ভারতের হায়দ্রাবাদে ঐতিহাসিক চারমিনারের কাছে রবিবার সকালে একটি আবাসিক ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সাত বছরের একটি শিশুসহ অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। খবর এনডিটিভির। 

ঘটনাস্থল গুলজার হাউস এলাকায়, যেখানে গহনার দোকানের সারি রয়েছে এবং যা চারমিনারের খুব কাছাকাছি অবস্থিত।

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভান্থ রেড্ডি এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং ভবনে আটকে পড়াদের উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।

দমকল বিভাগের একজন কর্মকর্তা এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে তাদের কাছে আগুনের খবর আসে। খবর পাওয়ার পরপরই ১১টি দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা শুরু করে। বেশ কয়েকজনকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় এবং তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিটের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে আগুনের সঠিক কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। 

এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভান্থ রেড্ডি।প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল (পিএমএনআরএফ) থেকে নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ রুপি ও আহতদের ৫০ হাজার রুপি দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। 

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কঠোর অভিযানের মধ্যে কৌশলে পাথর ‘লুট’

নদীতে বড় বড় নৌযান সারিবদ্ধভাবে নোঙর করা, যা ‘বাল্কহেড’ নামে পরিচিত। শত শত শ্রমিক নদীর পাড়ে জমা করে রাখা পাথর টুকরিতে ভরে সেই সব নৌযানে ওঠাচ্ছেন। কাছেই নদীতে চলছে খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর), যা দিয়ে পানির নিচ থেকে পাথর ওঠানো হচ্ছে।

সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় পাথর লুটকারীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের মধ্যেও এই দৃশ্য দেখা গেল কানাইঘাট উপজেলার লোভা নদীতে। লোভা নদী সীমান্তের ওপার থেকে এসে সুরমায় মিশেছে। এই নদীতেও পানির স্রোতের সঙ্গে ওপার থেকে পাথর আসে।

লোভা নদীর বাংলাদেশ অংশের শুরুতে একটি পাথর কোয়ারি (যেখানে পাথর উত্তোলন করা হয়) রয়েছে। সেই কোয়ারিতে ২০২০ সাল পর্যন্ত পাথর উত্তোলন করা যেত। তারপর সরকার আর কোয়ারি ইজারা দেয়নি, মানে হলো পাথর তোলা নিষিদ্ধ। তবে নিলামে বিক্রি করা পাথর স্থানান্তরের নামে এখন সেখানে লুট চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা বলছেন, পাথর লুটের সঙ্গে জড়িত বেশির ভাগ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা, যাঁরা বিএনপির কোনো কোনো নেতার সঙ্গে মিলে কাজটি করছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের সঙ্গে নিলামে পাথর কেনা ঠিকাদারের যোগসাজশ রয়েছে।

লোভা নদী সিলেট শহর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে। কানাইঘাট উপজেলা শহর থেকে এর দূরত্ব আট কিলোমিটারের মতো। গতকাল রোববার বেলা একটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত নৌপথে সুরমা নদী হয়ে ভারতের সীমান্তবর্তী লোভা নদীর জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, সুরমা নদীর কানাইঘাট বাজারের বিপরীত অংশ স্টেশন এলাকায় একটি বাল্কহেডে অন্তত ১৫ জন শ্রমিক পাথর তুলছিলেন। আশপাশের অন্তত আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পাথরের এমন স্তূপ দেখা গেছে। পাশে ক্রাশার মেশিনে (পাথর ভাঙার কল) পাথর ভাঙার কাজও করছিলেন শ্রমিকেরা।

ভাঙার পর শ্রমিকেরা নৌকায় পাথর তুলছেন। গতকাল দুপুরে কানাইঘাটের লোভাছড়ায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ