বেনাপোল বন্দরে আটকা গার্মেন্টস পণ্য বোঝাই ৩৬ ট্রাক
Published: 18th, May 2025 GMT
নিজেদের ভূখণ্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চল দিয়ে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফলমূলসহ বেশ কিছু বাংলাদেশি ভোগ্যপণ্য আমদানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে ভারত। এর প্রভাব পড়েছে যশোরের বেনাপোল বন্দরে। এ বন্দর দিয়ে গার্মেন্টস পণ্য বোঝাই ৩৬টি বাংলাদেশি ট্রাক ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। আজ রোববার পণ্য বোঝাই এসব ট্রাক বন্দরে আটকে থাকতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়াড়িং এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশ থেকে বেশ কয়েকটি পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর (ডিজিএফটি)। তবে যে সকল পণ্যের এলসি/টিটি হয়েছে সেগুলো যাতে আমদানি করা যায় সেজন্য কাস্টমসে আলোচনা চলছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুজিবর রহমান বলেন, ভারত সরকার স্থলবন্দর দিয়ে গার্মেন্টস সামগ্রী আমদানি নিষেধাজ্ঞা জারি করায় বেনাপোল স্থলবন্দরে ৩৬টি গার্মেন্টস সামগ্রী বোঝাই ট্রাক ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: যশ র গ র ম ন টস আমদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
‘অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করতে স্থলবন্দর ব্যবস্থাপনায় পেশাদারিত্ব
বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করতে স্থলবন্দর ব্যবস্থাপনায় পেশাদারিত্ব ও কৌশলী দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেছেন, “দেশের স্বার্থে স্থলবন্দরগুলোকে আরো গতিশীল ও কার্যকর করতে হবে। এ বন্দরগুলো কেবল বাণিজ্য নয়, নিরাপত্তার দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সোমবার (৩০ জুন) বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা। এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রতিপাদ্য ছিল ‘স্থলবন্দরের অগ্রগতি, অর্থনীতির সমৃদ্ধি’।
আরো পড়ুন:
আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
‘কমপ্লিট শাটডাউনে’ বন্ধ আখাউড়া স্থলবন্দরের কার্যক্রম
উপদেষ্টা বলেন, “আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি রয়ে গেছে। এই ঘাটতি দূর করতে হলে স্থলবন্দর ব্যবস্থাপনায় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আনতে হবে। দেশের নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে বন্দর ব্যবস্থাপনা কৌশল নির্ধারণ করতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “অতীতে ভূরাজনৈতিক সচেতনতার ঘাটতির কারণে অনেক স্থলবন্দর উপযুক্ত সমীক্ষা ছাড়াই নির্মিত হয়েছে। ভবিষ্যতে নতুন স্থলবন্দর স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনায় আরো সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। পাশাপাশি বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করতে হবে।”
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, “স্থলবন্দর আধুনিকায়নের জন্য যে প্রকল্পগুলো নেওয়া হয়েছে, তা সময় মতো বাস্তবায়ন করতে হবে। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে আধুনিক বন্দর ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য।”
তিনি বেনাপোল ও ভোমরা স্থলবন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, “সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাই এ উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি।” ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
আলোচনা সভার সমাপনী বক্তব্যে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান বলেন, “আমদানি-রপ্তানির ভারসাম্য রক্ষায় স্থলবন্দরগুলো দিয়ে রপ্তানির পণ্যে বৈচিত্র্য আনা প্রয়োজন। এজন্য একটি কার্যকর ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ চালু করার কাজ দ্রুত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।”
তিনি আরো বলেন, “যেভাবে সমুদ্রবন্দর দিয়ে বিভিন্ন পণ্যের আমদানি-রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়, একইভাবে স্থলবন্দরগুলোতেও পণ্য অনুমোদনের বিষয়টি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।”
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাসুদ ইকবাল, বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যান মো. সলিম উল্লাহ, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা প্রমুখ।
ঢাকা/এএএম/মেহেদী