পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা কার্যালয় ভাঙচুর ও নেতাকর্মীদের মারধরের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। 

শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে আটঘরিয়ার দেবোত্তর বাজারে বিএনপি কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে দলটির উপজেলা সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন আলম বক্তব্য রাখেন। 

আরো পড়ুন: পাবনায় জামায়াতের অফিসে আগুন, পোড়া কোরআন নিয়ে বিক্ষোভ

আরো পড়ুন:

নজরুল ইসলাম খানের প্রশ্ন
কোন যুক্তিতে ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন হওয়া উচিত?

পাবনায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, ২৩ মোটরসাইকেল ভাঙচুর

মনোয়ার হোসেন আলম অভিযোগ করে জানান, বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেলে জামায়াত-শিবির তাদের অফিসে হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদের কুপিয়ে ও মারধর করে আহত করে। তারা বিএনপির অফিস ও শতাধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি করেছে।

তিনি অভিযোগ করে জানান, জামায়াত-শিবির নিজেরাই পবিত্র কোরআন শরীফে আগুন দিয়ে বিএনপির ওপর দোষ চাপাচ্ছে। অবিলম্বে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।

আরো পড়ুন: পাবনায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, ২৩ মোটরসাইকেল ভাঙচুর 

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আতাউর রহমান রানা, যুগ্ম-আহ্বায়ক আছিম উদ্দিন, পৌর বিএনপি সভাপতি আজহার উদ্দিনসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

সংবাদ সম্মেলন শেষে বিএনপি নেতারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি দেবোত্তর বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

আটঘরিয়ার দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজের অভিবাবক প্রতিনিধি নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র তোলাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) আটঘরিয়া উপজেলা বিএনপি-জামায়াতের পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় উভয় দলের রাজনৈতিক অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে দল দুইটির কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ন ত কর ম আটঘর য় স ঘর ষ ব এনপ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বাণিজ্য আলোচনায় অংশ নিতে ভারতে আসছে না মার্কিন প্রতিনিধিদলপ্রতিনিধিদল

২৫ থেকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিনিধিদলের ভারত সফরের করার কথা ছিল, তা বাতিল করা হয়েছে। ফলে প্রস্তাবিত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা আপাতত স্থগিত হলো। বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল সূত্রের বরাতে এনডিটিভি এই সংবাদ জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই চুক্তি নিয়ে আলোচনার বর্তমান পর্বটি অন্য কোনো সময় হতে পারে। ফলে ২৭ আগস্ট থেকে ভারতীয় পণ্যের ওপর আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক স্থগিত বা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা আপাতত ভেস্তে গেল; যদিও বিষয়টি রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করতে পারেনি।

চলতি আগস্ট মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। রাশিয়ার তেল আমদানির শাস্তি হিসেবে ট্রাম্প এই শুল্ক আরোপ করে।

২৭ আগস্ট থেকে এই শুল্ক কার্যকর হলে কিছু ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক ৫০ শতাংশে উন্নীত হবে। চলমান বাণিজ্যযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের যত শুল্ক আরোপ করেছে, তার মধ্যে এটি অন্যতম সর্বোচ্চ হার।

ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য আলোচানায় যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান দাবি ছিল ভারতের বিশাল কৃষি ও দুগ্ধ খাত উন্মুক্ত করা। কিন্তু ভারত এ বিষয়ে একেবারে অনড়। নিজের কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় তারা এই ছাড় দিতে চায় না। এ ছাড়া আরও কিছু কারণে দেশ দুটির মধ্যে চুক্তি হলো না।

এমনকি ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ভারতের কৃষক ও মজুরের স্বার্থ রক্ষায় একবিন্দু ছাড়া দেওয়া হবে না। সে জন্য হয়তো তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে বড় মূল্য দিতে হবে, কিন্তু তিনি সে জন্য প্রস্তুত। এ পরিস্থিতিতে খবর এল, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল ভারতে আসছে না। ফলে বাণিজ্যচুক্তির ভবিষ্যৎ অনেকটা ঝুলে গেল বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

রয়টার্সের সংবাদে সাবেক মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি মার্ক লিন্সকট বলেন, একসময় দুই পক্ষই চুক্তি স্বাক্ষরের খুব কাছাকাছি ছিল। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী মোদির মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ না হওয়া মূল বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তবে হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা বলেন, অন্যান্য দেশের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে সরাসরি ফোন ছাড়াই।

ভারতের এক কর্মকর্তা বলেন, মোদি ফোন করতে চাননি। কেননা, তাঁর আশঙ্কা ছিল, তিনি ট্রাম্পের একতরফা কথার ফুলঝুরির মধ্যে পড়তে পারেন।

ওয়াশিংটনের একটি সূত্র জানায়, ট্রাম্প ভারতের কাছ থেকে বড় কিছুর আশা করছিলেন। যেমন তাঁর আশা ছিল, ভারতের বাজার আরও উন্মুক্ত হবে, বিনিয়োগ ও বড় ক্রয়ের প্রতিশ্রুতি আসবে। কিন্তু ভারতের এক কর্মকর্তা স্বীকার করেন, ভারত তেমন ছাড় দিতে প্রস্তুত ছিল না। দক্ষিণ কোরিয়া চুক্তির আগে ৩৫ হাজার কোটি ডলারের বিনিয়োগ ও জ্বালানি আমদানির প্রতিশ্রুতি এবং চাল ও গরুর মাংস আমদানিতে ছাড় দিয়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক আদায় করে। কিন্তু ভারত তেমন কোনো চমকপ্রদ ছাড়ের কথা বলেনি, বরং তারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় কট্টর অবস্থানে ছিল। যে বিষয়ে ট্রাম্পও বলেছেন, ভারত আলোচনার সময় অত্যন্ত কঠোর।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার পণ্য কেনা চালিয়ে যাচ্ছে, অথচ রাশিয়ার তেল কেনার জন্য শুধু ভারতকে আলাদাভাবে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ