ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা যে গানটি কখনো গাননি
Published: 14th, May 2025 GMT
কখনো ‘কিলিং মি সফটলি’ গানটি শুনে মরে যেতে ইচ্ছে হয়েছে কি? পুরো বেদনাকে কবর দিয়ে সোজা হাত-পা টেনে শুয়ে পড়ার মতো পরিস্থিতি নিশ্চয়ই তৈরি হয় কারও না কারও। আর উগরে ওঠা সেসব বেদনা যদি মিশে একাকার হয়ে যায় কোনো বেদনাতুর কণ্ঠের সঙ্গে—তখন মৃত্যুমাখা কথাও হয়তো দিয়ে যেতে পারে বেঁচে থাকার প্রেরণা।
যুক্তরাষ্ট্রের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে একটি গানের পেছনে অনেক গল্প থাকে। থাকে অনেক ইতিহাস। সহজে নেটে পাওয়া যায় বলে ওসব সংগীতপ্রেমীকে বেশ আনন্দ দেয়। ‘কিলিং মি সফটলি’র কথাই ধরুন। অনেকে মনে করেন গানটি ফ্রাঙ্ক সিনাত্রার গাওয়া। ইউটিউবে এই গানের নাম লিখে সার্চ দিলে শুরুতেই আসবে সিনাত্রার সাদাকালো ছবি দিয়ে আপলোড দেওয়া গানটি। নেটে অবশ্য ভুল-সঠিক বের করা কঠিন। সিনাত্রা বেঁচে থাকলে হয়তো নিজেই উদ্যোগ নিতেন পেরি কোমোর কাভার করা এই গানটি থেকে নিজের নামটি সরিয়ে নিতে। আদতে ‘কিলিং মি সফটলি’র সঙ্গে তেমন কোনো সম্পর্কই নেই সিনাত্রার। তাই বলে এই নয় যে, তিনি সংগীতের নগণ্য কেউ। সিনাত্রা যুক্তরাষ্ট্রের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির আইকনিক চরিত্র, আবেগময় কণ্ঠের জাদুতে মানুষের হৃদয় আর্দ্র করে গেছেন আমৃত্যু। জ্যাজ মিউজিককে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।
‘কিলিং মি সফটলি’ সিনাত্রার নামে চালিয়ে দেওয়া নিঃসন্দেহ তাঁকে অপমান করারই শামিল। তবে এই অপবাদ তাঁর গায়ে লাগলে তো! নিজেই যে কালজয়ী অসংখ্য গান উপহার দিয়ে দিয়ে গেছেন সিনাত্রা! আজ বিংশ শতাব্দীর অন্যতম জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পীর জন্মদিন। ১৯৯৮ সালের ১৪ মে ৮২ বছর বয়সে ক্যালিফোর্নিয়ায় মৃত্যুবরণ করেছিলেন তিনি। সিনাত্রা শুধু সংগীতেই থাকেননি, গেছেন অভিনয়েও।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচের পর সমর্থকদের কাছে বারবার জানতে চেয়েছিলেন, ‘ডিড আই এন্টারটেইন’? সমর্থকেরা তাঁকে নিরাশ করেনি। মাঠ আর টিভি পর্দার সব দর্শক এক শব্দেই উত্তর দিয়েছিল, ‘হ্যাঁ।’
সিনাত্রাও ছিলেন বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠতম বিনোদনদাতা। আদতে গান, কবিতা, চলচ্চিত্র, পেইন্টিং, খেলাধুলা—বিনোদন ছাড়া আর কী দিতে পারে? আর দিতে পারে মানুষের কাছে যাওয়ার সুযোগ। যে মানুষ দেখলে প্রকৃত সারসেরা উড়ে যায় না। সিনাত্রাকেও সেভাবে কাছে টেনে নিয়েছিল মানুষ। ষাটের দশকে এলভিস প্রিসলির আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও সিনাত্রাকে আপন করে নিয়েছিলেন সংগীতপ্রেমীরা। একদিকে রক অ্যান্ড রোল দিয়ে স্টেজ মাতানো প্রিসলি, আরেক দিকে সিনাত্রার দরদমাখা জ্যাজ—পঞ্চাশ থেকে সত্তরের দশক পর্যন্ত এই তো ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সংগীতজগতের চিত্র। বয়সের ব্যবধান আর ইন্ডাস্ট্রির অনেক রাজনীতি-গুজব মাড়িয়ে দুজনে অবশ্য বন্ধুই হয়ে উঠেছিলেন। বন্ধুত্ব হয়েছিল কি?
সিনাত্রার কণ্ঠের জাদুতে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক পুরোনো গান বিশেষ পরিচিতি পেয়েছে বটে, তবে তাঁর নামে ‘কিলিং মি সফটলি’ গাওয়ার যে ভুল তথ্যটি সামনে আসে, তার উৎসের জন্য আমাদের ফিরে যেতে হবে ১৯৭১ সালে। নরম্যান গিম্বেলের লেখা লিরিক থেকে গানটি প্রথম কম্পোজ করেন চার্লস ফক্স। লিরিকে সহায়তা করেন লোরি লিবারম্যান। পরের বছর এই গানের নিজ ভার্সন বের করেন তিনি। এরপর আরও কতজনে যে গেয়েছেন! তবে চার্টে ঠাঁই পায়নি।
সেই গান যখন রবের্তা ফ্ল্যাকের মুখে বাজল—শীর্ষে উঠে এল যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার চার্টে। সাল তখন ১৯৭৩। এই সিঙ্গেল হিটটি তাঁকে রাতারাতি জনপ্রিয়তা এনে দেয়। ফ্ল্যাক অবশ্য গেয়েছেন একটু দ্রুতলয়ে। সেখানে ‘কিলিং মি সফটলি’ আর নরম থাকেনি। তবে পেরির যে ভার্সন সিনাত্রার নামে বেশি পরিচিত, সেটি খুবই নরম, ধীরে ধীরে বুকে ছুরি ঢুকিয়ে দেওয়ার মতো। এ ভার্সনের শুরু এভাবে—লম্বা এক মিউজিক্যাল ইন্ট্রোর পর অনেকটা নিচু থেকে গাওয়া হয়, আই হার্ড শি স্যাং আ গুড সং…।’ আর ফ্ল্যাক একেবারে শুরুতেই ঢুকে যান কথায়। শুরুটা এমন, ‘স্ট্রামিং মাই পেইন উইথ হার ফিঙ্গার্স…।’ সেই সঙ্গে আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ‘পারসন’-এর পরিবর্তন। মেয়ে বলেই ফ্ল্যাক গাইছেন, ‘কিলিং মি সফটলি উইথ হিজ সং।’ তাঁর আহ্বান সরাসরি। আর পেরি বলছেন, ‘কিলিং মি সফটলি উইথ হির সং।’ তাঁর বলার মধ্যে আছে আকুতি ও অনুরোধ।
এত বছর ধরে সিনাত্রার নামে চলে এলেও এই কণ্ঠ তাঁর নয়। তাঁর কণ্ঠে ‘ফ্লাই মি টু দ্য মুন’ বা ‘স্ট্রেঞ্জার্স ইন দ্য নাইট’-সহ আরও যেসব পরিচিত গান আমরা শুনি, সেটি হোক কাভার বা অরিজিনাল—একটু খেয়াল করলেই বোঝা যাবে, সিনাত্রার কণ্ঠ একটু উঁচু। জ্যাজের জন্য যাকে বলে পারফেক্ট ভয়েস। তবে তাঁর নামে জনপ্রিয়তা পাওয়া ‘কিলিং মি সফটলি’ মূলত নিচু কণ্ঠের। জ্যাজ নয়, বলা যায় সফট রক। তাহলে কেন এমন জনপ্রিয় একটি গান সিনাত্রার নামে আপলোড দিয়ে বিভ্রম তৈরি করা হলো? সেটি অবশ্য রহস্যই বটে। হয়তো বেশি ভিউ পাওয়ার আশায়। এই গানের সঙ্গে কি সিনাত্রার আদৌ কোনো যোগসূত্র আছে?
সিনাত্রার ‘সফটলি, অ্যাজ আই উইল লিভ ইউ’ গানের একটি ভার্সন আছে। নামের সঙ্গে অনেকটা মিল থাকার কারণেই কি সিনাত্রার নাম দিয়ে ‘কিলিং মি সফটলি’ আপলোড দিয়েছেন কোনো ইউটিউবার? অজ্ঞানতবশত নাকি জেনেশুনে এই কর্মটি সারা হলো সেটি হয়তো অজানায় থেকে যাবে। সিনাত্রার পাশাপাশি ‘সফটলি, অ্যাজ আই উইল লিভ ইউ’ গানটির আলাদা আলাদা ভার্সন আছে প্রিসলির ও ম্যাট মুনরোর। তিনজনের গাওয়া একেবারেই ভিন্ন। সুর অপরিবর্তিত রাখলেও যাঁর যাঁর গাওয়ার ঢং থেকে একচুলও সরেননি। গানটিকে সিনাত্রা ঠিকই জ্যাজ জনরায় আর প্রিসলি গেয়েছেন রক অ্যান্ড রোলের মতো করে।
বড় শিল্পীদের গুণ হলো, তাঁরা অনেক কিছু থেকে নিলেও সেটিকে নিজের মতো করে সাজিয়ে তোলেন। এই গানটিই যেন তার প্রমাণ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জনপ র য় এই গ ন অবশ য
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা যে গানটি কখনো গাননি
কখনো ‘কিলিং মি সফটলি’ গানটি শুনে মরে যেতে ইচ্ছে হয়েছে কি? পুরো বেদনাকে কবর দিয়ে সোজা হাত-পা টেনে শুয়ে পড়ার মতো পরিস্থিতি নিশ্চয়ই তৈরি হয় কারও না কারও। আর উগরে ওঠা সেসব বেদনা যদি মিশে একাকার হয়ে যায় কোনো বেদনাতুর কণ্ঠের সঙ্গে—তখন মৃত্যুমাখা কথাও হয়তো দিয়ে যেতে পারে বেঁচে থাকার প্রেরণা।
যুক্তরাষ্ট্রের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে একটি গানের পেছনে অনেক গল্প থাকে। থাকে অনেক ইতিহাস। সহজে নেটে পাওয়া যায় বলে ওসব সংগীতপ্রেমীকে বেশ আনন্দ দেয়। ‘কিলিং মি সফটলি’র কথাই ধরুন। অনেকে মনে করেন গানটি ফ্রাঙ্ক সিনাত্রার গাওয়া। ইউটিউবে এই গানের নাম লিখে সার্চ দিলে শুরুতেই আসবে সিনাত্রার সাদাকালো ছবি দিয়ে আপলোড দেওয়া গানটি। নেটে অবশ্য ভুল-সঠিক বের করা কঠিন। সিনাত্রা বেঁচে থাকলে হয়তো নিজেই উদ্যোগ নিতেন পেরি কোমোর কাভার করা এই গানটি থেকে নিজের নামটি সরিয়ে নিতে। আদতে ‘কিলিং মি সফটলি’র সঙ্গে তেমন কোনো সম্পর্কই নেই সিনাত্রার। তাই বলে এই নয় যে, তিনি সংগীতের নগণ্য কেউ। সিনাত্রা যুক্তরাষ্ট্রের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির আইকনিক চরিত্র, আবেগময় কণ্ঠের জাদুতে মানুষের হৃদয় আর্দ্র করে গেছেন আমৃত্যু। জ্যাজ মিউজিককে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।
‘কিলিং মি সফটলি’ সিনাত্রার নামে চালিয়ে দেওয়া নিঃসন্দেহ তাঁকে অপমান করারই শামিল। তবে এই অপবাদ তাঁর গায়ে লাগলে তো! নিজেই যে কালজয়ী অসংখ্য গান উপহার দিয়ে দিয়ে গেছেন সিনাত্রা! আজ বিংশ শতাব্দীর অন্যতম জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পীর জন্মদিন। ১৯৯৮ সালের ১৪ মে ৮২ বছর বয়সে ক্যালিফোর্নিয়ায় মৃত্যুবরণ করেছিলেন তিনি। সিনাত্রা শুধু সংগীতেই থাকেননি, গেছেন অভিনয়েও।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচের পর সমর্থকদের কাছে বারবার জানতে চেয়েছিলেন, ‘ডিড আই এন্টারটেইন’? সমর্থকেরা তাঁকে নিরাশ করেনি। মাঠ আর টিভি পর্দার সব দর্শক এক শব্দেই উত্তর দিয়েছিল, ‘হ্যাঁ।’
সিনাত্রাও ছিলেন বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠতম বিনোদনদাতা। আদতে গান, কবিতা, চলচ্চিত্র, পেইন্টিং, খেলাধুলা—বিনোদন ছাড়া আর কী দিতে পারে? আর দিতে পারে মানুষের কাছে যাওয়ার সুযোগ। যে মানুষ দেখলে প্রকৃত সারসেরা উড়ে যায় না। সিনাত্রাকেও সেভাবে কাছে টেনে নিয়েছিল মানুষ। ষাটের দশকে এলভিস প্রিসলির আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও সিনাত্রাকে আপন করে নিয়েছিলেন সংগীতপ্রেমীরা। একদিকে রক অ্যান্ড রোল দিয়ে স্টেজ মাতানো প্রিসলি, আরেক দিকে সিনাত্রার দরদমাখা জ্যাজ—পঞ্চাশ থেকে সত্তরের দশক পর্যন্ত এই তো ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সংগীতজগতের চিত্র। বয়সের ব্যবধান আর ইন্ডাস্ট্রির অনেক রাজনীতি-গুজব মাড়িয়ে দুজনে অবশ্য বন্ধুই হয়ে উঠেছিলেন। বন্ধুত্ব হয়েছিল কি?
সিনাত্রার কণ্ঠের জাদুতে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক পুরোনো গান বিশেষ পরিচিতি পেয়েছে বটে, তবে তাঁর নামে ‘কিলিং মি সফটলি’ গাওয়ার যে ভুল তথ্যটি সামনে আসে, তার উৎসের জন্য আমাদের ফিরে যেতে হবে ১৯৭১ সালে। নরম্যান গিম্বেলের লেখা লিরিক থেকে গানটি প্রথম কম্পোজ করেন চার্লস ফক্স। লিরিকে সহায়তা করেন লোরি লিবারম্যান। পরের বছর এই গানের নিজ ভার্সন বের করেন তিনি। এরপর আরও কতজনে যে গেয়েছেন! তবে চার্টে ঠাঁই পায়নি।
সেই গান যখন রবের্তা ফ্ল্যাকের মুখে বাজল—শীর্ষে উঠে এল যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার চার্টে। সাল তখন ১৯৭৩। এই সিঙ্গেল হিটটি তাঁকে রাতারাতি জনপ্রিয়তা এনে দেয়। ফ্ল্যাক অবশ্য গেয়েছেন একটু দ্রুতলয়ে। সেখানে ‘কিলিং মি সফটলি’ আর নরম থাকেনি। তবে পেরির যে ভার্সন সিনাত্রার নামে বেশি পরিচিত, সেটি খুবই নরম, ধীরে ধীরে বুকে ছুরি ঢুকিয়ে দেওয়ার মতো। এ ভার্সনের শুরু এভাবে—লম্বা এক মিউজিক্যাল ইন্ট্রোর পর অনেকটা নিচু থেকে গাওয়া হয়, আই হার্ড শি স্যাং আ গুড সং…।’ আর ফ্ল্যাক একেবারে শুরুতেই ঢুকে যান কথায়। শুরুটা এমন, ‘স্ট্রামিং মাই পেইন উইথ হার ফিঙ্গার্স…।’ সেই সঙ্গে আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ‘পারসন’-এর পরিবর্তন। মেয়ে বলেই ফ্ল্যাক গাইছেন, ‘কিলিং মি সফটলি উইথ হিজ সং।’ তাঁর আহ্বান সরাসরি। আর পেরি বলছেন, ‘কিলিং মি সফটলি উইথ হির সং।’ তাঁর বলার মধ্যে আছে আকুতি ও অনুরোধ।
এত বছর ধরে সিনাত্রার নামে চলে এলেও এই কণ্ঠ তাঁর নয়। তাঁর কণ্ঠে ‘ফ্লাই মি টু দ্য মুন’ বা ‘স্ট্রেঞ্জার্স ইন দ্য নাইট’-সহ আরও যেসব পরিচিত গান আমরা শুনি, সেটি হোক কাভার বা অরিজিনাল—একটু খেয়াল করলেই বোঝা যাবে, সিনাত্রার কণ্ঠ একটু উঁচু। জ্যাজের জন্য যাকে বলে পারফেক্ট ভয়েস। তবে তাঁর নামে জনপ্রিয়তা পাওয়া ‘কিলিং মি সফটলি’ মূলত নিচু কণ্ঠের। জ্যাজ নয়, বলা যায় সফট রক। তাহলে কেন এমন জনপ্রিয় একটি গান সিনাত্রার নামে আপলোড দিয়ে বিভ্রম তৈরি করা হলো? সেটি অবশ্য রহস্যই বটে। হয়তো বেশি ভিউ পাওয়ার আশায়। এই গানের সঙ্গে কি সিনাত্রার আদৌ কোনো যোগসূত্র আছে?
সিনাত্রার ‘সফটলি, অ্যাজ আই উইল লিভ ইউ’ গানের একটি ভার্সন আছে। নামের সঙ্গে অনেকটা মিল থাকার কারণেই কি সিনাত্রার নাম দিয়ে ‘কিলিং মি সফটলি’ আপলোড দিয়েছেন কোনো ইউটিউবার? অজ্ঞানতবশত নাকি জেনেশুনে এই কর্মটি সারা হলো সেটি হয়তো অজানায় থেকে যাবে। সিনাত্রার পাশাপাশি ‘সফটলি, অ্যাজ আই উইল লিভ ইউ’ গানটির আলাদা আলাদা ভার্সন আছে প্রিসলির ও ম্যাট মুনরোর। তিনজনের গাওয়া একেবারেই ভিন্ন। সুর অপরিবর্তিত রাখলেও যাঁর যাঁর গাওয়ার ঢং থেকে একচুলও সরেননি। গানটিকে সিনাত্রা ঠিকই জ্যাজ জনরায় আর প্রিসলি গেয়েছেন রক অ্যান্ড রোলের মতো করে।
বড় শিল্পীদের গুণ হলো, তাঁরা অনেক কিছু থেকে নিলেও সেটিকে নিজের মতো করে সাজিয়ে তোলেন। এই গানটিই যেন তার প্রমাণ।