Prothomalo:
2025-05-09@17:36:50 GMT

হজ ও বদলি হজের বিধিবিধান

Published: 9th, May 2025 GMT

ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি হজ। আর্থিক ও শারীরিকভাবে সমর্থ পুরুষ ও নারীর ওপর হজ ফরজ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর তরফ থেকে সেসব মানুষের জন্য হজ ফরজ করা হয়েছে, যারা তা আদায়ের সামর্থ্য রাখে।’ (সুরা-৩ আলে ইমরান; আয়াত: ৯৭)

হজের আভিধানিক অর্থ ইচ্ছা করা ও সফর বা ভ্রমণ করা। পরিভাষায় হজ হলো নির্দিষ্ট সময়ে নির্ধারিত স্থানে বিশেষ কিছু কর্ম সম্পাদন করা। হজের নির্দিষ্ট সময় হলো বিশেষভাবে ৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত পাঁচ দিন। হজের নির্ধারিত স্থান হলো মক্কা শরিফে খানায়ে কাবা, সাফা-মারওয়া, মিনা, আরাফা, মুজদালিফা ইত্যাদি এবং মদিনা শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.

)–এর রওজা শরিফ জিয়ারত করা। হজের বিশেষ আমল বা কাজ হলো ইহরাম, তাওয়াফ ও সাঈ, অকুফে আরাফা, অকুফে মুজদালিফা, অকুফে মিনা, দম বা কোরবানি, হলক ও কসর এবং জিয়ারতে মদিনা রওজাতুন নবী (সা.) ইত্যাদি।

মহানবী (সা.) বলেন, প্রকৃত হজের পুরস্কার জান্নাত ব্যতীত অন্য কিছুই নয়। সৎ উদ্দেশ্যে যাঁরা হজ পালন করবেন, আল্লাহ তাআলা তাঁদের হজ কবুল করবেন এবং তাঁদের জন্য অফুরন্ত রহমত ও বরকত দান করেন। ‘হজ মানুষকে নিষ্পাপে পরিণত করে, যেভাবে লোহার ওপর থেকে মরিচা দূর করা হয়।’ (তিরমিজি)। ‘যে ব্যক্তি যথাযথভাবে হজ পালন করে, সে আগেকার পাপ থেকে এমনভাবে নিষ্পাপ হয়ে যায়, যেরূপ সে মাতৃগর্ভ হতে ভূমিষ্ঠ হওয়ার দিন ছিল।’ (বুখারি)

হজ সম্পাদনে শারীরিকভাবে অক্ষম হলে অন্য কাউকে দিয়ে বদলি হজ করানো যায়। বদলি হজ যিনি সম্পাদন করেন, যিনি অর্থায়ন করেন এবং যাঁর জন্য হজ করা হয়, সবাই পূর্ণ হজের সওয়াব পাবেন। যাঁরা সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও হজ আদায় করতে পারেননি, তাঁদের কর্তব্য হলো বদলি হজ করানো বা বদলি হজের জন্য অসিয়ত করে যাওয়া

জীবনে একবার হজ করা ফরজ। সামর্থ্যবানদের জন্য প্রতি পাঁচ বছর অন্তর হজ করা সুন্নত। সুযোগ থাকলে বারবার বা প্রতিবছর হজ করাতে বাধা নেই। যেকোনো কারও অর্থ দ্বারা হজ সম্পাদন করা যাবে। হাদিয়া বা অনুদানের টাকা দিয়েও হজ করলে তা আদায় হবে। চাকরি বা কোনো প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল হিসেবে কর্তব্য কাজের সুবাদে হজ করলেও হজ আদায় হবে। এটি বদলি হজ না হলে নিজের ফরজ হজ আদায় হবে; ফরজ হজ আগে আদায় করে থাকলে এটি নফল হবে। নফল হজ অন্য কারও বদলি হজের নিয়তে আদায় করলে তা–ও হবে। (ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী)

হজ সম্পাদনে শারীরিকভাবে অক্ষম হলে অন্য কাউকে দিয়ে বদলি হজ করানো যায়। বদলি হজ যিনি সম্পাদন করেন, যিনি অর্থায়ন করেন এবং যাঁর জন্য হজ করা হয়, সবাই পূর্ণ হজের সওয়াব পাবেন। যাঁরা সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও হজ আদায় করতে পারেননি, তাঁদের কর্তব্য হলো বদলি হজ করানো বা বদলি হজের জন্য অসিয়ত করে যাওয়া। অসিয়তকৃত বদলি হজ অসিয়তকারীর সম্পদ বণ্টনের আগে প্রতিপালন করা বা সম্পাদন করানো ওয়ারিশদের জন্য ওয়াজিব।

অসিয়ত না করে গেলেও সব ওয়ারিশ সম্মিলিতভাবে বা কোনো ওয়ারিশ নিজ উদ্যোগে বা ব্যক্তিগতভাবে তা আদায় করতে বা করাতে পারবেন। এতেও মৃত ব্যক্তি দায়মুক্ত হবেন এবং বদলি হজ করনেওয়ালা ও করানেওয়ালা উভয়ে সওয়াবের অধিকারী হবেন। জীবিত বা মৃত যেকোনো কারও বদলি হজ করানো যায়। আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুবান্ধব অথবা পরিচিত, অপরিচিত যেকোনো কেউ যেকোনো কারও বদলি হজ করতে বা করাতে পারেন। বদলি হজ আদায় করতে বা করাতে যার জন্য বদলি হজ করা হবে বা করানো হবে, তার অনুমতি বা অবগতি প্রয়োজন নেই, তবে সম্ভব হলে তা উত্তম।

আগে হজ আদায় করা বদলি হজ সম্পাদনের জন্য শর্ত নয়; বরং নতুনদের দ্বারা বদলি হজ করালে তাঁর নিষ্ঠা, আন্তরিকতা, আবেগ ও অনুরাগ বেশি থাকে। তবে যাঁর নিজের হজ ফরজ হয়ে অনাদায়ি রয়েছে, তাঁকে দিয়ে বদলি হজ করানো যাবে না। বদলি হজ আত্মীয়–অনাত্মীয়, নারী–পুরুষ যেকোনো কেউ করতে পারেন, তবে বিজ্ঞ পরহেজগার লোক হওয়া শ্রেয়।

মুফতি মাওলানা শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী

যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি; সহকারী অধ্যাপক, আহ্ছানিয়া ইনস্টিটিউট অব সুফিজম

[email protected]

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন য ক ন কর ন র জন য ও বদল

এছাড়াও পড়ুন:

মঞ্চে আসছে ‘সুড়ঙ্গ’

কথাসাহিত্যিক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর নাটক `সুড়ঙ্গ' মঞ্চে আনছে নাট্যদল এথিক। নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন মিন্টু সরদার। ২৩ মে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ বাংলাদেশ মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চস্থ করা হবে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এথিক জানিয়েছে, গুপ্তধন কি সব সময় সবার ভাগ্যে জোটে? গুপ্তধন নিয়ে এক ষোড়শী কন্যার কৌতূহলী ভাবনার জগৎকে তুলে ধরা হয়েছে নাটকে। নাটকের কাহিনি আবর্তিত হয়েছে ষোড়শী কন্যা রাবেয়াকে ঘিরে। দিন দুয়েক পর রাবেয়ার বিয়ে, হুট করে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। রীতিমতো শয্যাগত। ডাক্তার-হেকিম কোনোভাবেই রোগ ধরতে পারে না। ঘটনাটি নাটকীয়তায় মোড় নেয়।

নাটকটির সহযোগী নির্দেশক মনি কাঞ্চন, প্রযোজনা অধিকর্তা রেজানুর রহমান। এথিকের চতুর্দশ প্রযোজনা এটি।

আরও পড়ুনজীবনানন্দ দাশকে নিয়ে ‘কমলা রঙের বোধ’২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাহফুজ আফনান, প্রদীপ কুমার, মনি কাঞ্চন, সুকর্ণ হাসান, আজিম উদ্দিন, রেজিনা রুনি, নাহিদ মুন্না, ঊর্মি আহমেদ, দীপান্বিতা রায়, রুবেল খানসহ আরও অনেকে।

মঞ্চ পরিকল্পনা করেছেন সাইফুল ইসলাম, আলোক পরিকল্পক ঠাণ্ডু রায়হান, আবহ সংগীত করেছেন শিশির রহমান, পোশাক ও রূপসজ্জায় শুভাশীষ দত্ত, কোরিওগ্রাফি করেছেন এম আর ওয়াসেক এবং নাটকের প্রচ্ছদ করেছেন চারু পিন্টু।

সম্পর্কিত নিবন্ধ