ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে লাইনচ্যুত হওয়া কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের কোচ উদ্ধার করা হয়েছে। এতে আপ লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। তবে ডাউন লাইন দিয়ে এখনো বন্ধ রয়েছে।

আজ শনিবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে লাইনচ্যুত কোচটি উদ্ধার করে রিলিফ ট্রেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন মাস্টার মো.

জসিম উদ্দিন।

গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, সকাল ৬টায় কক্সবাজার এক্সপ্রেসটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে আউটার লাইনচ্যুত হয়। তবে গতরাতে দুর্ঘটনাকবলিত মালবাহী কন্টেইনার ট্রেনটি উদ্ধারের জন্য আনা রিলিফ ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে অবস্থান করায় তাৎক্ষণিক উদ্ধারের কাজ শুরু করা হয়েছিল। এতে এক ঘণ্টার মধ্যে কক্সবাজার এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত বগিটি উদ্ধার হয়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ট র ন ল ইনচ য ত ব র হ মণব ড় য় ব র হ মণব ড ল ইনচ য ত

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের অপারেশন সিঁদুরের বিপরীতে পাকিস্তানের ‘বুনিয়ান-উল-মারসুস’

ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ সেনা অভিযানের পাল্টা জবাব দিতে ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’ শুরু করেছে পাকিস্তান। এ অভিযানের আওতায় ইতোমধ্যে শুক্রবার রাতে ভারতের ১১টি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনী। সূত্র : জিও নিউজ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, সামরিক অভিযানটির নাম ‘অপারেশন বুনইয়ান–উন–মারসুস’ রাখা হয়েছে। আরবি ভাষার এ শব্দগুচ্ছের অর্থ ‘সুদৃঢ় প্রাচীর’।

এই স্থাপনাগুলোর মধ্যে পাঠানকোট বিমান ঘাঁটি, উধামপুর বিমান ঘাঁটি, গুজরাট বিমান ঘাঁটি, রাজস্থান বিমান ঘাঁটি এবং ভারতের সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্রাহ্মো‌সের একটি মজুতস্থান উল্লেখযোগ্য।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জিও নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পাল্টা এ হামলায় ফাতাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। দেশটির নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ ১২০ কিলোমিটার।

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতের হামলায় ভারতের জম্মু-কাশ্মিরের বারামুলা জেলার উরি শহরে ভারতীয় সেনবাহিনীর একটি ব্রিগেডের হেডকোয়ার্টার এবং সরবরাহ বা রসদ ডিপো, নাগরোটা শহরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি আর্টিলারি ব্যাটারি ধ্বংস হয়েছে।

এছাড়া ভারতের পাঞ্জাবের আদমপুর বিমান ঘাঁটিতে মোতায়েন করা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ সিস্টেমও ক্ষেপণাস্ত্র চালিয়ে ধ্বংস করেছে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী। এই হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে পাকিস্তানের বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান জেএফ-১৭। শুক্রবারের হামলায় এটিকে সবচেয়ে বড় সাফল্য বলে উল্লেখ করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওই কর্মকর্তা।

গত ২২ এপ্রিল ভারত শাসিত জম্মু কাশ্মীরের পেহেলগামে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। শুরু থেকে এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপায় ভারত। এর মধ্যে হামলার সঙ্গে জড়িত দুইজন সন্ত্রাসীর পাকিস্তানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতাও পাওয়া যায়। যদিও ভারতের এ অভিযোগ অস্বীকারে করে আসছে পাকিস্তান। ওই ঘটনার জেরে পাল্টাপাল্টি বিভিন্ন পদক্ষেপও নিয়েছে দেশ দুটি। এমন উত্তেজনার মধ্যে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তান ও দেশটির নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে হামলা চালায় ভারত। শুক্রবার রাত থেকে ভারতের হামলার জবাবে পাকিস্তান 'অপারেশন বানিয়ান মারসুস’ শুরু করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ