়। তাঁদের পদোন্নতির সুযোগও কম।

অন্যান্য সরকারি সংস্থার কর্মচারীদের চেয়ে বেতন ও সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।

বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রেজওয়ান খন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, বহু বছর ধরে অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহকারী কর্মচারীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। তাঁরা সব সময় আদালতেই কাজ করেন। অথচ তাঁরা বিচার বিভাগের সরকারি কর্মচারী নন। অন্যান্য সব সরকারি সংস্থার কর্মচারীদের যথেষ্ট পদোন্নতির সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কর্মচারীদের পদোন্নতির সুযোগ খুবই কম। এ বিষয়ে প্রতিকারের জন্য আগের সরকারের প্রধানমন্ত্রী, অন্তর্বর্তী সরকারের বিচার বিভাগীয় কমিশনের কাছেও দাবি জানিয়েছেন।

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দেন রেজওয়ান খন্দকার।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র সহক র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ ও পাকিস্তান পুলিশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাংলাদেশ ও পাকিস্তান পুলিশ একাডেমির মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বৈঠকে দুই দেশের পুলিশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সক্ষমতা বাড়ানো, অপরাধী হস্তান্তর, সেফ সিটি নির্মাণসহ দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি পাকিস্তান সফর করেছেন। এর মাধ্যমে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে। সিনিয়র সচিব পা‍কিস্তানের অবকাঠামো উন্নয়ন ও সার্বিক ব্যবস্থাপনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বিশেষ করে তাদের “সেফ সিটি” প্রকল্প আমাদের দেশেও বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।’ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি।’

দুই দেশের পুলিশ একাডেমির মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করতে একটি সমঝোতা স্মারক বা চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে বলে উল্লেখ করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, দুই দেশের অপরাধীদের পারস্পরিক বিনিময় বা হস্তান্তরে বর্তমানে কোনো আইনি কাঠামো নেই। ২০০৪ সালে এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেওয়া হলেও পরে তা কার্যকর করা হয়নি। তিনি বলেন, এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য পুনরায় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

হাইকমিশনার এ সময় বাংলাদেশ পুলিশের জন্য সাঁজোয়া নিরাপত্তা যানবাহন, ড্রোন সংগ্রহ ও ক্রয় এবং কৃষি যান্ত্রিকীকরণে পাকিস্তান সহযোগিতা করতে আগ্রহী বলে জানান।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক) খন্দকার মো. মাহবুবুর রহমান, পাকিস্তান দূতাবাসের কাউন্সেলর কামরান দাঙ্গাল উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ