চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে হাঁস নিয়ে ঝগড়ার জেরে এস এম ফজলুল করিম (৬৯) নামের এক বৃদ্ধকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার মায়ানি ইউনিয়নের মধ্যম মায়ানি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফজলুল করিম মধ্যম মায়ানি গ্রামের মৃত শেখ আহমদের ছেলে।

নিহত ব্যক্তির ভাতিজা মো. মইনুদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, গত রোববার এস এম ফজলুল করিমের একটি হাঁস ধরে নিয়ে আটকে রাখেন একই বাড়ির বাসিন্দা মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ। গতকাল বিকেলে ফজলুল করিমের স্ত্রী ফয়জুল্লাহর ঘরে গিয়ে হাঁসটি নিয়ে আসেন। বিষয়টি নিয়ে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফজলুল করিমের সঙ্গে ফয়জুল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ জাকারিয়া জাহেদের (৩৫) বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এর এক পর্যায়ে জাকারিয়া ফজলুল করিমের গলা টিপে ধরেন। মো.

মইনুদ্দিন আরও বলেন, গলা টিপে ধরায় ফজলুল করিম অচেতন হয়ে পড়লে স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেছেন।

এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মোহাম্মদ জাকারিয়া জাহেদ পলাতক। তাই তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ফারজানা ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এস এম ফজলুল করিম নামের এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর শরীরের কোথাও আঘাতের কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। নিহত ফজলুল করিমের স্বজনেরা দাবি করছেন, এক যুবক ওই ব্যক্তিকে গলা টিপে হত্যা করেছেন।

জানতে চাইলে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, হাঁস নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে এস এম ফজলুল করিমকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবককে আটকের জন্য পুলিশের অভিযান চলমান।

ওসি আরও বলেন, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ছেলে বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম রসর ই

এছাড়াও পড়ুন:

পুকুরে ডুবে মৃত্যু কুয়েট শিক্ষার্থীর

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) পুকুরে গোসল করতে নেমে শান্তনু কর্মকার নামে এক শিক্ষার্থী পানিতে ডুবে মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ক্যাম্পাসের খানজাহান আলী হলসংলগ্ন পুকুরে এ ঘটনা ঘটে।

শান্তনু বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ঢাকার রাজার দেউরি এলাকার সুকুমার চন্দ্র কর্মকারের ছেলে।

শিক্ষার্থীরা জানান, বন্ধুদের সঙ্গে পুকুরে গোসল করতে নামার পর নিখোঁজ হন শান্তনু। শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল গিয়ে তাঁর নিথর দেহ উদ্ধার করে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আবুল বাসার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, শান্তনুকে উদ্ধারের পর কুয়েটের মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়। সেখান থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ বর্তমানে হাসপাতালে রয়েছে।

এ দিকে শান্তনু’র মৃত্যুর খবরে সহপাঠীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা খুলনার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ