হাঁস নিয়ে ঝগড়ার জেরে বৃদ্ধকে গলা টিপে হত্যা
Published: 6th, May 2025 GMT
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে হাঁস নিয়ে ঝগড়ার জেরে এস এম ফজলুল করিম (৬৯) নামের এক বৃদ্ধকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার মায়ানি ইউনিয়নের মধ্যম মায়ানি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফজলুল করিম মধ্যম মায়ানি গ্রামের মৃত শেখ আহমদের ছেলে।
নিহত ব্যক্তির ভাতিজা মো. মইনুদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, গত রোববার এস এম ফজলুল করিমের একটি হাঁস ধরে নিয়ে আটকে রাখেন একই বাড়ির বাসিন্দা মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ। গতকাল বিকেলে ফজলুল করিমের স্ত্রী ফয়জুল্লাহর ঘরে গিয়ে হাঁসটি নিয়ে আসেন। বিষয়টি নিয়ে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফজলুল করিমের সঙ্গে ফয়জুল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ জাকারিয়া জাহেদের (৩৫) বাগ্বিতণ্ডা হয়। এর এক পর্যায়ে জাকারিয়া ফজলুল করিমের গলা টিপে ধরেন। মো.
এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মোহাম্মদ জাকারিয়া জাহেদ পলাতক। তাই তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ফারজানা ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এস এম ফজলুল করিম নামের এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর শরীরের কোথাও আঘাতের কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। নিহত ফজলুল করিমের স্বজনেরা দাবি করছেন, এক যুবক ওই ব্যক্তিকে গলা টিপে হত্যা করেছেন।
জানতে চাইলে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, হাঁস নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে এস এম ফজলুল করিমকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবককে আটকের জন্য পুলিশের অভিযান চলমান।
ওসি আরও বলেন, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ছেলে বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম রসর ই
এছাড়াও পড়ুন:
‘মুজিবীয় শুভেচ্ছা’ জানানোয় ছাত্রদল নেতাকে শোকজ
গাজীপুরে বিএনপির দলীয় পথসভায় বক্তব্য দেওয়ার পুরোনো এক ভিডিও সামনে আসার পর শ্রীপুর উপজেলার প্রহলাদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি নাহিদ হাসানকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক সরকার মো. রাকিব হোসেন স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়, শ্রীপুর উপজেলার প্রহলাদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের দায়িত্বশীল পদে থেকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. সোহাগ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল জনির উপস্থিতিতে জেলা কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।
শনিবার শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জিয়াউল করিম মোড়ল রিফাত গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র জানিয়েছে, শ্রীপুরের প্রহলাদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হয়েছিল ২০২৩ সালের ২৭ মার্চ। ওই কমিটিতে নাহিদ হোসেনকে সভাপতি করা হয়।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের ভাষ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি তারও চার-পাঁচ মাস আগের।
সাত সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. এসএম রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে বক্তব্য রাখছেন নাহিদ হোসেন। তিনি বক্তব্যের একপর্যায়ে সবার উদ্দেশে বলেন, ‘আমি প্রহলাদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে মুজিবীয় শুভেচ্ছা জানাই।’ সে সময় রফিকুল ইসলাম তার কাছ থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেন।
গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল জনি বলেন, ‘এক সময় যখন ছাত্রদলের কোনো নেতাকর্মীকে আন্দোলনে পাওয়া যেত না, তখন নাহিদ হোসেন আমাদের পাশে থেকে রাজনীতি করেছেন।’
এ বিষয়ে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ হাসানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।